ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগবাসী কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি হাজির হয়েছি আবার ও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
সময়টা বেশ কয়েক মাস আগে রোজার পরে। আমার বাবার বাড়ি গাইবান্ধায়। আর গাইবান্ধায় বেড়াতে গেলেই আমরা সময় পেলে চেষ্টা করি বালাসীঘাট যেতে।এজন্যই ভালো লাগে কার ন বালাসিঘাট জায়গাটা অনেজ খোলামেলা নদীর পানি সব মিলিয়ে সুন্দর একটা পরিবেশ। আমার মেয়েও পছন্দ করে তাই সময় পেলে আমরা ওখানে ঘুরতে যাই।
রোজার ঈদের পরে আমরা যখন গাইবান্ধায় গিয়েছিলাম। তখন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বালাসীঘাট যাই। আর ওখানে যাওয়ার পর আমার মেয়ে দূর থেকে
ঘোড়ার গাড়ি দেখতে পায়। আর ঘোড়ার গাড়ি দেখে তার বায়না শুরু হয়ে যায় সে ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরবে। আমি যদিও ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে খুব ভয় পাই। কিন্তু জাহিরার কোন ভয় নেই সে ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরবে।
উপরের ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আসলে সে এমনি দাঁড়িয়ে নেই। সে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। আর দূর থেকে শুধু ঘোড়ার গাড়ি দেখছে যখন আমি তাকে নিষেধ করেছি।তখন তার বাবার সাথে বায়না ধরেছে। আর বাবার থেকে কোন কিছু চাইলে বাবারা তে না করতে পারে না। আমিও আমিও এই কাজটা করতাম আমার কথা যখন কেউ শুনতো না কোন কিছু চাইলে দিতে চাইতো না তখন আমার বাবার কাছে গিয়ে বায়না ধরতাম। আর বাবার সাথে আসলে মেয়েদের আলাদা একটা সম্পর্ক তৈরি হয় যেটা অন্য কারো সাথে হয় না।
জাহিরার বাবাও তার কথা ফেলতে পারে নি।মেয়ের কথা শুনে বাবাও ছুটেছে ঘোড়ার গাড়ি খুঁজতে।বিকেল গড়িয়ে গেছে তখন।তারপর একটা ঘোড়ার গাড়ি পাওয়া গেছে।আর তা দেখে মেয়ে মহা খুশি।অবশেষে তার চাওয়া পূরণ হচ্ছে। তার কোন ভয় নেই।
বাবা মেয়ে ঘোড়ার গাড়ি করে ঘুরতে চলে গেল। আর আমি দাঁড়িয়ে দেখছি।আমাকেও যাওয়ার জন্য বলেছিল কিন্তু আমার শরীর ভালো ছিল না। তাই আর যাই নি।ওরা ঘুরে আসতে আসতে মাগরিবের আজান দিয়েছে।বাচ্চারা নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পছন্দ করে। ভালোই লাগছিল আমার কাছে।মেয়ে ঘুরে এসেও বলছে সে পরের দিন আবার যাবে।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছে। পরবর্তীতে আবারও নতুন কিছু নিয়ে দেখা হবে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঠিক বলেছেন আপু মেয়েও বাবার আলাদা একটা সম্পর্ক হয় মধুর।আর মেয়েদের সব আবদার যেন তাঁর বাবার কাছেই। করবেই না বা কেন বাবারা মেয়ে চাইলে তো চাঁদ ও এনে দিতে রাজি।আমার মনে হয় সম্ভব হলে চাঁদ এনে মেয়ের হাতে তুলে দিতো।বাচ্চাদের কোন ভয় নাই এখন ঘোরার গাড়ি দেখলেই বায়না উঠতে হবে ঘোরার গাড়িতে।ভালো লাগলো জেনে যে ভাইয়া অবশেষে খুঁজে খুঁজে মেয়ের জন্য ঘোড়ার গাড়ি এনেছে এবং বাবা,মেয়ে মজা করে ঘুরেছে।ধন্যবাদ সুন্দর মধুর আনন্দের সময়ের অনুভূতির পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আমার অবশ্য ছোটবেলা থেকে খুব ভালো একটা ইচ্ছা আমি একটা ঘোড়া কিনব সেটাতে করে ঘুরবো 😁😁।
তবে এরকম ভাবে ঘোড়ার গাড়িতে কখনো চড়া হয়নি।
আসলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ধরনের যানবাহন ছাড়া চলাচল করা খুবই অসুবিধা।
ফটোগ্রাফি গুলা খুবই ভালো লাগলো সময়টাও নিশ্চয়ই খুব সুন্দর ভাবে পার করেছেন।
আপনার ইচ্ছে টা জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
যখন আপনারা ঘোড়ার গাড়িতে উঠবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন আপনার মেয়ের মনটা অবশ্যই অনেক বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল যার কারণে সে দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। আসলে বাচ্চাদের মনটা অনেক বেশি নরম হয় তাদের মনের মধ্যে যখন যেটা চায় তারা সেটাই করতে চায়, যাইহোক অবশেষে মেয়ের জোরাজুরিতে মেয়ের বাবা এবং মেয়ে ঘোড়ার গাড়িতে উঠেছে এবং অবশ্যই আপনার মেয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছে বোঝাই যাচ্ছে। খুব দ্রুতই আপনার সুস্থতা কামনা করছি আশা করছি খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলছেন ভাইয়া মেয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।