অসাধারণ একটি বিকেল -
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। এই সময়ে গ্রামে দুর্দান্ত পরিবেশ বিরাজমান। ঢাকা থেকে যেদিন বাড়িতে আসলাম সেদিন লক্ষ করলাম ঢাকার আর গ্রামের পরিবেশের পার্থক্য। ঢাকাতে এখনো গরম লাগে কিন্তু গ্রামে নাতিশীতোষ্ণ বা রাত্রে একটু শীতল পরিবেশ। সারাদিনের পরিবেশটা না শীত- না গরম এমন। কিন্তু অন্ধকার নামলে একটু শীত অনুভূত হয়। বারটি মাসের মধ্যে এই সময়টাই সবচেয়ে বেশি পারফেক্ট লাগে আমার কাছে। যদিও শীত আমার সবচেয়ে প্রিয়। আর আরামদায়ক পরিবেশের জন্য এই সময়টাই বেস্ট।
যাইহোক যেদিন আমরা পিকনিক করলাম সেদিন বিকেল বেলা অনেকদিন পর সবাই একটু নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। সময়টা কোন কিছু করার ছিল না। ভাবছিলাম একটু নদীর পাড়ে গিয়ে সময়টা কাটিয়ে আসি। উদ্দেশ্য ছাড়াই গেছিলাম সূর্য অস্তের মুহূর্তটা নদীর পারে কাটাতে। আমরা যে জায়গায় গিয়ে বসেছিলাম সেই জায়গাতেই আর কিছুদিন পর অতিথি পাখির আনাগোনা দেখা যাবে। সেই সময়টা আরো সুন্দর লাগে এখানে এসে বসতে।
আমরা গিয়ে খুবই অল্প সময় বসে ছিলাম। ১০-১৫ মিনিট পর আবারও চলে এসেছিলাম। কিন্তু মাথায় ভূত চাপলে যা হয়। চিন্তা করলাম ভালো রাস্তাতে না গিয়ে খুব কম ব্যবহৃত রাস্তা বা যেখান দিয়ে মানুষ খুব কম চলাচল করে সেই পাশ দিয়ে বাইক নিয়ে যেতে । এই পথের কিছু অংশ অনেকটাই জমির আইলের মত সরু।
যারা অফরোডিং করতে পছন্দ করেন তাদের কাছে আর কিছু না বলি, কিন্তু যারা অফরোডিং তেমন একটা কখনোই করেননি তারা ট্রাই করে দেখবেন এটার মধ্যে একটা আলাদা রকম মজা আছে। আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন ব্যাপক মজা পাচ্ছিলাম সত্যি বলতে। কখনো আইলের উপর থেকে গাড়ির চাকা নিচে চলে যাওয়া, কখনো পিছনে তাকিয়ে দেখি পিছনের গুলো গাড়িসহ আইলের পাশে পড়ে আছে।
আবার কোথাও কোথাও তো বোণ রয়েছে অনেক, তার মধ্যে গাড়িসহ ঢুকে যেতে হচ্ছিল। কারণ এই রাস্তা দিয়ে খুবই কম চলাচল করে মানুষ। আর গাড়ি, সে তো মাথায় ভূত না চাপলে কেউ এসে সাহস পাবে না। তবে এখানে দুর্দান্ত একটা মুহূর্তের দৃশ্য অবলোকন করেছি। নদীর পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন সূর্য অস্তের সিনারিটা অসাধারণ লাগছিল।
খুব অল্প সময় কিন্তু অনেক বেশি সময়ের চাইতেও দামি এমন মুহূর্তগুলোতে মাঝেমধ্যেই নিজেকে দেখতে ভালো লাগে। এরপর তো পিকনিকের কাজের কারণে আবার চলে আসতে হল। ছবিগুলো তুলে রেখেছিলাম, ভেবেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ শেয়ার করে ফেললাম আপনাদের সাথে। আশা করছি ভালো লেগেছে আপনাদের। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস: Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
লোকেশন: পদ্মা নদীর কোল-এর পাড়
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া ঠিক বলেছেন এই সময়টাতে গ্ৰামের পরিবেশ দুর্দান্ত লাগে। আপনার মতো আমিও শীতকাল খুব পছন্দ করি। কিন্তু বর্তমানে শীত খুব কম থাকে আর গরম বেশি থাকে যা একদমই ভালো লাগে না। ঢাকা শহরে তো শীতের সময়েও শীতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সময়টায় আপনি গ্ৰামে নদীর পাড় ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। নদীর পাড়ের এত সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যিই সূর্য অস্তের দৃশ্য খুবই চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া বিকেল বেলার নদীর পাড়ের এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্যটিও অনেক সুন্দর ছিল। চেষ্টা করব আরো এমন সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
শীতের সময় সকালবেলা এবং বিকাল বেলা মিষ্টি রোদের আলোয় সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। পড়ন্ত বিকাল বেলা গ্রামে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। এবং অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শহরের তুলনায় গ্রামে ঠান্ডার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। আর ঢাকায় তো গরম মনে হয় এখনো রয়ে গেছে। তবে গ্রামের দিকে কিন্তু বেশ ঠান্ডা পড়েছে ভাইয়া। যাইহোক ভাইয়া আপনি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ আমরা সবাই জানি। আর নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতেও ভালো লাগে। আসলে যেই রাস্তা গুলোতে লোক চলাচল কম সেই রাস্তাগুলো দিয়ে যেতে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
আর আপনাদের এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের কারণেই আবার আমার সেইসব অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপু।
সত্যি ভাইয়া অসাধারণ একটি বিকেল কাটিয়েছেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পিকনিকের দিন কিছু সময়ের জন্য নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে চমৎকার একটি বিকেল উপভোগ করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই আপনি অসাধারণ একটি বিকেল উপভোগ করেছেন। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম যেদিন আপনারা পিকনিক করেছিলেন সেদিন বিকেলে নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন এবং খুবই সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি সেখান থেকে সংগ্রহ করে ছিলেন এবং সেটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি বিকালের দৃশ্য উপভোগ করেছি। আপনি ঠিক বলছেন আসলে মাঝে মাঝে মাথায় ভূত চাপলে কি হয় সেটা নিজেও জানিনা। তবে নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন। সেই সাথে ভিন্ন একটি রাস্তা দিয়ে গেলেন এর মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম। এছাড়াও শেষ মুহূর্তের আকাশের দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি অসাধারণ ছিল।
আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই দারুণ একটি বিকাল কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এত ভালো লেগেছে। নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম । প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির ভিতরে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই বিকেলবেলার নদীর পাড়ের এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাদের এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পাই বলেই আরো শেয়ার করতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আপু।
অফরোডিং করতে আমি বেশ পছন্দ করি। আমার বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হলে এটা প্রায়ই করে থাকি আমরা। একেবারে তো বেশ ভালো বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখে রাস্তায় শুধু কাদা আর পানি হা হা। কিছু কিছু সময় কখনো ভোলা যায় না। স্মরণে থেকে যায়। যেমন এই বিকেলে টা। চমৎকার ছিল ফটোগ্রাফি গুলো ভাই।
পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। নদীর পাড়ে সূর্যাস্ত দেখতে আরও বেশি ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে অল্প সময় থাকলেও দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। ফড়িং এর ফটোগ্রাফিটা দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে। আইলের উপর দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যেতেই হয় এবং বেশ আনন্দ লাগে তখন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।