পুরী ভ্রমণ - পর্ব 0১

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

গত 28 তারিখ, বৃহস্পতিবার আমরা সবাই স্বাগতার ফ্যামিলির সাথে পুরীতে এসেছি। আমার ভাই সদ্য বিয়ে করার পর স্বাগতার ফ্যামিলি থেকে পরিকল্পনা করা হয় যে সবাই মিলে পুরী ঘুরতে যাওয়া হবে। নতুন বিয়ে করে আমার ভাই আর স্বাগতা পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে পুজো দেবে, সেই সাথে সবাই মিলে পুরীর সী বীচে এনজয় করা হবে।

মোট 4 দিনের প্রোগ্রাম আমাদের। 4 দিন মিলে এন্তার ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া হবে পুরীতে। যদিও এই মুহূর্তে আমার কাজের চাপ একটু বেশিই তারপরে সবার রিকোয়েস্ট আর ফেলতে পারিনি। তাই 28 তারিখ, বৃহস্পতিবার রাত 8 টা 45 এর পুরীগামী ট্রেনে করে আমরা সবাই 20 জন মিলে পুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলুম।

29 তারিখ, শুক্রবার ভোর 6 টা 20 মিনিটে আমরা পুরী স্টেশনে পৌঁছলাম। ট্রেন অবশ্য ভোর 5 টা 10 মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিলো, কিন্তু পথিমধ্যে ট্রেন বেশ লেট করাতে পুরো দেড় ঘন্টা লেট।

ট্রেন থেকে নেমেই অমনি একটা ম্যাজিক গাড়ি রেন্ট করে আমাদের হোটেলে চলে গেলুম। খুব ক্ষুধার্ত থাকার কারণে হোটেল রুমে লাগেজ রেখেই ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম । খাওয়ার পরে পরেই এসে গেল ঘুম । কি আর করা, রাতে ট্রেনে একটুও ঘুম হয়নি। অগত্যা দিলাম একটা ছোট্ট ঘুম।

দুপুরে আর বীচে যেতে ইচ্ছে করলো না। স্নান করে লাঞ্চ করে নিলাম হোটেলেই। এরপরে ল্যাপটপ খুলে কাজে বসে গেলাম। সন্ধ্যে অব্দি এক টানা কাজ করে এরপরে সী বীচে গেলুম বেড়াতে।

পুরীর সমুদ্র দারুন। এখানে ঢেউগুলো অনেক বড় বড়। সন্ধ্যে বেলায় দারুন লাগছিলো পুরীর সমুদ্র সৈকতে হেঁটে বেড়াতে। প্রচুর উট আর ঘোড়া আছে সৈকতে। তনুজা উটে উঠে ঘুরলো কিচুক্ষণ।

আমরা ডাব আর মাছভাজা খেলুম সৈকতে। টিনটিন কয়েকটা খেলনা কিনলো। এরপরে রাত 9 টা নাগাদ হোটেলে ফিরে এলুম। দশটায় ডিনার খেয়ে আবার ল্যাপটপ খুলে ফেললুম।

এভাবেই পুরীতে আমাদের ভ্রমণের প্রথম দিনটি উদযাপিত হলো।


IMG_20231229_183040.jpg

IMG_20231229_183016.jpg

সী বীচে সুসজ্জিত উট।

তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিট
স্থান : পুরী, উড়িষ্যা, ভারত


IMG_20231229_184316.jpg

IMG_20231229_183209.jpg

IMG_20231229_183129.jpg

পুরীর সী বীচ।

তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : পুরী, উড়িষ্যা, ভারত


IMG_20231230_204225.jpg

IMG_20231230_204108.jpg

IMG_20231230_204100.jpg

IMG_20231230_204003.jpg

তনুজার উটের পিঠে ওঠার মুহূর্ত

তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিট
স্থান : পুরী, উড়িষ্যা, ভারত


IMG_20231230_204701.jpg

IMG_20231230_204639.jpg

IMG_20231230_204636.jpg

উটের পিঠে চড়ে বেড়ানো শেষ হলো অবশেষে।

তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : পুরী, উড়িষ্যা, ভারত


IMG_20231230_211351.jpg

IMG_20231230_211344.jpg

IMG_20231230_211301.jpg

সৈকতে নানারকমের মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, অক্টোপাস, স্কুইড ভাজা খাওয়া হলো।

তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮টা ২০ মিনিট
স্থান : পুরী, উড়িষ্যা, ভারত

Sort:  
 6 months ago 

প্রতিদিনকার মতো আজও হাজির হয়ে গেলাম আমার NFT আর্ট প্রদর্শনীতে । আজকেও দু'টি আর্ট শেয়ার করতে চলেছি । এই দু'টি আর্ট হলো রূপকথার অদ্ভুত সুন্দর কিছু কাল্পনিক প্রাণী সম্পর্কে ।

রূপকথায় তো আমরা কতই না অদ্ভুত অদ্ভুত প্রাণীর কথা শুনতে পাই - রাক্ষস, দৈত্য-দানব, ইউনিকর্ন, ড্রাগন, বেঙ্গমা-বেঙ্গমী, কত শত মানুষের মতো কথা বলতে পারা জীব-জন্তু, জাদুকর মাকড়শা, ডাইনি, পরী - আরো কত কি !

তাদের নিয়েই আমার আজকের এই ক্রিয়েশন -


Fairy Creatures (Rare)


Screenshot 2024-01-01 021841.png


Screenshot 2024-01-01 022140.png

 6 months ago 

ওয়াও! জাস্ট অসাধারণ দাদা, হৃদয় যেন মুগ্ধ হয়ে গেলো।

 6 months ago 

দারুণ কিউট হয়েছে NFT গুলো দাদা। মনে হচ্ছে কোনো টয় শপে ঢুকে পড়েছি।

 6 months ago 

সবগুলো অনেক দারুন হয়েছে দাদা।

 6 months ago 

আগের NFT গুলোর মতই জাস্ট চমৎকার।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

স্বাগতা দিদির পোস্টে জানতে পেরেছিলাম উনারা পূরী যাচ্ছে। সাথে আপনিও গেলেন ব্যস্ততার মাঝে। আসলে মাঝে মাঝে কাজের ফাকেঁ এমন ট্যুর পরিবারের সাথে দিতে পারলে ভালোই লাগে। স্বাগতা দিদি মেবি ভয় পেয়েছিল উটের পিছনে উঠে, দিদিকে দেখে বুঝা যাচ্ছে। রাতের সমুদ্র সৈকত উপভোগ করলেন সবাই মিলে 🌼

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 6 months ago 

দুই পরিবার একসাথে বেড়াতে গেলে মজা তো হবেই দাদা। আপনি অনেক কাজের ব্যস্ততার মাঝেও সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন বিচে।উটের পিঠে যে মই দিয়ে চড়তে হয় আজকে প্রথম জানলাম। আর মাছ ভাজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। রাতের সমুদ্র দেখতে অসাধারণ লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর মহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

আমরা ডাব আর মাছভাজা খেলুম সৈকতে। টিনটিন কয়েকটা খেলনা কিনলো। এরপরে রাত 9 টা নাগাদ হোটেলে ফিরে এলুম। দশটায় ডিনার খেয়ে আবার ল্যাপটপ খুলে ফেললুম।

আহা দাদা, সমুদ্রের বীচ মানেই সামুদ্রিক মাছ। জ্বিহায় তো পানি চলে আসবেই। শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবার আগে। আর জীবন তো একটাই। উপভোগ না করলেই লস। হিহি!

Welcome to Odisha dada ❤️..., thank you for publishing your travel blog on puri. I like all of your travel blogs but this one is special for me. Hope you enjoy your travel 🙏🏻 .

 6 months ago 

বাহ জায়গাটা তো বেশ সুন্দর । তবে ট্রেন জার্নি আমার বেশ ভালোই লাগে, তবে আপনাদের বেশ ভালই জার্নি হয়েছে তা বোঝা যায়। আসলেই পুরীর সমুদ্র দারুন। তনুজা আপু স্বাগতা আপু উটের পিঠে উঠেছে। সুসজ্জিত উট গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। তবে যাই হোক এত কিছুর মাঝেও আপনি আপনার কাজ অবহেলা করেননি।

 6 months ago 

দাদা সবাই মিলে অনুরোধ করলে অবশ্যই রাখতে হয়। যাইহোক এতো ব্যস্ততার মাঝেও আপনি সবার সাথে পুরী গিয়েছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। এতো মানুষ একসাথে গেলে খুব মজা হয়। ট্রেনে চড়ে লং জার্নি করলেও টায়ার্ড লাগে না। যাইহোক পুরী সমুদ্র সৈকত তো দারুণ লাগছে দেখতে। সমুদ্র সৈকত বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। সমুদ্রে সৈকতে ঘুরতে গিয়ে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। সন্ধ্যার পর সমুদ্র সৈকতে ঘুরাঘুরি করে এবং সামুদ্রিক মাছ খেয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন দাদা। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

দিদির পোস্টে জানতে পেরেছি পুুরী গিয়েছেন। তবে আপনারা ও গেছেন তা এখনই জানতে পেলাম।সবাই মিলে গেলে তো ভীষণ মজা হয়।আপনি দাদা সব সময়ই চাপের মধ্যে থাকেন।আপনি এতো সুন্দর করে হ্যাং আউটে চাপের কথা বলেন দাদা প্রতিবারই আমি হেসে ফেলি। 😆 যাক সব চাপের মাঝেও পরিবারের চাপ ও মাঝে মাঝে নিতে হয় আনন্দকে উপভোগ করার জন্য। সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। দারুন লেগেছে।সবাইকে নিয়ে চমৎকার সময় কাটাবেন এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44