নানুর বাড়ির চরে ঘুরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছ। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নানু বাড়ির কয়েকটি ব্লগ আপনাদের সাথে এর আগেও শেয়ার করেছি। আজ শেয়ার করব বাড়িতে আসার দিন সকালবেলা আমরা কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেদিন সকাল যেহেতু অনেক পিঠা বানানো হয়েছিল পরের দিন সকালে বাকি পিঠাগুলো বানিয়ে আমরা সবাই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছিলাম। আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা নানুর বেশিরভাগ জমি সব ভেঙে গেছে নদীতে আর চর উঠে গেছে। এখন সেখানে নানান ধরনের ফসল ফলে। সবার কাছে গল্প শুনি কিন্তু যাওয়া হয়নি কখনো। তাই আমাদের সবার প্ল্যান ছিল সকাল সকাল খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেখানে চরে ঘুরতে যাব। সেভাবে বলে রেখেছিলাম পিচ্চিরা মামী খালা সবাইকে নিয়ে গেছিলাম চরে বেড়াতে। আমার তো খুবই ভালো লাগছিল। যেতে যেতে অনেকের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল।
বাঁধ থেকে নিচে নামার জন্য সুন্দর একটা সিড়ি করে দিয়েছে ।যার জন্য আমাদের নামতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো যে বাঁধ তৈরির সময় এখানে সিড়ি করে দিয়েছে। সবাই নেমে জমির দিকে যাচ্ছিলাম যেতে যেতে প্রথমে দেখলাম অনেক কুমড়া ধরে আছে। আর কুমড়া ফুল দেখে আমার এত বেশি ভালো লাগছিল আমি তো অনেকগুলো কুমড়া ফুল তুলে নিয়েছিলাম। কারণ আমারও ফুল ভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আমার মেয়ে চরে এসে অনেক খুশি হয়েচ। চরের এ মাথা থেকে অন্য মাথায় দৌড় দিচ্ছিল।
সবার সাথে ঘুরতে যাওয়ার একটা মজা হচ্ছে আমার ছেলে ছোট ওকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ওকে আমার কোলে নিতে হয়নি। কেউ না কেউ কোলে নিয়েছে। মা নয়তো খালা নয় আমার আম্মু এভাবেই চলেছে। আমার মেয়ের ওখানে তো অনেক বান্ধবী হয়েছিল। কারণ আমার মামাতো বোনরা অনেক ছোট। আমার এক মামাতো বোনের ছেলেও আমার মেয়ের সমবয়সী সব মিশে গেছে। আমার মেয়ে আমার আমার নানু বাড়ি খুবই পছন্দ করে। এটি খুবই পছন্দের জায়গা মাঝে মাঝে এখানে আসতে চাই। এখন তো আরো বেশি বলে এবার ঘুরে আসার পর।
যতই সামনে যাচ্ছিলাম ততই ভালো লাগছিল কারণ সামনে এত ধরনের চাষ হয়েছে জমিতে। কোথাও অনেক জমিতে মরিচ চাষ করেছে কোথাও শুধু ভুট্টা চাষ করেছে কোথাও ধনে চাষ করেছে আবার কোথাও মুলার চাষ হয়েছে। আমরা তো যেখানে যেটা দেখছিলাম সবাই তুলে নিয়েছিলাম কিছু কিছু করে বাসায় নিয়ে এসে রান্না করবো বলে। এত কিছু তোলার পরে সমস্যা হল এগুলোকে বেয়ে নিয়ে আসা। আমরা তো কেউ ব্যাগ নিয়ে যায়নি এজন্য পরে আবার আমার এক ছোট ভাই বাড়ি এসে আবার ব্যাগ নিয়ে গেছে। তারপর সমস্ত কিছু তুলে নিয়েছিলাম।অনেক পেয়াজ ও তুলে নিয়েছি।বাজারে পেয়াজের অনেক দাম। তারপর বাসায় নিয়ে এসে সেগুলো নিয়ে অনেক হাসাহাসি অনেক মজা করেছি।। কে কতগুলো নেবে কে কোনটা নেবে এগুলো নিয়ে অনেক হাসির মজা করেছি।আমার সবকিছু দেখে ইচ্ছা করছিল ওখানে আরো কিছুদিন থেকে যাই।
সবকিছু নিয়ে আমরা সবাই বাড়ি চলে এসেছি। সবাই এসে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় আসার জন্য রেডি হতে হবে। বাসায় আসার কথা চিন্তা করে একটু মন খারাপ হচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল আরো কিছুদিন থেকে যেতে পারলে ভালো লাগতো। তবে এবার নানিকে কথা দিয়ে এসেছি অল্প সময়ের জন্য এবার গেলেও এরপরে আমরা দু-তিনদিন যেয়ে থাকবো। একটু গরম পড়লে আমার ছেলে বড় হয়ে যাবে। আশা করি তখন আর সমস্যা হবে না ভালো।
নানুর বাড়ীর চরে ঘুরাঘুরি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে গেলে ভালই লাগে। চরের ছবি গুলো বেশে ভালো হয়েছে। আপনার মেয়েকে অনেক মিষ্টি লাগছে। ক্ষেত থেকে বিভিন্ন ফসল তোলার মজাই আলাদা। আপনারা বেশ উপভোগ করেছেন বুঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু, সুন্দর পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য।
আমার করা পোস্ট টি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।
নানু বাড়িতে গিয়ে এত আনন্দ করেছেন যে সেগুলোর মুহূর্ত শেষই হচ্ছে না আসলে নানু বাড়ি এমন একটি জায়গা যেখানকার সুন্দর মুহূর্তের কোন শেষ নেই। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তের কথা জেনে।মেয়েও দেখি গ্রামে গিয়ে বেশ আনন্দ করেছে।
ঠিক বলেছেন ভাবি নানুর বাড়ির মজাই আলাদা। অনেক ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নানুর বাড়িতে তাহলে সবাই মিলে বেশ ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন। নদী এলাকায় এমনি ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। কারণ নদীর পাশে জমিগুলো অনেক বড় বড় থাকে। তবে মামী খালা সবাইকে নিয়ে সকালবেলা অনেক মজাই করেছেন। সত্যি বলতে ওখানে অনেক ধরনের ফসল দেখা যাচ্ছে। তবে বাচ্চাদের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে তারা অনেক খুশি হয়েছে। এরকম সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। যাই হোক সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। এবং আমাদের মাঝে সুন্দর করে পোস্ট করেছেন।
আমার পোস্টে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ঘুরাঘুরি পোস্ট দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। নানুর বাড়িতে গিয়ে মামী খালা এবং ছোট বাচ্চা সহ সবাই গেলেন নদীর ধারে চরে ঘুরতে। তবে আমাদের বাড়ির পাশেও নদী আছে। আর নদী এলাকায় চর গুলোর মধ্যে এমনিতে বেশ ভালো লাগে ঘুরতে। এবং আপন মানুষ গুলোর বাড়িতে গিয়ে কোথাও সবাই একসাথে ঘুরার মজাই আলাদা। তবে দেখতেছি নদীর ধারে ওখানে অনেক ধরনের ফসল চাষ করেছে। এবং আপনার মেয়ে দেখতেছি ঘুরতে গিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। যদিও আপনার কষ্ট একটু কম হয়েছে আপনার ছোট বাচ্চাটি সবাই কোলে রেখেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ঘুরতে যাওয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।