এ বছর শীতে প্রথম চরের সৌন্দর্য দর্শন।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত একটি পোস্টে আমি শেয়ার করেছিলাম আমার বন্ধু এসেছে আমাদের এলাকায় ঘুরতে। ও যেদিন এসেছিল সেদিনই ওকে নিয়ে ঘুরতে গেছিলাম চরে। বহুদিন পর আমি চরে নামলাম সেদিন। এ বছরে চরের সৌন্দর্য উপভোগ করা হয় নাই। সেদিন বন্ধুকে নিয়ে একবারে ১০-১২ জন গেছিলাম চরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
এখন চরের এ প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে বাইক নিয়ে যাওয়া যায়। মাসখানেক আগেও অবশ্য মাঝখানে একটু পানি পার দিয়ে যেতে হতো। যাইহোক, আমরা বিকেল তিনটার দিকে বেরোলাম সবাই। এই সময়টা একদম পারফেক্ট চরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। সূর্য মিষ্টি আলো দিচ্ছে, বিকেলের ব্রাইট পরিবেশ। সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর জিনিসটা হচ্ছে বাতাসে সরিষা ফুলের ঘ্রাণ। এই মন মাতানো ঘ্রাণ আমার সবচেয়ে প্রিয়। এর থেকে ভালো ফ্রেশ আর সুন্দর অক্সিজেন অন্য কোথাও হয়তো পাওয়া যায় না।
যাত্রাপথে এক জায়গায় আখের খুলা দেখে রস খেতে গিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যেই একজনের নানার খুলা এটি। সবাই আখ খেলাম এরপর নিজেরাই মেশিন স্টার্ট দিয়ে কিছু সুন্দর সুন্দর আখ বাছাই করে রস বানিয়ে খেলাম। রস খাওয়া শেষ করে আবার আমাদের যাত্রা শুরু ।
যাত্রাপথের প্রত্যেকটা জায়গায় যেন আলাদা আলাদা সৌন্দর্য প্রকাশ করতে দেখেছি আমরা। তবে এবার গতবারের তুলনায় কম সরিষা চাষ হয়েছে। আঁকাবাঁকা মেঠো পথের দু পাশে সরিষার জমি, মাঝখান দিয়ে আমরা শুনেছি মেইন পদ্মার উদ্দেশ্যে। অনেকক্ষণ ড্রাইভ করার পর আমরা পদ্মা নদীর কাছে পৌঁছে গেলাম।
প্রত্যেকবার শীতেই এই জায়গাটাতে আমরা আসি। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার মুহূর্ত হলো মটরের ফুল আর সরিষা ফুলের জমির পাশ দিয়ে আসা। মটরের ফুল অবশ্য আরো কিছুদিন পর বেশি দেখা যাবে। যাইহোক পদ্মা নদীর পাশে গিয়ে আমরা অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। বন্ধু পাপ্পু ভীষণ খুশি এই জায়গাটাতে আসতে পেরে। ও নিজেও এসপেক্ট করতে পারেনি জায়গাটি এত সুন্দর হবে। আসলে ছবিতে যতটা সুন্দর লাগছে বাস্তবে তার থেকে অনেক গুণ বেশি সুন্দর।
আমরা আসরের আযান অব্দি ওখানেই ছিলাম। মন চাচ্ছিল না ওখান থেকে ফিরে আসতে। আমাদের যাওয়ার প্ল্যান ছিল আরো একটি জায়গায় কিন্তু বন্ধু তারপরের দিন চলে যাবে জন্য আর তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। কারণ সেখানে যেতে হলে বিকেল বেলা যেতে হবে যেটা পরের দিন ছাড়া সম্ভব নয়। যাইহোক আমরা আসরের আযানের দিকে ওই জায়গা থেকে চলে আসছিলাম । আমাদের আরো একটি প্ল্যান ছিল হাঁস কিনে সেটা দিয়ে পিকনিক করার।
সেদিনই আমরা হাঁস কিনে পিকনিক করে ফেলেছি। হাঁস কিনে পিকনিক করার গল্প আগামী পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
চরে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। প্রকৃতিকে অনেক কাছ থেকে দেখা যায় এবং নিরব প্রকৃতিও উপভোগ করা যায়। ঐদিন অনেক বেশি মজা হয়েছিল। সব মিলিয়ে বিকালটি অসম্ভব সুন্দর ছিল।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলে শীতকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি বেশি দারুন হয়ে থাকে। সরিষা ক্ষেতের ফুলের সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে দেয়। গ্রাম বাংলার প্রকৃতির পরিবেশে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নিশ্চয়ই প্রকৃতির পরিবেশে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করছেন। আখের রস খাওয়ার অনুভূতি বেশ দারুন। হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিকে বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শুনেছি শীতের দিনে চরে ঘুরাঘুরি করতে নাকি দারুণ লাগে। যদিও এই অভিজ্ঞতা আমার হয়নি কখনো। তবে সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে গেলে সরিষা ফুলের ঘ্রাণে মনটা একেবারে ভরে যায়। গতকালকে সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যাইহোক আপনার বন্ধু পাপ্পু এবং আরও বেশ কয়েকজন মিলে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন বিকেলে। নদীর পাড়ের দৃশ্য খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। আগামী পর্বে তাহলে পিকনিক করার গল্প শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। সেই অপেক্ষায় রইলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আগেও অনেক চরে যাওয়ার গল্প শুনেছি এবার শীতে বন্ধুদের সাথে পদ্মার পাড়ে চলে গেলেন খুব চমৎকার একটা মুহূর্ত, সেখানে এক বন্ধুর নানার বাগান থেকে আখের রস খেলেন এবং হাঁস দিয়ে পিকনিক বন্ধুদের সাথে খুব চমৎকার একটা দিন কেটেছে তাহলে।
শুধু আপনার নয় প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে সবাই আটকে যায় আর এই সময়ে তো সরিষা ফুলের সৌন্দর্যটা সবার কাছে ভালো লাগে তাছাড়া নদীর পাড়ের সৌন্দর্য সবার কাছে ভালো লাগবে এটা অসাধারণ কিছু না। সেখানে অনেক সময় কাটিয়ে ছিলেন আর সৌন্দর্যটা এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যেখান থেকে আপনার যেতেই মন চাইছিল না।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এ বছর চরের সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আপনার এক বন্ধু আসাতে তাকে নিয়ে ১০/১২ জন মিলে চরে গেলেন।আপনারা সবাই মিলে আখ খেয়েছেন।আবার নিজেরাই আখের রস করে খেয়েছেন। জায়গাটি সত্যি ই খুব মনোমুগ্ধকর। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে তাই মনে হচ্ছে।আপনারা সেদিনই হাঁস কিনে পিকনিক করলেন।আশাকরি পরবর্তী কোন পোস্টে তা দেখতে পাবো।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
শীতকালের প্রকৃতি মানে অন্যরকম একটি আলাদা সৌন্দর্য। চরের সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি মনমুগ্ধ করছিল। ফ্রেস আখের রস খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আখের ক্ষেত ও পাশের জমিটি দেখে আমার গ্রামের বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল।এক বছরের বেশি হলো আমার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না। তবে জায়গাটি দেখে চমকে গেছি। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কয়েকদিন আগে আমিও ফেরদৌসের সাথে চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে আপনারা বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে গিয়েছেন সেজন্য মজা বেশি হওয়ার কথা। বন্ধু-বান্ধব মিলে এরকম জায়গায় ঘুরতে গেলে একটা অন্য রকমের মজা হয়। একটা সময় আমিও যেতাম বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। তবে এখন আর সেই ভাবে বন্ধু-বান্ধব পাওয়া যায় না। নিঃসন্দেহে আপনার এই ঘোরাফেরাটা ছিল দারুন একটা অভিজ্ঞতা।
দু'চার বছর পর আমিও হয়তো আর একসাথে এতজনকে পাব না।
বিকেলবেলা চর ভ্রমণির মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ লেগেছে। এত সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণ করেছেন দেখে যেন আমার ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগলো। আসলে আপনারা তিনটার দিকে বেরিয়েছেন আর তিনটার সময় পরিবেশ অসাধারণ, মিষ্টি মিষ্টি রোদ থাকে পরিবেশটা খুবই ভালো লাগে। চারপাশে সরিষা ফুলের সমাহার কি অপরূপ সৌন্দর্য দৃশ্য এবং বেশি ভালো লেগেছে আখের রস খাওয়ার মুহূর্ত। আপনারা নিজেরাই মেশিন চালিয়ে আখের রস খেয়েছেন। সত্যি এই দৃশ্যগুলো অসাধারণ লেগেছে। বন্ধুদের সাথে দারুন সময় উপভোগ করেছেন।