দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা (তৃতীয় পর্ব)
বাবা-মা কিছুটা স্বাভাবিক হতেই রুবেল তাদেরকে জিজ্ঞেস করলো কিভাবে কি হোলো সবকিছু আমাকে খুলে বলো। তখন রুবেলের বাবা বলতে শুরু করলো। গতকাল বিকালে মিস্ত্রিদের টাকা পয়সা দিয়ে বিদায় করে দেয়ার পরে আমরা আর কেউ বাড়ি থেকে বাইরে যায়নি। অন্যান্য দিনের মতোই খাওয়া দাওয়া করে সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ করে মধ্যরাতের দিকে তোর চাচি কিছু আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলো। কিন্তু সে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। মূলত তখনই ডাকাত দলের সদস্যরা জানালার গ্রিল কাটছিলো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তার কিছুক্ষণ পরে একযোগে প্রায় ৫-৬ জন ডাকাত ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে আমাদের ঘরে আর তোর চাচার ঘরে হামলা করে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। তারপর আলমারির ভিতর থাকা নগদ কয়েক লক্ষ টাকা আর তোর মা আর চাচির যত গহনা আছে সব নিয়ে চলে যায়। মোবাইল গুলোও সাথে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সেগুলো যাওয়ার পথে একটা পুকুরে ফেলে দিয়ে গেছে।
মোবাইল গুলো ফেলে দিয়ে গেছে এই কথা শুনে রুবেলের মনে কিছুটা সন্দেহ হোলো। সে চিন্তা করতে লাগলো যদি এরা প্রফেশনাল ডাকাত হয় তাহলে মোবাইল ফেলে যাওয়ার কথা নয়। রুবেল চিন্তা করতে লাগলো তাদের বাড়িতে যে টাকা-পয়সা রয়েছে এই খবরটা ডাকাতেরা জানলো কিভাবে? এলাকার কেউ নিশ্চয়ই এই ডাকাতির সাথে জড়িতো। না হলে এতোদিন ডাকাতি হোলো না। যখনই বাড়িতে টাকা এলো তখনই ডাকাত দল হানা দিলো। এটা তো হওয়ার কথা না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে প্রথমে ভয় কাজ করেছিল।সত্যি প্রফেশনাল ডাকাত হলে ফোন কেন রেখে দেবে।আর বাড়ির টাকা পয়সার খবর কিভাবে পেল।যাইহোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
রুবেলের সন্দেহটাই সত্য। ডাকাত দল শুধু টাকা পয়সার, গয়নাগাটি নিলো! অথচ মোবাইল গুলো নিল না। প্রফেশনাল ডাকাত হলে সব কিছুই নিয়ে যেত কোন কিছু বাকি থাকতো না। এগুলো পরিচিত কোন ব্যক্তির মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয়েছে। খুবই সুন্দর ধারাবাহিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন, যার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা তো আসলেই ভাবনার বিষয়। হঠাৎ করে ডাকাত দলের আক্রমণ কেন হলো?টাকা যে ঘরে আছে এ বিষয়টা যারা জানে তারা নিশ্চয়ই এই কাজের সাথে জড়িত। তবে ভাগ্য ভালো রুবেলের বাবা-মা বা অন্যান্যদের কোন ক্ষতি হয়নি। যদিও তাদের সকল সম্বল তারা ডাকাতি করে নিয়ে গিয়েছে। তবে মোবাইল গুলো পানিতে কেন ফেলে গেল এটাই হল ভাবনার বিষয়।
বেশিরভাগ ডাকাতির সাথে এলাকার মানুষ জড়িত থাকে, এমনটা প্রায়ই শুনে থাকি। কারণ বাহিরের মানুষ কখনোই জানবে না কার বাসায় টাকা আছে এবং কার বাসায় নেই। আশা করি রুবেল সেই ডাকাতদের খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। যাইহোক এই পর্বটা সত্যিই দারুণ লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।