🎌গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা||( ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
- ১৩, অক্টোবর ,২০২১
- বুধবার
আপনার সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী বড় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। আমাদের এলাজ একটি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
বড় নৌকার বাইচ
Device: A20s
অবস্থান:https://w3w.co/deprivation.shank.kilos
আজ আমি ঐতিহ্য বাহী মেলা ভ্রমণের গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করবো।এই দিনটি খুবই আনন্দের ছিল। নৌকা বাইচ বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। অনেক দূর দূরান্তে মাঝে মধ্যে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।আমাদের এলাকায় লালন শাহ্ এক্সপ্রেস নামে একটি নৌকা ছিল। বাব- দাদার আমল থেকেই এই নৌকা বাইচ এর প্রতি উৎসব মুখর পরিবেশে ঘটে চলেছে। কোথাও নৌকা বাইচের মেলার আয়োজন করলে আমাদের এলাকার নৌকা সেই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে থাকে। এলাকার মানুষের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আর যেখানেই মেলা হোক না কেন এলাকার সমস্ত লোক নিজের এলাকার নৌকার টানে মেলায় অবস্থান নেয়।
মাগুরা ঐতিহ্য বাহী নৌকা বাইচ মেলার আয়োজন করেছে। আমাদের এলাকার নৌকা লালন শাহ্ এক্সপ্রেস সেই মেলায় অংশ গ্রহণ করে। সেই কারণে এলাকার লোকজন ভিতর উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মেলায় যাওয়ার তেমন একটা ইচ্ছা ছিল না আমার। কারণ আমি একটু অসুস্থ থাকায় যাওয়ার অনুভূতি কাজ করছিল নাহ।তবুও বন্ধু ও এলাকার এক কাছের কাকার অনুরোধ সিদ্ধান্ত নিলাম মেলায় যাবো।মেলার আগের রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আগামীকাল সকাল নয়টার দিকে রওনা হবো।কাকা ও ভাগিনার মটর সাইকেল করে সকাল নয়টায় মেলার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লাম। আমাদের এলাকা থেকে মেলার দূরত্ব ৭০কিলোমিটার।আর মেলার নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হবে দুপুর ১২ টায়।
আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা শুরু করলাম মেলার উদ্দেশ্য। আমাদের এলাকা থেকে অনেক গুলো মোটরসাইকেল এক সাথে বেড়িয়ে ছিল। হালকা অসুস্থ ছিলাম তবে এলাকার লোকের সাথে মেলা যাওয়ার মুহুর্ত টা ভালো লাগছিল। বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মোটরসাইকেল এর তেল লোড দেওয়া হলো।অনেকে পিছনে পড়েছে তারা এসে জমায়েত হলো তারপর আবার রওনা দিলাম।
আমাদের মাঝে কেউই গন্তব্য স্থল সঠিকভাবে চেনে না।আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম ম্যাপের সাহায্যে পথ অতিক্রম করবো।সেইভাবে চলতে শুরু করলাম।কিছুটা পথ হাইওয়ে এর মাধ্যমে অতিক্রম করছিলাম। দশ কিলোমিটার অতিক্রম করার পর পার্শ্ব রাস্তায় প্রবেশ করলাম।অচেনা রাস্তায় যাওয়ার সময় একটু অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। গ্রাম অঞ্চলের মাধ্যমে যাওয়ার সময় খুব ভালো লাগছিল এলাকার পরিবেশ। এভাবেই পথ অতিক্রম করতে থাকলাম।দেড় ঘন্টা যাবৎ যাওয়ার পর অন্য একটি হাইওয়ে অবস্থান করলাম। সেই হাইওয়ের মাধ্যমে তিন কিলোমিটারের অতিক্রম করার পর একটি ব্রিজের দেখা সেখানেই ঐতিহ্য বাহী নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে।
ঐতিহ্য বাহী নৌকা বাইচের মেলায় অবস্থান নেওয়ার পর খুবই ভালো লাগছিল। অনেক জায়গা নিয়ে মেলাটি লেগেছে।আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে মেলার নিয়ম শৃঙ্খলা। মাগুরা জেলার সকল পুলিশ প্রশাসন সেখানে অবস্থান নেয়।তাদের সাথে আবার আনসার ব্যাটেলিয়ান উপস্থিত ছিল। পুলিশ এর প্রধান কমান্ডার তাদের নিয়ম শৃঙ্খলা ও দিকর্নিদেশনা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেলায় কোন ধরনের বিশৃঙখলা সৃষ্টি না হয় সেই রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের এলাকার লালন শাহ্ এক্সপ্রেস কুচকাওয়াজ করছে। তার একাংশ আপনারা ছবিতে দেখতে পারছেন।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট আটটি নৌকা মেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেকটা নৌকা আলাদা আলাদা সৌন্দর্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মেলায় ঘুরে ঘুরে সেই গুলো উপভোগ করছি। মেলায় অনেক দোকানপাট বসেছে। বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখে মগ্ধ হয়ে হয়ছি।
বাইচের নৌকা গুলো নদীতে কুচকাওয়াজ করছে। দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় জমিয়েছে সেই ঐতিহ্য বাহী নৌকা বাইচ দেখতে। আমাদের এলাকার নৌকার কুচকাওয়াজ পর্যবেক্ষণ করছিলাম।
বিকেল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আমরাও নদীর কুলে এসে ভিড় জমায়ই।এক সাথে চারটি নৌকা প্রতিযোগিতা করে তার মধ্যে লালন শাহ্ এক্সপ্রেস ও জলপরী বিজয়ী হয়।
তারপর বিজয়ী নৌকা গুলো টান দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতার শেষ মাথায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর আবার মেলার শেষ আকর্ষণ ফাইনাল টান শুরু হয়।লালন শাহ্ এক্সপ্রেস ও জলপরী মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় জলপরী বিজয়ী হয়। লালন শাহ্ এক্সপ্রেস দ্বিতীয় হয়।
নৌকা বাইচের ফাইনাল টানের মাধ্যমে মেলার আকর্ষণ শেষ হয়ে যায়। বাইচ প্রতিযোগিতায় যারা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে তাদেরকে ১১০ সিসি ও ১০০ সিসির মোটরসাইকেল পুরস্কার ঘোষণা করে মেলা কমিটি।তৃতীয় স্থান অধিকারী পান একটি ফ্রীজ।আমরাও মেলা দেখা শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হই।
আপনি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচের খুব সুন্দর ফটো তুলেছেন সেই সাথে আরো সুন্দর করে বাইচ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার অনেক পুরাতন একটি ঐতিহ্য। গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের একটি মাধ্যম
গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর দৃশ্য বন্ধুরা, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ সবাইকে
গ্রাম বাংলার নৌকা বাইচ এখন বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে তবে বিভিন্ন জেলায় এখনো এটা বেশ জাক জমক ভাবে উপস্থাপন করা হয়।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ছিলো ভাই।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছবি ও উপাস্থাপন সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।নদীমাতৃক গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে এই খেলা প্রায়ই আয়োজন করা হয় থাকে।আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুমতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নৌকা বাইচ এখন বিলুপ্তির পথে।আপনি অনেক জার্নি করে সেখানে গিয়েছেন।ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা যা এখনো সবার কাছে প্রিয়। গঠনমূলক পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সুমতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।নদীমাতৃক গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে এই খেলা প্রায়ই আয়োজন করা হয় থাকে।আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
নৌকা বাইচ অত্যান্ত একটি জনপ্রিয় খেলা। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।