Bandarban Diary - নীলগিরি পর্ব -১

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। বান্দরবানে উনিশ তারিখে আমরা তেমন একটা পছন্দের জায়গায় ঘুরতে পারিনি। ২০ তারিখের আমাদের প্ল্যান পাকাপোক্ত করে ফেলেছিলাম আগে থেকেই। ১৯ তারিখ রাতে আমরা একটি চাঁদের গাড়ি ঠিক করে ফেলেছিলাম।

1706668894950-01.jpeg

আমাদের প্ল্যান ছিল খুব ভোরে বেরিয়ে যাব। অনেক সকালে না যেতে পারলে নীলগিরির আসল সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে না। আমরা যে গাড়ি ভাড়া করেছিলাম সেটার রেন্ট ছিল ১০ হাজার টাকা। প্রথমে আমরা যাব নীলগিরি, এরপর যাব আলীকদম হয়ে ডিম পাহাড়, এরপর থানচি। থানচি থেকে নেমে আমরা রেমাক্রির উদ্দেশ্যে নৌকা নিয়ে যাব। সেখানে এই গাড়ি একদিন ওয়েট করবে আমাদের জন্য। পরের দিন আমরা এসে আবার এই গাড়িতে ব্যাক করব। সব মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে।

1706668940926-01.jpeg

1706668965521-01.jpeg

1706669013320-01.jpeg

২০ তারিখ খুব সকালে আমরা হোটেলের নিচে নেমে আসলাম। গাড়ি আগে থেকে আমাদের জন্য ওয়েট করছিল কারণ আগে থেকেই ভালোভাবে বলে রাখা হয়েছিল ওনাকে। আমরা সবাই শীতের খুব ভালো প্রটেকশন নিয়ে গাড়িতে উঠলাম। গাড়ি তো পিছনে একদম খোলা থাকবে আর পাহাড়ি রাস্তায় জোরছে গাড়ি যখন চালাবে তখন প্রচুর বাতাস লাগবে। আমরা এঁটে সেঁটে বসে পড়লাম গাড়ির পিছনে।

1706669078468-01.jpeg

পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা দিয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছে আমাদের চাঁদের গাড়ি। আমরা শুধু চারিপাশের পরিবেশ দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। প্রথমেই আমাদের কয়েকটি গ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। গ্রামগুলো পেরোলেই আবার বড় বড় পাহাড়ি রাস্তা। আমি গাড়ির একদম পিছন সাইডে বসে রাস্তার অনেক ছবি তুলেছি। দৃশ্যগুলো এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি আলাদা ফটোগ্রাফি পোস্টে সবচেয়ে সুন্দর ফটোগুলো শেয়ার করব।

1706668990778-01.jpeg

1706669044297-01.jpeg

1706669060735-01.jpeg

চলতে চলতে লক্ষ্য করলাম পাহাড়ের কোল থেকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যি মামা। কুয়াশা কেটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কিছুটা মন খারাপ হলো। ভেবেছিলাম নীলগিরিতে গিয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন একটি রোমান্টিক পরিবেশ উপলব্ধি করব। যাহোক সেটা আর হলো না। কিছুটা মন খারাপ নিয়েই এগোচ্ছি হঠাৎ লক্ষ্য করলাম সামনে ঘন কুয়াশা। আমরা সবাই অবাক হলাম। এই তো একটু আগে রোদ দেখলাম আর এখন এত কুয়াশা, সূর্যের কোন দেখাই নেই। পাহাড়ি কিছু কিছু এলাকায় হয়তো এরকম কুয়াশা বেশি দেখা যায়। এর হয়তো কোন ব্যাখ্যা আছে কিন্তু যাইহোক আমাদের জানা নাই।

1706669144319-01.jpeg

1706669163700-01.jpeg

1706669220802-01.jpeg

1706669237384-01.jpeg

1706669275709-01.jpeg

এত সুন্দর কুয়াশা ছিল যে গ্রামটি অমায়িক সৌন্দর্যে টানছিলো আমাদের। চলছে চলতে আমরা দেখলাম গ্রামের মধ্যে সুন্দর একটি চায়ের দোকান। হঠাৎ এটা আমার চোখে পরার পরেই গাড়ি থামাতে বললাম। গাড়ি থামানোর পর আমরা নেমে সবাই সে দোকানটাতে গেলাম। সেখানে সকালের নাস্তাও পাওয়া যায় দেখলাম। আমাদের দেখে ওখানকার স্থানীয় মানুষ গুলো কেমন জানি খুশি হয়ে গেল যেটা লক্ষ্য করেছি আমি।.....



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

এর আগেরবার নীল গিরিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এবার ও নীলগিরির সেই সুন্দর ভিউ দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু রাস্তার কাজ চলার সেটার হলো না । সত্যিই খারাপ লেগেছিল সবার মধ্যে বিশেষ করে যারা এই টুরে নতুন ছিল। যাই হোক এটাও একটা অভিজ্ঞতা এই চায়ের দোকানের দারুন সময় কাটিয়েছিলাম যেটা এখন স্মৃতি।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বান্দরবন ঘুরতে গেলে আমি আগে নীলগিরিতে যাবো। কারন আপনার আগের পোষ্ট গুলো পড়ে বুঝতে পারলাম প্রথম দিন যে কয়টা জাগায় গেছেন পুরো হতাশ। নীলগিরির রাস্তা গুলোই কত সুন্দর লাগছে। তাহলে মেইন পয়েন্ট গেলে কেমন লাগবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 6 months ago 

শীতকালে চাঁদের গাড়িতে এতো সকালে চড়লে ভীষণ ঠান্ডা লাগে। আমি সাজেক গিয়ে এতো সকাল সকাল চাঁদের গাড়িতে উঠে কংলাক পাহাড়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক নীলগিরির রাস্তাঘাট তো আসলেই খুব সুন্দর। পাহাড়ি কিছু কিছু এলাকায় আসলেই অনেক কুয়াশা থাকে। ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ উপভোগ করলাম ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61078.25
ETH 2671.36
USDT 1.00
SBD 2.51