বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছের শুটকি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।অনেকদিন পর রেসিপি পোস্ট করছি। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে যদি ভালো লাগে তাহলে মন্তব্য করে জানাবেন অবশ্যই।
শুটকি মাছ এমন একটা জিনিস যা অনেকেই অনেক বেশি পছন্দ করে। আবার অনেকে আছেন যে শুটকি মাছের আছেন নাম শুনতে পারে না। তবে আমি শুটকি মাছ খেতে খুব বেশি পছন্দ করি। আর দেশি মাছের শুটকি হলে তো কথাই নেই।দেশি পুটি মাছের শুটকি আমি খেতে খুব পছন্দ করি।আর এই শুটকি মাছ আমার মায়ের হাতের বানানো। দেশি পুঁটি মাছের শুটকি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি দেশি পুটি মাছের শুটকি বেগুন দিয়ে রেসিপি দিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।চলুন তাহলে রেসিপিতে যাওয়া যাক।
উপকরণ
ক্রমিক নং | উপকরণ |
---|---|
১ | বেগুন |
২ | পুঁটি মাছের শুটকি |
৩ | রসুন কুচি |
৪ | জিরা বাটা |
৫ | লবণ |
৬ | হলুদ |
৭ | তেল |
৮ | পেঁয়াজ কুচি |
৯ | মরিচ কুচি |
রন্ধনপ্রনালী
ধাপ-১
- প্রথমে কাড়াই গরম করে নিয়ে তাতে দেশি পুটি মাছের শুটকিগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।
ধাপ-২
- শুটকিগুলো হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে পানি দিয়েছি যাতে পরিষ্কার হয়ে যায়।
ধাপ-৩
- পানি ফুটতে শুরু করলে কিছুক্ষণ পরে শুটকিগুলো একটা ছাকনির মধ্যে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
- এবার কাড়াইয়ে আবার তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ মরিচ ও রসুন কুচি দিয়েছি।
ধাপ-৫
- পেঁয়াজ মরিচ রসুন কুচি হালকা ভাজা হয়ে এলে যে তার মধ্যে লবণ, হলুদ, জিরা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
- মসলা কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে ভেজে রাখা পুটি মাছের শুটকি গুলো দিয়ে দিয়েছি। সবকিছু ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিয়েছি সেদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপ-৭
- এবার শুটকি সেদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিয়েছি দিয়ে আবার নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৮
- শুটকি সেদ্ধ হয়ে এলে তার মধ্যে বেগুন কুচি গুলো দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম। বেগুন সিদ্ধ হয়ে এলে হালকা একটু ভেজে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
- এবার একটা বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করেছি।
শুটকি মাছ আমার খুবই প্রিয় যেকোনোভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।
বিশেষ করে বেশি করে ঝাল দিয়ে ভুনা করলে সব থেকে বেশি মজা হয়।
আপনি বেগুন দিয়ে শুটকি মাছের মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে খেতে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শুটকি মাছ বেশি ঝাল দিয়ে রান্না করলে ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শুটকি মাছ আমার বেশ পছন্দের। শুটকি মাছ দিয়ে যাই রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আজকেও বেগুন দিয়ে শুটকি রান্না করা হয়েছে। যাইহোক আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আপনিও আমার মত শুটকি মাছ পছন্দ করেন জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছ রান্না খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। তাছাড়াও শুটকি মাছ খেতে এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে। ধাপে ধাপে এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল।
পুটি মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে, পুটি মাছের কথা শুনলেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ছোটবেলায় নদী থেকে বড়শি দিয়ে পুটি মাছ ধরতাম তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো পুটি মাছের শুটকি দিয়ে বেগুন খাওয়া হয়নি। বেগুন দিয়ে পুটি মাছের এই শুটকি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এভাবে পুটি মাছের শুটকি খেয়ে দেখবেন।অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। বেগুন দিয়ে পুঁটি মাছের শুটকি রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে আপু। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন রেসিপি দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। আমিও শিখে নিলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল।
শুটকি মাছ কম বেশি সবাই পছন্দ করে।আর শুটকি হলেই বেগুনও আলু দিয়ে রান্নার কথা মাথায় আসে কারণ বেগুন দিয়ে শুটকি অসম্ভব রকমের সুন্দর ও সুস্বাদু লাগে।আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বেগুন দিয়ে শুটকি মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।