কিংপ্রোস ভাইয়ের সাথে দেখা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি দাদাদের সাথে সাক্ষাতের অনুভূতি। সেটা ছিল ২৫ তারিখ। আজকের শেয়ার করব কিংপ্রোস ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়ার মুহূর্তের গল্প। আসলে আমাদের হাতে সময় ছিল খুবই কম। এর একমাত্র কারণ ছিল আমার পরীক্ষা। হঠাৎ করেই যেদিন আমরা গেলাম সেদিন আমি খবর পেলাম আমাদের একটা সেশনাল পরীক্ষা ২৯ তারিখে ডেট দিয়েছে। নিউজটা শুনে মেজাজটা খুব খারাপ হয়েছিল, কি আর করার। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ২৮ তারিখে ব্যাক করব।
২৫ তারিখে দাদাদের সাথে দেখা হওয়ার পর আমরা আর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পাইনি কারণ রাত হয়ে গিয়েছিল অনেক। পরের দিন সকালে আমাদের প্রথম কাজ ছিল ট্রেনের টিকিট কাটা। এটা লেট করা যাবে না কারণ ২৮ তারিখের টিকিট না পেলে পরে সমস্যা হয়ে যাবে। এজন্য আমরা সকাল সকাল ট্রেন ট্রেনের টিকিট কাটতে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমরা অবশ্য জানতাম না কোথা থেকে কাটতে হয়। একটু আইডিয়া ছিল যে কলকাতা স্টেশন থেকে কাটতে হবে। কিন্তু কলকাতা স্টেশন ছিল আমাদের ওখান থেকে অনেক দূরে। এজন্য সময় হাতে করে বের হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে @kingporos ভাই বলল কলকাতা স্টেশনে বিকেল চারটা থেকে টিকিট দেয়। আমাদের নিকটেই আরো একটা জায়গা আছে যেখানে সকাল থেকেই টিকিট দেয়।
kingporos ভাইয়ের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে সোজা চলে গেলাম সেই জায়গায়। এটা হল Eastern Railway (Foreign Tourist Bureau). kingporos ভাই লোকেশন সহ যখন পাঠিয়ে দিল সেটা ধরেই আমরা চলে গিয়েছিলাম সকাল সকাল। আমরা গিয়েই প্রথমে দেখলাম একটা ফর্ম পূরণ করতে দিচ্ছে। পাসপোর্ট এর সিরিয়াল নাম্বার লিখে রেখে একটা ফর্ম দিল আমাদের তিনজনকে। এরপর আস্তে ধীরে আমরা তিনজন ফর্মটা পূরণ করলাম। আমরা ফর্ম পূরণ করেছিলাম মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য। ফর্ম পূরণ করে আমরা যখন বসে আছি তখন শুনলাম এই ফর্মগুলো রিসিভ করে যে টিকিট দেবে সে নাকি অসুস্থ, আসতে দেরি হবে। কি আর করার, বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
@kingporos ভাই আমাদের এখানে আসবে বলে বেরিয়েছে ঘন্টাখানেক আগেই। উনি বেশ খানিকটা দূরে থাকে। আমরা যখন অপেক্ষায় প্রহর গুনছি কখন আমাদের ফর্ম জমা নিবে আর কখন টিকিট পাব ঠিক এমন সময় kingporos ভাইয়ের আগমন।
প্রথমে আমি চিনতে পারিনি। কিন্তু উনি আমাদের চিনতে পেরেছিল প্রথমেই। কাছে এসে যখন কথা বললেন তখন বুঝতে পারলাম এটাই kingporos ভাই। আসলে ছবিতে দেখেছিলাম উনি বেশ মোটাসোটা, কিন্তু এখন দেখছি একদম স্লিম। চকলেট বয় টাইপের। যাইহোক এটা ছিল ওনার সাথে প্রথম দেখা। এতক্ষণ ছিলাম তিনজন এখন হইলাম চারজন। চারজন বসে অপেক্ষা করছিলাম।
দুঃখের বিষয় হল আমরা ভেবেছিলাম সারাদিন ঘুরাঘুরি করব kingporos ভাইয়ের সাথে, কিন্তু সে গুরে বালি। টিকেট দেয়া শুরু করতে এতই দেরি করছে যে আমাদের বের হতে হতে দেড়টা বেজে গেছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর একজন এসেছিলেন কিন্তু এত স্লো কি আর বলব। আমরা যে কজন ছিলাম ওখানে সবাইকে টিকিট দিতে দিতে উনি দু'টো বাজিয়ে ফেলেছিলেন প্রায়। যাই হোক অবশেষে আমরা টিকিট পেয়েছিলাম। টিকিট পাওয়া দেরি হলেও আমরা শান্তির নিঃশ্বাস ফেললাম যে একটা বড় ঝামেলা মিটমাট হল।
টিকিট কাটা শেষ করে আমরা চারজন বেরিয়ে পড়লাম কলকাতা ঘুরতে। আমাদের সব জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল kingporos ভাইয়ের। এরপর আমরা অনেক জায়গায় ঘুরেছি ভাই সাথে। সেগুলো আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করব আস্তে ধীরে। আজ এ পর্যন্তই, এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তী কোন পোস্ট দেখা হবে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |







Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই আপনারা তিনজন এডমিন মিলে ইন্ডিয়া ভবানী গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লেগেছিল। সেখানে গিয়ে বাংলা ব্লগের বেশ কিছু ইউজারের সাথে দেখা করেছেন আপনারা। কিংপ্রোস ভাইয়ের সাথে দেখা করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ভাই আপনি কিংপ্রোসকিন্তু ভাই এখন দেখছি একদম স্লিম। চকলেট বয় টাইপের। আসলে চকলেট বয় দেখতে। তারপরে আপনারা চারজন বসে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে ছিলেন। টিকিট পাওয়ার পরে কলকাতা ঘুরে দেখেছেন। সব মিলাইয়া পোস্টটি বেশ দারুন ছিল ভাই।
ধন্যবাদ
দাদাদের সাথে দেখা হওয়ার পরের দিন কিংপরস ভাইয়ের সাথে দেখা করলেন ট্রেনের টিকেট কাটতে গিয়ে।তাহলে কলকাতার সব দাদার সাথেই দেখা হয়ে গেল।আপনারা প্রথমে দাদাকে চিনতে না পারলেও কিংপরস দাদা ঠিকই চিনতে পেরেছিলেন আপনাদের।টিকেট কাটতে অনেকটা লেইট হলেও পরে আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছিলেন।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্তের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সব দাদার সাথেই দেখা হয়ে গেছে।
তিন জন হুমড়া চোমড়া যে কলিকাতায় গিয়েছেন সেটা জানতাম। কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের চকলেট বয় খ্যাত মডারেটর কিং প্রোস ভাইয়ের সাথে তো শেষ পর্যন্ত দেখাই হয়ে গেল। পরে আপনারা হয়ে গেলেন তিন থেকে চার। আর চার রত্ন মিলে কিছুটা হলেও ভাল সময় পার করেছেন। তা কিন্তু দাদা বুঝাই যাচ্ছে।
হাহাহা,, ধন্যবাদ।
কিংপ্রোস ভাই চকলেট বয় টাইপের শুনে ভালো লাগলো ৷ তিনজন মিলে কলকাতার ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত গুলো ভালো লাগলো ৷তবে কিংপ্রোস দাদার বাড়ি যেতে পারতেন ৷ যা হোক ভালো লাগলো ৷
ভাই বিয়ে করুক তারপর যাবো। তাহলে বেশি খাতির পাওয়া যাবে।
অনেক ভাল লাগলো কলকাতা সফরের গল্পগুলো পড়ে। মনে হচ্ছে যেন আমিও গিয়েছি।কিংপরস দাদা আপনাদেরকে চিনতে পেরেছে।সত্যি ই ছবিতে দেখা দাদাকে মনেই হচ্ছে না তিনি কিংপরস।দাদাকে মনে করেছি গুরু গাম্ভীর্যের একজন হবেন।যাই হোক এরপর আপনারা দাদাকে নিয়ে কলকাতা ঘুরলেন। খুব ভাল লাগলো ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
kingporos দাদার সাথে অবশেষে দেখা হলো। যাক দাদা ঠিকানা দেয়াতে হয়তো আপনাদের বেশ উপকার হলো। সবথেকে ভালো লাগলো কিছুটা দেরি হলেও টিকিট ঠিকমতো পেয়েছিলেন। এরপর সবাই মিলে বেশ খানিকটা ঘোরাঘুরি করেছেন।
হুম,, ভাই ঠিকানা না দিল একটু ঝামেলায় পড়তাম।
হ্যাঁ ফটোটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে কিংপ্রোস ভাই দেখতে কিন্তু বেশ স্লিম। আর আপনার পরীক্ষার কারণে যে আপনার বেশিদিন ইন্ডিয়াতে থাকতে পারেন নি জেনে খারাপ লাগলো। আসলে এক জায়গায় ঘুরতে গেলে সেই সময় যদি কোন পরীক্ষা আছে তাহলে এমনিতেই মনের ভিতর অনেক খারাপ লাগার কাজ করে। যাইহোক অল্প সময়ে হলেও নিশ্চয়ই আপনারা অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
কিংপ্রোস ভাইয়ের সাথে আপনাদের দেখা হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আমিও ভেবেছিলাম কিংপ্রোস ভাই মোটাসোটা হবে। ছবি দেখে তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক ঠিক বলেছেন ভাইয়া,কিংপ্রোস ভাইকে দেখতে চকোলেট বয় টাইপেরই লাগছে। টিকেট হাতে পেতে দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন। তারপর বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কলকাতা স্টেশনে এত কষ্ট করে যাওয়ার কি দরকার ছিল সুমন ভাই। কলকাতা স্টেশনের ওই দিকটা যাওয়া বেশ ঝামেলা এবং অনেকটা অকওয়ার্ড জায়গা। আমাদের শিয়ালদা স্টেশনেও এখন টিকিট দেয় মনে হয়। যাইহোক শেষ পর্যন্ত নির্মাল্য দার সাথেও আপনাদের দেখা হয়ে গেলো।