Bandarban Diary - তমা তুঙ্গী থেকে তাজিংডং ও কেওক্রাডং।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। বান্দরবান ডায়েরির আজকের পর্বে শেয়ার করব তমাতুঙ্গী থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং, কেওক্রাডং এবং ডিম পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতা। রেমাক্রি যাওয়ার পথে আমরা এই জায়গাতে অল্প কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।

1708046990629-01.jpeg

1708047007220-01.jpeg

তমা তুঙ্গী পর্যটক কেন্দ্রটি বা ভিউ পয়েন্টটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন একই জায়গা থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং, কেওক্রাডং এবং ডিম পাহাড় দেখা যায়। আমরা তমা তুঙ্গীতে পৌঁছানোর পর সবাই ফটোশুট করলাম কিছু। সামনেই দেখছিলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ। সরকারি হিসেবে তাজিংডং ১২৮০ মিটার উচ্চতার বাংলাদেশের সবচেয়ে উচ্চ পর্বত।

1708046850599-01.jpeg

1708046869590-01.jpeg

1708046977483-01.jpeg

1708046956392-01.jpeg

এই ভিউ পয়েন্ট এমন একটি জায়গা যেখানে দাঁড়িয়ে কল্পনা করা যাবে ওই সামনের পাহাড় টার ওই পাশেই মায়ানমার। সেদিন মেঘ না থাকার কারণে আমরা অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ভিউ মিস করেছি। এই জায়গাটা পুরোটাই মেঘের চাদরে যদি ঢাকা থাকা দেখতাম তাহলে দিগন্ত জুড়ে আমরা শুধু মেঘ আর মেঘ দেখতাম। মনে হতো মেঘের চাদর বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কোমল তুলতুল ফুলকো মেঘের উপরে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতিটা মিস করেছি আমরা।

আমরা যখন তমা তুঙ্গীতে ছিলাম তখন সূর্যের আলো তীর্যকভাবে পরছিল সেখানে। বান্দরবানের দিকে শীত কমই মনে হলো। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে এবং দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে শীত কম সেটা অবশ্য আগে থেকেই জানতাম।

1708046909704-01.jpeg

1708046934882-01.jpeg

1708046956392-01.jpeg

1708046977483-01.jpeg

শুধু ইমাজিন করুন, এই জায়গাটাতে যদি মেঘলা কোন সময় ঘুরতে যাওয়া যেত তাহলে ভিউ টা কেমন দেখা যেত। একটা ভয়ংকর ডায়নামিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারতাম। আবার যদি কখনো বান্দরবান আসি তবে বর্ষার সময়েই আসতে হবে। পাহাড়ি অঞ্চল বর্ষার সময় সবচেয়ে বেশি সুন্দর।

আগামী পর্ব থেকে রেমাক্রি যাওয়ার গল্প শেয়ার করা শুরু করবো আপনাদের সাথে। এবারের ট্যুরের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং পার্ট সেটা ছিলো। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি, আল্লাহ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 4 months ago 

হ্যাঁ এই জায়গাটায় যদি মেঘলা কোন সময় যাওয়া যায় তাহলে জায়গাটার আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তবে তারপরেও ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

বাহ্! ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। জায়গাগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনারা বেশ উপভোগ করেছেন। তবে মেঘলা সময় গেলে আসলেই আরও বেশি উপভোগ করতে পারতেন। এমন উঁচু উঁচু পাহাড় এবং উপরে একেবারে স্বচ্ছ নীল আকাশ দেখলে, যে কারোরই মন ভালো হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম পোস্টটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক এমন মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

প্রথম ফটোগ্রাফির আকাশ দেখেই তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া।কতো চমৎকার লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো। সুবহানাল্লাহ আল্লাহর সুন্দর সৃষ্টিকে।চোখ, মন জুড়িয়ে গেলো দেখে।আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারলাম।তবে মেঘ হলে আরো বেশী ভালো লাগা কাজ করতো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

ভাইয়া পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং, কেওক্রাডং ,তমা তুঙ্গী। এসব কি বাংলা ভাষা। এই ভাষার জন্য রফিক,জবার,বরকত শহীদ হয়েছে। এখন তো মনে হচ্ছে এত কঠিন ভাষা থেকে উর্দ ভাষাই সহজ ছিল,হা হা হা। এসব জায়গাতে কখন যে যাবো,আল্লাহই জানে। যদি ঐদিন আকাশ মেঘলা থাকতো তাহলে আপনারা অনেক কিছু দেখতে পারতেন। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 65566.66
ETH 3559.87
USDT 1.00
SBD 2.48