ভালোবাসায় ফুল।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। গরমের এই দিনে যদি না থাকে বিদ্যুৎ তাহলে কেমন লাগে বলুন তো? গ্রাম অঞ্চলের লোডশেডিং এর দেখা মেলে হরহামেশাই । গরমের সময় আমাদের গ্রামে মাঝেমধ্যেই সারাদিন বিদ্যুৎ থাকেনা। এরা কিযে করে গরমের সময় এলেই আমি এটাই বুঝি না। যাইহোক, আমি আজকে আপনাদের সাথে ফুল নিয়ে আলোচনা করব। ফুল পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ আছে কি? থাকলেও হয়তো হাতেগোনা। সে যে কয়জনই থাক, আমরা ভালোবাসি। আর আজকে ফুল নিয়েই আলোচনা করব এবং বোনাস হিসেবে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ফুল আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করি। ফুল দেখলেই হাতে নিতে ইচ্ছে করে। যদিও ফুল গাছেই সুন্দর তবুও শোভা পায় প্রেমিকার খোপায়, কবির ডাইরির পাতায়, বাসরের সজ্জায়, প্রিয় মানুষের উপহারে। ফুল যেন ভালোবাসার একটা প্রতীক। ফুল নরম জিনিস, কোমল সুগন্ধি, লজ্জিত নারী, অপরুপ সুন্দরী। দেখলেই ছুঁয়ে দিতে মন চায়। মন চায় সুভাষ নিতে। একটুখানি হাত বুলিয়ে দিতে।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এ দেশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রকম ফুল ফুটতে দেখা যায় । সব ফুলের নামও আমরা জানিনা। একটি থেকে আরেকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। রূপে, রঙে, বর্ণে, গন্ধে একটি থেকে আরেকটির তফাৎ অনেক। বর্ষার কদম নিয়ে আমার বহু স্মৃতি আছে । যখন স্কুলে পড়তাম তখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চলে যেতাম বড় বড় কদম গাছের নিচে। বর্ষায় কদম গাছ গুলো অনেক সময় ভিজে থাকতো। কদম গাছ বেয়ে ওঠা অনেক রিস্ক ছিল। আমাদের মধ্যে যাঁরা গাছে উঠতে পারত তাঁরা হিমশিম খেয়ে যেত গাছে উঠতে। আমরা আবার ছোট গাছ গুলো খুজে বের করে সেখান থেকে কদম পেরে আনতাম। স্কুলে এসে যে যত বেশি কদম নিয়ে আসতে পারতো তার আলাদা একটা কদর ছিল। ১৫-২০ টা কদমফুল এক জায়গায় বেঁধে নিয়ে, হাতে করে ঘুরে বেড়ানোই ছিল বিশেষ কিছু। মেয়েরা তো ছিল এক ধাপ এগিয়ে। কদমফুল গুলো টুকরো টুকরো করে সেগুলো দিয়ে স্কুলের বেঞ্চ সাজিয়ে রাখতো।
প্রেম নিবেদনে গোলাপ ফুলের জুরি নেই। নারীর ঠোঁট আর গোলাপের পাপড়ি, প্রেমিকের কাছে দুটি একই। এমনটাই শোনা যায় প্রেমিকের মুখে। বহু প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বহুকাল আগে দিয়েছে গোলাপ, হয়েছে বিচ্ছেদ, পুষেছে বিয়ে। শুকিয়েছে গোলাপ, তবুও রয়ে গেছে ডাইরির ভাজে। বহু বাঙালির প্রেমে সমাপ্তি ঘটার পর এরকম দু'চারটে গোলাপ ডাইরির ভাজে খুঁজে পাওয়া যায়।
বহু রকমের ফুল পাওয়া যায় বাংলাদেশে। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রকম ফুল ফোঁটে গাছে গাছে। বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনে অনেকেই বাড়ির সামনে বিভিন্ন রকম ফুল গাছ লাগিয়ে রাখে। আমি আমার প্রেমিকাকে গোলাপ দিতে ভালোবাসি। তাকে গোলাপ দিলে আমার রুমেই সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে দেয়। প্রেমিকারা কেন যেন ফুল পেতে বেশি পছন্দ করে। আর তার মধ্যে গোলাপ অন্যতম।
আমি সামান্য এক প্রেমিক। ফুল নিয়ে আমার ছোটখাটো অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সাথে কিছু বোনাস ফুলের ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছি। আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। বিদায় নিচ্ছি , দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে । সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই কদমফুল দেখি না অনেক দিন হলো। আসলে আগে গাছে উঠে কদম ফুল পেরে সেগুলো দিয়ে লাভ আঁকতাম। আসলে দিনগুলো খুব মিস করি।
যাইহোক, আজকের গোলাপের ফটোগ্রাফি গুলো একদম পারফেক্ট ছিলো। আপনার ফটোগ্রাফি সব সময় সবার চেয়ে আলাদা থাকে। আপনার ফটোগ্রাফির এঙ্গেল ফোকাস সব পারফেক্ট। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সুন্দর ভাবে বর্ননা করেছেন ফুল নিয়ে আপনার অনুভুতি।আমরা কাউকে শ্রদ্ধা জানাতেও ফুল দিয়ে থাকি। আসলে ফুল হচ্ছে অর্পন করার একটি সুন্দর আকৃতি।
হা হা হা।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর লেখনীর জন্য। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।
নিজের মতো করে বেশ সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন মনের কথাগুলো সুমন ভাই। আপনার কদম ফুলের কথা পড়ার পরে মনে পড়ে গেল আমার বাড়ির পাশে ছিল ঠিক এমন একটা কদম ফুলের গাছ। রাতের বেলায় এত গন্ধ ছড়িয়ে পড়তো যে ঘরে থাকা মুশকিল হয়ে যেত।
ফুল দেখলে সবারই ভালো লাগে। মনে একটা অন্যরকম ভালোবাসা চলে আসে। তাই ইদানিং নিজের ফুলের গাছেও খুব একটা তাকাচ্ছি না। প্রেম-ভালোবাসা এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো। সবই ক্ষণিকের সবই আবেগ। হাহাহাহা।
হায় হায়। আপনি এগুলো কি লিখেছেন। 🤭🤭
এতো সুন্দর অবলীলায় মনের ভাব প্রকাশ করা যায় তাই শিখলাম আপনার পোস্ট থেকে । দারুন লিখেছেন আমি নিজেও ফুল ভীষণ ভালোবাসি। ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ুক আপনার জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে ❤️
ভাইয়া এ কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন আমি নিজের চোখে এরকম কয়েকজন কে দেখেছি। তাদের ডাইরির ভাজে গোলাপের পাপড়ি প্রেমের সমাপ্তির পরও এখনো রয়ে গিয়েছে। আপনার পোস্টের মধ্যে গোলাপের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লাগে। প্রতিটি গোলাপ দেখতে অনেক সুন্দর। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই গোলাপের কথাটি কিন্তু একেবারেই সত্যি বলেছেন ভাইয়া। আমাকে কেউ না দিলেও আমি কিন্তু স্কুলে পড়ার সময় নিজে গোলাপ কিনে বইয়ের ভাঁজে গোলাপগুলো শুকিয়ে রাখতাম। আর কয়েকদিন আগেও আমি একটি ইংলিশ গাইড বের করে দেখি কি সেখানে একটি গোলাপ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে একেবারেই একমত।
ওই গোলাপটি কে দিয়েছিল শুনি?? সত্যি করে বলুন তো!! 🤭
নিজের।🤪
টাইটেল বাস্তবতার সঙ্গে ফুলের ওতপ্রোত মিল খুঁজে পাওয়া যায়, ভালোবাসায় ফুল কথাটি সম্পূর্ণ বাস্তবিক, ভালোবাসা আছে বলেই ফুলকে ভালো লাগে, ফুল পবিত্র মানুষের মনকে পবিত্রতা ও বিকশিত করে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই গরমে যদি কারেন্ট না থাকে কিযে একটা অবস্থা হয়😁
আর আজকের ফুলের ফটোগ্রাফী গুলো চমৎকার ছিলো।বিশেষ করে সাদা গোলাপের ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে কেনো জানি বেশি ভালই লাগতেছে। সাদা রং পছন্দ করি এই জন্যেই হয়তো😍
ভাইয়া সত্যি আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে জাস্ট অসাধারণ। সাথে আপনার মনে ফুলের অনুভূতি খুব সুন্দর করে আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। আর আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমি একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ভালোবাসার ফুল গুলো সত্যিই দেখতে ঠিক এমনই হয়। খুবই সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছিস বন্ধু। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করিস কেমনে আমাকে একদিন শিখাস তো।