ছোটখাটো খাওয়াদাওয়া।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে ছোটখাটো একটা পিকনিক নিয়ে আমার অনুভূতি শেয়ার করব আপনাদের সাথে। শীতের সময় আসলে পিকনিকের আয়োজন অনেকটাই বেড়ে যায়। কিছু কিছু জিনিস আছে এরকম শীতের সময় বেশি ভালো লাগে। এরমধ্যে অন্যতম হলো পিকনিক খাওয়া। শীতের সময় আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে হাঁস দিয়ে পিকনিক।
বড় বড় পিকনিকের মাঝে মাঝেমধ্যে হুট করে মন চায় ছোটখাটো পিকনিক করে সবাই একসাথে বসে খেতে। এই যেমন সেদিন হঠাৎ করে মনে হলো সবাই যদি খিচুড়ি রান্না করে খেতাম ভালই লাগতো। কিন্তু ইচ্ছা ছিল বেশি রাত করবো না, সকাল সকাল রান্নাবান্না শেষ করে খেয়ে ফেলবো। আমরা সাধারণত বাজারে পিকনিক করি। সকাল সকাল পিকনিক করার ইচ্ছা থাকায় বাজারে করতে পারিনি। কারণ রাত ন' টা দশটার দিকে বাজারে লোক কমে না। তারপর আমরা প্ল্যান করলাম বন্ধু সোহাগদের বাড়িতে পিকনিক করবো। ওর বাড়িতে আপাতত কেউ নেই ওখানেই করার জন্য একদম পারফেক্ট হবে।
শুধু খিচুড়ি খেলে কেমন হয় এজন্য একটা মুরগি নিলাম বড় সাইজের। আর আগে থেকে নিয়ে আসা দেড় কেজি মতো মিষ্টি ছিলো। সবকিছু আয়োজন করে কেনাকাটা কমপ্লিট করে সোহাগদের বাড়িতে গিয়ে আমরা সবাই একসাথে বসে সব কাজ করে ফেললাম। রান্না করার আগে সবাই একসাথে বসে কাজগুলো করা আর আড্ডা দেয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ থাকে। এটা একটা বেস্ট পার্ট। অনেক আড্ডায় আড্ডায় আমাদের কাজগুলো শেষ হলে রান্না শুরু করলাম। রান্নাবান্না শেষ হতে হতে এক দেড় ঘন্টা লেগে গেল।
খিচুড়ির স্বাদ হয়েছিল মারাত্মক। মাংসটাও অনেক সুন্দর রান্না হয়েছিল। ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে আমাদের রান্না-বান্না সব শেষ। দশটার দিকে আমরা সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়ার প্রিপারেশন শুরু করলাম। সবাই একেবারে ভরপুর খেয়ে উঠলো। মাংসটা যেমন সুস্বাদু হয়েছিল খিচুড়িটাও ছিল সেরা। যথেষ্ট খাবার থাকায় সবারই পারফেক্ট ভাবে খাওয়া-দাওয়া শেষ হলো। এরপর সবাই মিষ্টি খেলাম। মিষ্টি খাওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হলো।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার বাড়িতে ফেরার পালা। একজনের বাড়ি দূরে ছিলো। আমরা সবাই মিলে তাকে আগে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসলাম। এরপর আমরা সবাই যার যার বাড়িতে চলে গেলাম। খুব ছোটখাটো একটা পিকনিক কিন্তু অসাধারণ আনন্দের একটা মুহূর্ত কাটলো। বাড়িতে থাকলে এমন পিকনিক মাঝেমধ্যেই করা উচিত। আচ্ছা আজ তাহলে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বড়ো বড়ো পিকনিকের মাঝে ছোট খাটো খাওয়া দাওয়া আসলেই ভালো লাগে।আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করলেন নিজেরা রান্না করে ।ভালো কাটিয়েছেন সময়টি।তারপর একজনের বাড়ি দূরে হওয়ায় তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
পিকনিক মানেই হচ্ছে একটা আনন্দঘন মুহূর্ত।আর সেটা আপনার এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে আরো ভালোভাবেই বুঝতে পারলাম ভাইয়া।আর আপনি খিচুড়ি আর মাংসর স্বাদ এর কথা যেভাবে শেয়ার করলেন তাতে তো আমার খাওয়ার লাভ লেগে গেলো ভাইয়া।
এই খাওয়াটা মিস করেছি তাছাড়া প্রতিটা পিকনিকে ই উপস্থিত ছিলাম। সোহাগ ভাইদের বাড়িতে অনেকবার পিকনিক করা হয়েছে শীতের শুরুতে মাংস রান্না এবং তার সাথে খিচুড়ি দারুণ খাবার উপভোগ করেছিলেন ভাই । আবার এরকম পিকনিক করতে হবে অপেক্ষায় রইলাম।
এমিন হুটহাট প্লানের পিকনিকগুলোর উত্তেজনাও যেমন বেশি থাকে, আনন্দও তেমন বেশিই হয়। খুব সাধারণ কিন্তু আনন্দে ভরপুর আপনাদের পিকনিকের মুহূর্ত গুলো পড়ে বেশ মজাই লাগলো। শীতের দিনে এমন আয়োজন বেশ উপভোগ্য।
আপনি যে ভ্রমণ প্রিয় মানুষ সেটা আমরা সকলেই জানি। শীতকালের সময় পিকনিকের আয়োজন ঠিক অনেকটাই বেড়ে যায় ভালো লাগে তখন। ভাইয়া আপনারা কি দিয়ে বাদ রেখেছেন পিকনিক করতে? যাক বন্ধুর সোহাগদের বাসায় সবাই একসঙ্গে পিকনিক করলেন ভীষণ ভালো লাগলো। আপনারা যখন মন তখন নিয়ে পিকনিক করে ফেলেন। এটা খুব ভালো একটি উদ্বেগ। আপনাদের এলাকার আশপাশে হলে তো মাঝে মাঝেই অ্যাটেন্ড করতে পারতাম 🫣🫣খিচুড়ির প্রচুর স্বাদ হয়েছিল। মারাত্মক লোভ লাগিয়ে দিলেন 😅😅।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় যে ছবিটি দিয়েছেন ভালো লাগলো 🫣🫣🫣
আপনি চলে আসুন একদিন আমাদের পিকনিকে।
আসলেই ভাই শীতের সময় হাঁস খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে সেদিনের হুটহাট পিকনিকটাও বেশ মজার ছিল। বিশেষ করে খাবারের স্বাদ বেশি ছিল আমি তো অনেক বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম।
আসলেই ভাই শীতের দিনে পিকনিক বা পার্টি করতে খুব ভালো লাগে। আমরাও গতকাল রাতে ফিশ ফ্রাই,চিকেন ফ্রাই,রুটি, রসুনের ভর্তা তৈরি করে পার্টি করেছিলাম বন্ধুর বাসার ছাঁদে। পুরো শীতকাল জুড়ে আরও বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হবে। যাইহোক খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে ভাই। খিচুড়ি এবং মুরগির মাংসের কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই শীত আসলে আমরাও পিকনিক করে থাকি দাদা। আগে হাঁস দিয়ে পিকনিক করতাম যখন গ্রামে থাকতাম তখন। হঠাৎ করে প্ল্যান করে পিকনিক করার মধ্যে একটা আলাদাই মজা রয়েছে। পিকনিক করার ক্ষেত্রে আমরাও এমন বন্ধুর বাড়ি বেছে নিতাম যে বন্ধুর বাড়িতে কেউ নেই। যাইহোক, খিচুড়ির স্বাদের প্রশংসা করে লোভ ধরিয়ে দিলে দাদা। আমি ভাবছি কয়েকদিন এর মধ্যে এই খিচুড়ি রেসিপি করেই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সেদিন তো আমার আবার ইচ্ছে করবে পিকনিক করতে। 🤤
ইচ্ছা করলে আরো একদিন পিকনিক করে খেয়ে নিও দাদা। 🤭🤭 এই শীতে পিকনিক করার সুযোগ আসলে মিস করা যাবে না । যত বেশি পিকনিক, তত বেশি মজা।
আসলেই। শীতকালে পিকনিকের মজাই আলাদা।