ঘুরতে গিয়ে দুর্ভোগ ( দ্বিতীয় পর্ব)
একটা পর্যায়ে দুজন সিদ্ধান্ত নেয় তারা দুজনেই গিয়ে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবে। কারণ এখন যদি তারা বাড়িতে ফিরে যায়। তাহলে তাদের আর হয়তো কখনো একসাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়া হবে না। এই চিন্তা ভাবনা করে তারা বাসস্ট্যান্ডে যায় বাসে ওঠার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের বন্ধুর বরুনের জন্য মন খারাপ হয়ে যায়। তখন তারা সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে চলে আসে। বরুন ওদিকে মন খারাপ করে বসে ছিলো। সে চিন্তা করছিলো তিন বন্ধু মিলে একসাথে কক্সবাজার ঘুরতে গেলে কতো মজা হোতো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
টাকা না পাওয়ার কারণে সে আর যেতে পারল না। কিন্তু যখন সে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করলো তখন সে জানতে পারলো তার জন্য তারাও কক্সবাজারে যাওয়া ক্যানসেল করেছে। তারপরের কয়েকটা দিন শফিক আর সবুজ মিলে বরুনের বাবাকে অনেক রিকোয়েস্ট করতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত বরুনের বাবা টাকা দিতে রাজি হোলো। তারপর তিন বন্ধু মিলে রওনা দিলো কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে বিভিন্ন ট্রাভেল ব্লগ দেখে সেখানকার সম্বন্ধে একটা ধারণা নিয়েছে। কক্সবাজারের পৌঁছে তারা খুঁজে খুঁজে একটা কমদামী হোটেলে ওঠে।
তারা পরিকল্পনা করে যে টাকা নিয়ে এসেছে এই টাকায় যত বেশি সম্ভব কক্সবাজারে থাকবে। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে তারা সেন্টমার্টিন ও যাবে। তারা হোটেলে চেকিং করে কাপড়চোপড় রেখে দৌড়ে চলে যায় সমুদ্রের পাড়ে। সেখানে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে হই-হুল্লোড় করে সমুদ্রের পানিতে গোসল করতে থাকে। জীবনের প্রথম কক্সবাজার আসার আনন্দে তিন বন্ধু ছিলো উচ্ছ্বসিত।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।