কলকাতায় শেষ দিন-২ [স্ট্রিটফুড ]
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে লিখেছিলাম সকালবেলা শ্রীলেদার্স থেকে কিছু শপিং কমপ্লিট করে বাসায় সব কিছু রেখে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম স্ট্রিটফুড খাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিংপ্রোস ভাইয়ের সাথে হেঁটে চলছি। সেদিনের আবহাওয়া বেশ গরম ছিল। পরিবেশটা যদি আরেকটু ঠান্ডা থাকত বেশি এনজয় করতে পারতাম। যাই হোক অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে চললাম।
মন চাচ্ছিল গাড়িতে যাই, কিন্তু পথগুলো এমন ছিল যে এই লাইনের গাড়িতে উঠলে একটু পরে আবার নামতে হবে তারপর অন্য লাইনের গাড়িতে উঠতে হবে। দেখা যাচ্ছে ২ কিলো যেতে আমাদের তিন-চারটা গাড়ি চেঞ্জ করতে হচ্ছে। এজন্য কিংপ্রোস ভাই আমাদেরকে হাঁটিয়াই নিয়ে গেল। বেশ খানিকটা হেঁটে যাওয়ার পর একটা গলি দেখতে পেলাম। এই জায়গাটাতে নাকি কিংপ্রোস ভাই মাঝেমধ্যেই এসে স্ট্রিটফুড খায়। আমাদেরকেও পরিচয় করিয়ে দিল গলিটির সাথে।
সেখানে একটা দোকান ছিল যেখানে নুডুলস, ফ্রাইড রাইস, চিলি চিকেন, চিকেন ললিপপ ইত্যাদি বিক্রি করে। আলাদা আলাদাভাবে কেনার প্রয়োজন নেই। প্যাকেজে বিক্রি করে। কিংপ্রোস ভাই নিলেন ফ্রাইড রাইস আর চিলি চিকেন। আমি হাফিজ ভাই আর আরিফ ভাই নিলাম নুডুলস আর চিলি চিকেন। এক প্লেট ভর্তি নুডুলস। দাম যেন কত রেখেছিলো মনে নেই। তবে প্রাইস হিসেবে পরিমাণটা দেখে অবাক হয়েছিলাম। এক্সপেক্টেশন থেকে অনেক বেশি দিয়েছিল। নুডুলস মোটামুটি আমি শেষ করে ফেলছিলাম। কিন্তু আরিফ ভাই বেশি একটা খেতে পারেনি প্রচন্ড ঝালের কারণে।
চিলি চিকেন এতটাই ঝাল ছিল আরিফ ভাই তো খেতেই পারেনি আর আমারও প্রচুর ঝাল লেগে গিয়েছিল। যদিও আমি ঝাল বেশি খাই তারপরেও একটু বেশিই ঝাল মনে হচ্ছিল। তবে চিলি চিকেন এর ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক ছিল। নুডুলস এর সাথে পেয়াজ, শসা আর গাজরের সালাদ ছিল। সালাদ থাকার কারণে খেতে একটু বেশিই ভালো লাগছিল। যাই হোক মনে হচ্ছিল ফ্রাইড রাইস নিলেই বেশি ভালো হতো। কারণ মেলা নুডলস খেয়ে ফেলার কারণে পেট ভরে গিয়েছিল। অথচ স্ট্রিটফুড খাওয়া কেবল শুরু করলাম।
নুডুলস খাওয়া শেষ করার পর আমরা চিকেন ললিপপ নিলাম চারজন চারটি। চিকেন ললিপপটা মোটামুটি ভালই লাগলো। এই মুহূর্তে একটা ঠান্ডা কোক খুব প্রয়োজন ছিল। দুঃখের বিষয় আশেপাশে ফ্রিজের ঠান্ডা কোক পেলাম না। যাহোক, কি আর করার। আচ্ছা এবার আসি খাবারের রেটিং নিয়ে। দোকানের পরিবেশ খুব একটা ভালো ছিল না। যদিও ম্যাক্সিমাম স্ট্রিটফুডের দোকান গুলোর পরিবেশে এমনই। দোকানের আশেপাশের ছবি তোলা হয়নি। সবদিক বিবেচনা করে ১০ এ ৬ দিব আমি। খাবারের স্বাদ মোটামুটি ভালোই লেগেছে।নুডুলস একটু হার্ড ছিল, চিলি চিকেন ছিল বেস সফ্ট। সাথে সালাদ দেওয়ার কারনে কম্বিনেশনটা বেশ জমে উঠেছিল। স্বাদের দিক থেকে আমি ১০ এ ৭.৫ দিব।
এবার আসি চিকেন ললিপপে। চিকেন ললিপপটা ছিল ঠান্ডা। খেতে মুখরুচো ছিল কিন্তু উপরের চাটনি টা তেমন একটা ভালো লাগেনি। চিকেন ললিপপকে আমি ১০ এ ৬.৫ দিব। যাহোক এটাই ছিল মোটামুটি আমার অভিজ্ঞতা। মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম অবশ্যই জানাবেন কেমন লাগলো। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি পরবর্তী পর্বে দেখা হবে চিত্ত বাবুর বিখ্যাত দোকানের গল্প নিয়ে ইনশা আল্লাহ্ । আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নুডুলসের প্লেট দেখে তো মনে হচ্ছে সত্যিই অনেকটা বেশি দিয়েছে। তবে ঝালের কারণে বেচারা আরিফ ভাই খেতেই পারেনি। খাবারের মান এবং পরিবেশ সবকিছুর উপর ভিত্তি করে আপনি দারুন মার্ক দিয়েছেন ভাইয়া। স্ট্রিটফুড গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কলকাতার স্ট্রীটফুড খাওয়ার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ খাবারগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশ ঝাল ঝাল। আর এই ঝালের কারণে আরিফ ভাই ভালো মত খেতে পারিনি । আসলে বেশি ঝাল খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে এমনটাই হয়। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কলকাতার স্ট্রীট ফুডের অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন, পড়ে অনেক কিছুই জানলাম।স্ট্রীট ফুডগুলোর আশেপাশে এমন ই থাকে। আপনার নুডুলস তো বেশ অনেকটাই দিয়েছে।তবে খাবার ঝালের কারনে আরিফ ভাইয়া খেতে পারেননি।চিলি চিকেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঝাল।আমি হলে খুব কম সময়েই খেয়ে নিতাম।কারন ঝাল আমি খুব পছন্দ করি।আপনি খাবারের মান দেখে রেটিং ও দিলেন,বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
সত্যিই অতিরিক্ত গরমে কিছু ভালো লাগে না, বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পরিবেশ উপযোগী হয়।বাঙালিরা তো হাঁটতে ভালোবাসে তাই কিংপ্রোস দাদা আপনাদেরকে হাটিয়েই নিয়ে গেছে।যাক,আমার মতো একজন ঝালপ্রেমী মানুষ পেলাম।আমার পুলিশ দাদা ডিউটির পাশাপাশি যে ঝাল বেশি খায় এটা জেনে ভালো লাগলো।কিন্তু আরিফ ভাইয়াকে ঝাল খাওয়ার দলে আর নেওয়া গেল না,হি হি।খাবারের তো দারুণ রিভিউ দিয়েছেন,ধন্যবাদ দাদা।
আপনারা দেখছি চার গোয়েন্দা মিলে কলকাতার স্ট্রিট ফুডের ভালোই স্বাদ গ্র্রহন করলেন। কিংপ্রোসদার ছবি দেখেই তো বুঝা যায় যে সে কতটা হাটঁতে পারে। এক প্লেটে এতগুলো নুডুলস। কতক্ষনে সাবার করলেস ভাইয়া? আমিও কিন্তু ঝালের দলে নয়। আরিফ ভাই বেচারার জন্য কষ্টই লাগছে। ঝালের জন্য আর খেতে পারলো না। তবে ধন্যবাদ ভাইয়া। আজ আপনার মাধ্যমেই কলকাতার এত লোভনীয় স্ট্রিট ফুড দেখতে পেলাম। আর লোভও হচেছ বেশ।
ঝাল হলেও খেতে কিন্তু দারুণ স্বাদ ছিলো, সত্যি বেশ ভালো কোয়ালিটি ছিলো। তবে নুডুলস এর পরিমানটা একটু বেশী ছিলো যার কারনে পরেরটা খুব বেশী খেতে পারি নাই, মানে চিত্ত বাবুর দোকানেরটা হি হি হি।
খাবারের পরিমাণ দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম ভাইয়া। আসলে আমাদের দেশে সব জিনিসের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। স্ট্রিট ফুড খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। খাবার খাওয়ার পর রিভিউ দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে পোস্টটি দারুণ লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।