দাওয়াতের আয়োজন
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লকবাসি কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করব।আজ একটি দাওয়াতের ব্লগ শেয়ার করব।যেটা আমি আমার বাসায় আয়োজন করেছিলাম।
মানুষকে খাওয়ানোর মধ্যে একটা আলাদা মজা আছে। আমি মানুষকে খাওয়াতে খুবই পছন্দ করি।
দাওয়াত টি মূলত করা হয়েছিল আমার ছেলের শানিতের উপলক্ষে। আমার মেয়ে হওয়ার পর ও জাহিরার বাবার কলিগদের বাসায় দাওয়াত করে খাইয়েছিল।এবার আবার শানিতের জন্মের পর ওর বাবার অফিসের কলিগরা সবাই বলেছিল তাদেরকে খাওয়াতে হবে। ওদের বাবা প্রথমে কলিগদের মিষ্টি খাইয়েছেন কিন্তু তারা বাসায় এসে খাবেন আবদার করেছিলেন। এ কথা শুনে স কথা শুনে তো আর না করা যায় না। সবাইকে তো একসঙ্গে খাওয়ানো যায় না। কারণ বাসা ছোট আর তার মধ্যে সবাইকে একসঙ্গে দাওয়াত করেল বাচ্চা নিয়ে আমি সব রান্না করতে পারবো না। তাই আমরা প্ল্যান করেছিলাম ভাগ ভাগ করে অল্প অল্প করে সবাইকে ডাকবো কারণ আমরা তো ভাড়া বাসায় থাকি এখানে ফ্ল্যাটে এত লোকজনকে একসঙ্গে খাওয়ানো সম্ভব নয় ।
দাওয়াতের কথা শুনলে আমার একটা জিনিস মাথায় কাজ করে কি খাওয়াব।কি কি আইটেম রান্না করব।যাদের জন্য রান্না করব তারা পছন্দ করবে কি না।আবার টেনশন হয় রান্না কেমন হবে। মজা হবে কি নাএসব চিন্তা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত সবাই না খেয়েছে।আমার কাছে মনে হয় রান্না যদি মজা না হয় তাহলে অফিসে গিয়ে সবাই আলোচনা করবে। যদিও কেউই এ কাজটা কখনো করেনি কেউ করবেও না।যাদেরকে দাওয়াত করা হয়েছিল তারা প্রায় সবাই স্থানীয় এজন্য আমি বলেছিলাম যাতে তারা রাতে আসে। কারণ রাতে আসলে আমি রান্নার অনেকটা সময় সুযোগ পাবো। যেহেতু ছোট বাচ্চা নিয়ে একা একা সব কিছু করতে হবে।তাই রাতে আসলে সব রান্না সময় মতো রেডি থাকবে সবকিছু গুছিয়ে পরিবেশনও করতে পারবো ।
হ্যাঁ প্রায় ১৪ জন কে দাওয়াত করা হয়েছিল
আমি সেই অনুযায়ী সকাল থেকে রান্না শুরু করেছিলাম। আমার বাসার খালাকে দিয়ে কাটাকুটা সব রেডি করে রেখেছিলাম। তারপর এক এক করে রান্না বসিয়েছি। যেগুলো গরম গরম পরিবেশন করতে হবে সেগুলো বিকেলের জন্য রেখেছিলাম। আর বাকিগুলো দুপুরের মধ্যেই রান্না শেষ করেছি। সবার পছন্দের কথা চিন্তা করে আমি পোলাও, রোস্ট, ডিমেরকোরমা,সালাদ,মাংস,
বেগুন ভাজা, মাছের কোপ্তাকারি,চাইনিজ ভেজিটেবল।আর ডেজার্ট হিসেবে রেখেছিলাম মিষ্টি, ফ্রুট কাস্টার্ড।
সময় মত রান্না করে রেডি করে রেখেছিলাম। সবাই রাত আটটার মধ্যে চলে এসেছিল।একবারে টেবিলে তো জায়গা হবেনা। এজন্য দুইবারে বসেছিল সবাই অর্ধেক অর্ধেক করে প্রথমে মহিলারা বসে ছিলেন। তারপর পুরুষেরা বসেছিলেন।বলছিলেন লেডিস ফার্স্ট বাসায় তো মেয়েরা আগে খেতে পারে না। এজন্য যেন দাওয়াতে এসে মেয়ের আগে খেয়ে সেই কষ্ট ভুলতে পারে। এজন্য মেয়েদেরকে আগে খাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। ছেলেরা সবাই পরে বসেছে।অনেক কাস্টার্ড মাংসটার অনেক বেশি পছন্দ করেছে। খাওয়া দাওয়া শেষে কিছুক্ষন গল্প করে সবাই চলে গেছেন।আর আমার চিন্তাও শেষ হয়েছে কারণ সবার খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল এবং কারো খেতে কোন সমস্যা হয়নি।
আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছ। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
ভাবি এটা কিন্তু ঠিক হলো না আমরাও আপনার প্রতিবেশী।আমাদের ছাড়া এই আয়োজন মানছি না মানবো না। আমাদের কবে খাওয়াবেন বলেন।যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার এই আয়োজন দেখে। সত্যি মানুষকে খাওয়ানোর মধ্যে আলাদা একটা তৃপ্তি আছে ভাবি। ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। অনেক বড় মানুষ হোক এবং আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করুক এই কামনাই করছি।
এটা তো কলিগদের আয়োজন ছিল।আপনাদের ও পালা আসবে।দোয়া করবেন ভাবি।অনেক ধন্যবাদ।