Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪২
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪২
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪১
হ্যালো বন্ধুরা,
সুপ্রভাত । আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে দশম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট নয়টি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী মুঘল আমলের একটি রাজপ্রাসাদের মিনিয়েচার মডেল
২. একটি প্রাচীন ভারতীয় ফ্লাওয়ার ভাস
৩. ব্রোঞ্জ নির্মিত মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার প্রতিমা
৪. গাঢ় নীল বর্ণের কাঁচ দিয়ে নির্মিত বহু প্রাচীন একটি সুরাপাত্র
৫. একটি সম্পূর্ণ স্বর্ণ নির্মিত ফলের রেকাবি
৬. কষ্টি পাথরের ও ব্যাসল্ট পাথরে নির্মিত দুটি নাড়ু গোপালের মূর্তি
৭. সম্পূর্ণ হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী একটি শিঙ্গা
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী মুঘল আমলের একটি রাজপ্রাসাদের মিনিয়েচার মডেল । প্রাসাদটি দো'তলা । প্রকান্ড সিংহদ্বার, অনেকগুলি গবাক্ষ, প্রাসাদের শীর্ষে বিশাল বড় এবং সুউচ্চ একটি গম্বুজ, গম্বুজের চারিদিকে চারটি মিনার । আর প্রাসাদের বাইরে ফিল্ডে ঠিক চার কোন চারটি সুউচ্চ টাওয়ার রয়েছে । টাওয়ার গুলো হলো প্রাসাদের সুরক্ষার জন্য নজরদারি করার জন্য ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি প্রাচীন ভারতীয় ফ্লাওয়ার ভাস । ফ্লাওয়ার ভ্যাসটির গায়ে রয়েছে সাদা, গাঢ় নীল সবুজ এবং আকাশী রঙের অনেকগুলি ফুল লতা পাতা, পাখি এবং হিন্দু দেব দেবীর নান্দনিক প্রতিকৃতি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ব্রোঞ্জ নির্মিত মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার প্রতিমা । মা দুর্গার সাথে রয়েছে লক্ষী, সরস্বতী, গণেশ এবং কার্তিক । আর রয়েছে মা দুর্গার বাহন সিংহ এবং মহিষাসুর । দেবী দূর্গা শূলাঘাতে মহিষাসুরের বক্ষ বিদীর্ন করছেন ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
গাঢ় নীল বর্ণের কাঁচ দিয়ে নির্মিত বহু প্রাচীন একটি সুরাপাত্র । এই পাত্র সুরা রেখে তা থেকে ঢেলে ঢেলে খাওয়া হতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি সম্পূর্ণ স্বর্ণ নির্মিত ফলের রেকাবি । প্রাচীন ভারতীয় কোনো এক রাজার কোষাগারে ছিল হয়তো । রেকাবিটি অনেক বড় । ওজন প্রায় ১০ কিলো । ভাবা যায় ১০ কিলো ওজনের রেকাবিতে করে ফল খেতেন রাজা বাদশারা । রেকাবিটি অসংখ্য ফুল লতা পাতার ডিজাইন করা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
নাড়ু গোপালের দুটি মূর্তি । উপরেরটি হলো কষ্টি পাথরের তৈরী আর নিচেরটি হলো ব্যাসল্ট পাথরে নির্মিত । অনিন্দ্যসুন্দর দুটো মূর্তিই ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী একটি শিঙ্গা । শিঙ্গাটির গায়ে অসংখ্য হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি খোদাই করা আছে । প্রাচীন কালে শিঙ্গা ছিল যুদ্ধের সূচনা করার সংকেত জ্ঞাপন করার একটি বাদ্যযন্ত্র । শিঙ্গাটির উপরে ভগবান বিষ্ণুর বাহন গরুড়ের একটি মূর্তি রয়েছে । গরুড় হলো অর্ধেক পক্ষী আর অর্ধেক মানুষ । তার এক কাঁধে শ্রীবিষ্ণু আসীন রয়েছেন ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
হাতির দাঁতের তৈরি রাজপ্রসাদ টা খুবই সুন্দর ।আমার কাছে পার্সোনালি খুবই ভালো লেগেছে। ওয়াও স্বর্ণের তৈরি ফলের রেকাবি খুব সুন্দর। ওজন প্রায় ১০ কিলো । ভাবা যায় ১০ কিলো ওজনের সত্যিই অনেক অবাক হয়েছি। হাতির দাঁতের তৈরি সিঙ্গার টা অনেক সুন্দর। দাদা আপনার জন্য কত কিছু দেখতে পাচ্ছি এবং জানতেও পারছি ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই রাজপ্রাসাদে দেখার মত ছিল। মন বলছে এখানে যদি একটুও যেতে পারতাম। মনটা একদম ভরে যেত। আসলেই অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পেলাম। তা দেখে সত্যিই আমরা অনেক ভাগ্যবান। হাতির দাঁতের তৈরি শিঙ্গা আসলে নতুন কিছু জানতে দেখতে পারছি আপনার মাধ্যমে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নতুন এক চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন আজকে দাদা।হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা মুঘল আমলের একটি রাজপ্রাসাদের মিনিয়েচার মডেল দেখতে অসম্ভব সুন্দর। আর অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা।আপনার জন্য এবং আপনার পরিবার এর জন্য শুভকামনা রইল দাদা।💞💞
জাস্ট অসাধারণ। যতোই দেখছি , তখোই জানছি ।
দেখতে দেখতে 42 তম পর্বে এসে গেলাম। আর সেইসাথে অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম। আজকের পোষ্টে হাতির দাঁতের তৈরি প্রাসাদটি আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে। হাতির দাঁত দিয়ে যে রকম জিনিস তৈরি হয় তা আজকেই জানলাম। অদেখা সব জিনিস গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে এসব শেয়ার করার জন্য।
হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি এত সুন্দর রাজপ্রাসাদটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে। আসলে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা এত সুন্দর রাজপ্রাসাদ খুবই দক্ষতার সাথে তৈরি করেছে। এটি আমার দেখার সৌভাগ্য হলো। চারদিকে মিনার গুলো অনেক সুন্দর, গম্বুজটি আরো বেশী ভালো লাগছে। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের দেখার সুযোগ হলো।
বাপ্রে এটা জেনে তো অবাক হয়ে গেলাম।সত্যিই আগের যুগের রাজা বাদশা গুলো বড্ডো সৌখিন ছিলো।
হাতির দাঁতের তৈরি মুঘল রাজপ্রাসাদ আমি অবাক কিভাবে সম্ভব হাতির দাঁত দিয়ে এত কারুকার্যখচিত রাজপ্রসাদ তৈরি করা। কোন সময় শিল্পীরা কতই সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা ছিল তা আপনার এ পোষ্টের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। দাদা আপনার এই পর্ব গুলো সত্যি অনেক জ্ঞান ভিত্তিক । আমরা অনেক কিছু শিখতে পারছি। এত সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য এবং তার তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে এটি দারুণ লেগেছে। এই রেকাবি টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাজা বাদশাহরা কতটা সৌখিন ছিল। আমার কাছে এটির কারুকাজ গুলো দারুন লেগেছে। হাতির দাঁতের তৈরি রাজপ্রাসাদের মডেল এবং শিঙ্গা টিও অসাধারণ লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা এত সুন্দর জিনিসের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হাতির দাঁতের তৈরি রাজপ্রাসাদটি অনেক সুন্দর ছিল দাদা। দেখতে অসাধারণ লাগছে। ইচ্ছে করছে সরাসরি গিয়ে দেখে আসি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আমরা রাজপ্রাসাদ টি দেখতে পেরেছি। প্রতিবারের মতই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখার মত দাদা।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।