শারদীয়া দুর্গোৎসব ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ১০
অষ্টমীর দিনে আমরা বেশ ঘুরেছিলাম । বাড়ির কাছাকাছি যতগুলি পুজো মণ্ডপ ছিল প্রায় সব গুলি কাভার করেছিলাম । একটানা পুজো প্যান্ডেলগুলি ঘুরতে ঘুরতে টিনটিন এর মেজাজ মাঝে মাঝে বেশ খাপ্পা হয়ে উঠছিলো । এদিন আবার সন্ধ্যে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো । তাই, পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল । ভালোই লাগছিলো মনোরম এক সন্ধ্যেবেলায় সবার সাথে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে ।
পুজো মণ্ডপগুলি খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে খুবই কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলি পুজো প্যান্ডেল পরিভ্রমন করতে পারছিলাম আমরা । সময় ব্যয় করেছিলাম শুধু মেলার মাঠে । এ ছাড়া আর কোথাও তেমন একটা টাইম স্পেন্ড করিনি । এক একটা পুজো প্যান্ডেল দেখতে মাত্র ১০-১৫ মিনিট টাইম নিচ্ছিলাম ।
অষ্টমী আর নবমীর রাতে আমরা সর্বাধিক ঠাকুর দেখেছিলাম । সব মিলিয়ে ২০-২৫ টার মতো । এরপরের এপিসোডে পুজোর মেলা নিয়ে লিখবো । পুজোর মাঠে মেলা আসলেই বেশ জমাটি গোছের হয়ে থাকে । তবে সেটা শহরে নয়, গ্রামে । শহরের মেলা প্রাঙ্গনে কোনো প্রাণ থাকে না । নির্জীব, নিঃস্পন্দ এক মেলা যেন । তাও শহরের মেলা হলো মন্দের ভালো ।
এ বছর আমরা ছোট বড় সব মিলিয়ে মোট চারটা মেলা দেখেছিলাম । মেলা থেকে টিনটিনবাবু কিনেছিলো - বেলুন, পাম্পিং হর্স, ফুটবল, কিচেন সেট, ম্যাজিক স্লেট, আঁকার বই । আর খাবার কিনেছিলো - এগ রোল, চিকেন পকোড়া, কাঁচা তেঁতুলের গোলা বরফ, পাঁপড়, জিলেপী, হরেক স্বাদের লস্যি, ক্যান্ডি ফ্লস, বাদাম এই সব খবর দাবার ।
অনেকদিন পর বেশ মজায় কাটিয়েছিলাম পুজোর ক'টি দিন ।
একটি সাধারণ পুজো প্যান্ডেলের দূর্গা প্রতিমা । মূর্তি শৈলী মোটামুটি ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটাও খুবই সাধারণ ও অনাড়ম্বরভাবে উদযাপিত একটি পুজোর দূর্গা প্রতিমা । পাশাপাশি দুটো প্রতিমা । দুটোই সাধারণ শৈল্পিক মানের ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ২০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই দূর্গা পুজোর মণ্ডপটি বেশ করেছিল । ছিমছাম এবং যথেষ্ঠ সুন্দর । ভেতরে চাকচিক্য বা জৌলুস একটু কম ছিল বাট ওভারঅল সুন্দরই ছিল । মণ্ডপের প্রধান প্রবেশ তোরণের সামনে তনুজা ও টিনটিন বাবু ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রধান তোরণ দিয়ে ঢুকতেই অনেকগুলি সুন্দর সুন্দর ঝাড়বাতি দেখতে পেলাম । সিলিং থেকে ঝুলছে । এই ঝাড়বাতির সৌন্দর্য্যই এই মণ্ডপের প্রধান আকর্ষণ ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দূর্গা প্রতিমা । মোটামুটি করেছে । মূর্তির পিছনের পটভূমি অসংখ্য চিত্র বিচিত্ৰত কুলা দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে । আগে গ্রাম বাংলায় ধান-চাল ঝাড়তে, বাছতে কুলা খুবই প্রয়োজনীয় একটা বস্তু ছিল । এখন ধীরে ধীরে এর চল উঠেই যাচ্ছে এক রকম ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
তনুজা ও টিনটিন বাবু দূর্গা প্রতিমার সাথে ছবি উঠেছে ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আমি, তনুজা আর টিনটিনের সেলফি ।
তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ৪২৫ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৩য় দিন (425 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 03)
সময়সীমা : ১৬ অক্টোবর ২০২২ থেকে ২২ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ১৮ অক্টোবর ২০২২
টাস্ক ৯৪ : ৪২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৪২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : bbfa648f70de6b20060fcd67e675aa789a0cd5cb4b38fd4a42b75770a4bea998
টাস্ক ৯৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Good.
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই দাদা আগে। এবারে পূজোয় আপনি সপরিবারে বেশ উপভোগ করেছেন। পুজো উপলক্ষে পরিবারকে বেশ ভালই সময় দিয়েছেন। অসংখ্য মায়ের প্রতিমা দর্শন করেছেন। আপনার পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Best regards
We have finally deployed our witness node with a full infraestructure called @seven.wit, read our announcement
We are providing the following:
Cast your vote to @seven.wit now!
দাদা যে এবার পূজাতে ভালই ঘোরাফেরা করেছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে পোস্ট গুলো দেখে। আজকের প্যান্ডেল গুলোতে খুব আহামরি ডেকোরেশন না থাকলেও বেশ সিমসাম আর ভালো লাগছিল দেখতে প্রতিটা মন্ডবই। সবার একসাথে সেলফিতে টিনটিন কে বেশ ভাবুক লাগছে দাদা। আরো ছোট বেলার ছবি তে বেশ চঞ্চল লাগে গোলটু বাবুকে,, তবে এখন অনেকটা ঠান্ডা মনে হয় দেখে।
দাদা এবার দুর্গা পূজোতে আপনি অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে রেখেছেন। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আজকের মন্ডপের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। খুবই সুন্দর লাইটিং এবং ডেকোরেশন ছিল। সত্যি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
দাদা আমিও ছোটবেলা থেকে দুর্গাপূজার সময় বিশেষ করে মেলার আকর্ষণে না গিয়ে থাকতে পারতাম না। একেকটা বেলায় কয়েকবার করে যেতাম, এখনো সামনে দিয়ে গেলে একবার হলেও ভালো করে দেখে যাই। আসলে পূজার সময় মেলাগুলোতে গেলে ছোটবেলার স্মৃতিবহুল সেই দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। যাইহোক দাদা আজকের পূজা মন্ডপে প্রতিমা গুলির ফটো খুব ভালো লেগেছে। আবার পূজা প্যান্ডেলের ভিতরে ঝাড়বাতি গুলো এর সৌন্দর্য অনেকটা বৃদ্ধি করেছে। সব মিলিয়ে সন্ধ্যাটা খুব ভালো উপভোগ করেছেন।
বৌদি ও টিনটিন বাবুর ম্যাচিং ড্রেস খুব ভালো লাগছে দাদা।
একটানা পুজো প্যান্ডেলগুলি ঘুরতে ঘুরতে টিনটিন এর মেজাজ মাঝে মাঝে বেশ খাপ্পা হয়ে উঠছিলো ঠিক বলেছেন দাদা আপনাদের সাথে ছবিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে টিনটিন বাবুর মন খারাপ। আপনাদের ছবিটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে পুজো প্যান্ডেল অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
পুজো মন্ডপ ছিমছাম হলেও যথেষ্ট সুন্দর দেখাচ্ছে, আমরাও বেশ উপভোগ করলাম ছবিগুলোতে। আপনাদের তিন জনের ছবিগুলো দারুন লাগলো। তবে টিনটিন বাবুকে ভীষণ শান্ত আর মিষ্টি দেখাচ্ছে।
পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা থাকলে ঘুরে মজা পাওয়া যায়। পুজোতে মেলায় বেশি সময় কাটিয়েছেন এটা শুনে ভালো লাগল। আর টিনটিন খাপ্পা হওয়ার কারণ ছিল। কতক্ষণ আর ঐভাবে আপনাদের সঙ্গে ঘুরবে ওর হয়তো বিরক্তি লেগে যাচ্ছিল।