শীতের সকাল - গ্রাম ও শহর।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? সবাইকে জানাই সুন্দর শীতল একটি সকালের শুভেচ্ছা। যদিও শহরের সকাল তেমন একটা শীতল নয় যেমনটা এখন এই সময় থাকা উচিত। প্রায় সারাদিনই আমার রুমে ফ্যান চলে। এই সকাল বেলা একটু ঠান্ডা ঠান্ডা থাকে কিন্তু বেলা ওঠার সাথে সাথে আবারো ফ্যান চালিয়ে দিতে হয়।

গ্রাম অঞ্চলে ইতিমধ্যেই শীতের প্রকোপ লক্ষণীয়। এটা নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখ। আর একদিন বাদেই ডিসেম্বর মাসে পদার্পণ করবো আমরা। ডিসেম্বর মাসে শীত পরবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু শহরের দিকে তাকালে হতাশ হই আমরা। সারা বছর তীব্র গরম কাটিয়ে এসে এই সময়টা শীত উপভোগ না করতে পারলে কি ভালো লাগে?

গ্রামের মানুষ কিন্তু ঠিকই শীত উপভোগ করছে। কাথায় আর শীত কাটে না। গ্রামে এখন লেপ বের করে ফেলেছে সবাই। সকালবেলা বাইরে বেরোলে শুভ্র কুয়াশার শীতল ছোঁয়া অনুভব করা যায়। এ অনুভূতিটা অসাধারণ। সকালের সময়টাতে মাঠে গেলে কুয়াশার কারণে বেশিদূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায় না। যখন সূর্য ওঠে তখন দূরে হালকা বৃত্তাকার দীপ্তমান আলোর আভা লক্ষ্য করা যায়। চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। খুব সকালেই বেরিয়ে পড়ে তারা খাদ্যের সন্ধানে। প্রকৃতির এক অসাধারণ রূপের মাঝে একটি অংশ হয়ে ধরা দেয়। এ দৃশ্য চোখ আর মনের শান্তির খোরাক যোগায়।

অপরূপ এই সুন্দর দৃশ্য আর এরকম মোহময় সুন্দর অনুভূতি একমাত্র গ্রামেই পাওয়া সম্ভব। গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে সকালবেলা হেঁটে গেলে দেখা যায় গাছিরা খেজুর গাছে উঠেছে রস সংগ্রহ করার জন্য। সকালের এই ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে এক গ্লাস খেজুরের রস খেয়ে দিলে সকালটা আরো বেশি জমে উঠে। শরীরে কাপন শুরু হয়ে যায়। মন চায় একটুখানি আগুন জ্বালিয়ে সেখানে বসে আগুনের উষ্ণতা গায়ে মাখতে।

সকালে সুমিষ্ট কন্ঠে পাখির ডাকের আওয়াজগুলো প্রকৃতির সৌন্দর্যে আরও নতুন মাত্রা যোগ করে। কিন্তু আমি যখন এই পোস্টটি লিখতেছি শহরে বসে তখন কয়েকটি কাকের ডাক শুনতে পাচ্ছি। এ সময় গ্রামে কতশত বাহারি রকমের পাখির আওয়াজে মন এক নিমিষেই শান্ত হয়ে যায়। মনে বেজে ওঠে এক সুরেলা বাঁশির আওয়াজ। এই সুর গ্রামের, মাটি ও মানুষের আর প্রকৃতির।

এবছর শীতের অর্ধেকটা হয়তো গ্রামে থেকে উপভোগ করতে পারব আল্লাহ যদি চান। শহর থেকে গ্রামে যেতে পারলে আমার মনে হয় আমি যেন মুক্ত হলাম। যদিও শহরে থাকার একটা সুবিধা হাতের কাছে সবকিছু পাওয়া যায় কিন্তু ফ্রেশনেস খুঁজলে গ্রামের বিকল্প নেই। অপেক্ষায় রইলাম প্রহর গুনতে গুনতে। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ ।

IMG_20231129_064622.jpg
BY: Cannon EOS 600D



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  
 9 months ago 

শহরে খুব একটা শীত লাগেনা। গ্রামের পরিবেশে শীত অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। শহরে আসলে অনেকটা কষ্টকর মুহূর্ত, সারা বছর তীব্র গরম কাটিয়েও এখনো শীত উপভোগ করতে না পারা।হতাশজনক!আমি তো কম্বল বের করছি। মজার কথা হলো আমি ফ্যান ও চালায়, কম্বল মুড়ি শুয়ে থাকি ভীষণ ভালো লাগে। চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ অনেকে ভালো লাগে।শীতকালের অপরূপ সৌন্দর্য এটা মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তোলে ও প্রশান্তি জাগায় মনে। পিকচারটির জন্য আপনি প্রশংসার দাবিদার। আপনি সবসময় ভালো পিকচার তোলেন। দোয়া করি আপনি যেন শীতের অর্ধেকটা গ্রামে বসে উপভোগ করতে পারেন প্রিয় ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

এরকম কম্বল মুড়ি দিয়ে ফ্যান চালিয়ে দিতে আমারও বেশ ভালো লাগে।

 9 months ago 

দাদা আমরা হতাশ! শীতের দেখা এখনো পাই নি। টি-শার্ট পরেই দিন যাচ্ছে । শীতের কাপড় , কম্বল বের করার সুযোগ এখনো পাই নি। গ্রামের মানুষ শীত উপভোগ করছে, এটা জানি দাদা। তাই তো শহর ছেড়ে কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামে ছুটে যাওয়ার প্ল্যান করছি। সকালে পাখির ডাক শুনতে শুনতে খেজুর গাছে উঠে রস চুরি করে খাব গ্রামে গিয়েই ।

 9 months ago 

আহ, সেকি অনুভূতি!!
সকাল বেলা রস খাওয়ার মজাই আলাদা ।

 9 months ago 

অনুভূতি নেওয়ার জন্যই কয়েকদিনের মধ্যে আপনাদের বাংলাদেশ ঘুরতে যাচ্ছি দাদা । সকাল বেলা খেজুরের রস খাওয়ার মজা এবার বাংলাদেশ গিয়েই নেব।

 9 months ago 

বাহ্ দারুণ তো। আচ্ছা চলে আসুন আমাদের দেশে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 9 months ago 

আসলেই ভাই ডিসেম্বর মাস চলে আসতেছে, কিন্তু এখনো শীতের তেমন দেখা নেই। এখনো ফ্যান চালু করে রাখতে হয় সারাদিন এবং রাতেও। তবে গরম অনেকটা কমে গিয়েছে বলে বেশ ভালোই উপভোগ করছি আবহাওয়াটা। কিন্তু গ্রামের মানুষ খুব লাকি,কারণ তারা শীতকালটা বেশ উপভোগ করতে পারে। আপনার পোস্ট পড়ার সময় মনে হচ্ছিল,আমি গ্রামে শীতের সকাল উপভোগ করছি। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে হাঁটাহাঁটি করে খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। তারপর খেজুরের রস দিয়ে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে খাওয়া যায়। আসলে গ্রামের সকাল এবং শহরের সকালের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

আপনার কথাগুলো একদম ঠিক। শীত মানেই অন্যরকম এক অনুভূতি।

 9 months ago 

ঠিকই বলেছেন ভাই।শহরে থাকলে শীতের আমেজ শীতের সৌন্দর্য কোনটাই বোঝা যায় না।শীতের আসল সৌন্দর্য ও আমেজ বোঝা যায় গ্রামে। আপনার অর্ধেক শীত গ্রামে থাকার ইচ্ছা পূর্ণ হোক,এই প্রার্থনা করি।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই। শীতকালীন সময়ের কথা মাথায় আসলেই গ্রামের কথা মনে পড়ে আগে।

 9 months ago 

ভাইয়া আমি কিন্তু আপনার পোস্টেটি পড়ছিলাম আর আফসোস করছিলাম। কেন যে গ্রামের বাসিন্দা হলাম না। আপনারা তো তাও গ্রামের প্রকৃতির সব কিছুই অনুভব করেছেন। আর আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারা তো শীতের যে সকাল তার ছিটে ফোটার অনুভব ও পায়নি। এই যেমন এখন গ্রামে কত শীত। আর ঢাকায় এখনও রাতে পাখা ছেড়ে ঘুমাতে হয়। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি।

 9 months ago 

এবার শীতে গ্রাম থেকে ঘুরে আসবেন ভালো লাগবে।

 9 months ago 

আমিও গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। আর এইরকম শীতের আগমন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য শুধু গ্রামেই উপভোগ করা যায় আমি মনে করি।শহরের থেকে গ্রামে অনেক কিছু প্রকৃতির সৌন্দর্য পাওয়া যায়। তবে গ্রামে যে শীত রয়েছে সেটা এখনো শহরে চালু হয় না, চালু হয়েছে কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না। যাইহোক আপনি গ্রামের সুন্দর সুন্দর কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছন।আমিও দোয়া করি আপনি যেনো শীতের কিছু টা সময় গ্রামে উপভোগ করতে পারেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

সত্যি বলতে গ্রামে এবং শহরে শীতের আনন্দটা একদম আকাশ পাতাল পার্থক্য। তবে আমাদের গ্রামে এখনো ভালোভাবে শীতের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে না। আমিও আমার রুমে পুরোদিন ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়, আর রাত্রেও ফ্যান চলে। শুধু সকাল হতে হতে একটু ঠান্ডা লাগে। পরবর্তীতে আবার সূর্য উঠতে শুরু করলেই আবার ফ্যান চালিয়ে বসতে হয়। তবে শীতের সৌন্দর্য মূলত গ্রামে। চারদিকে ধান ক্ষেত আর ঘাসের উপরে শিশির কণা গুলো অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। যদিও আমাদের এদিকে খেজুরের রস খাওয়ার কোন উপায় নেই। কারণ আমাদের এদিকে খেজুরের গাছ তেমন একটা নেই। তবে এটা ঠিক যে শীতের সকালে এক গ্লাস খেজুরের রস খেলে ভিন্নরকম অনুভূত হয়। যদিও এখন খাওয়া হয়না। তবে একটা সময় নানার বাড়িতে গেলে সেখানে সকালবেলায় খেজুরের রস খেতাম। কারণ অনেকেই সকালবেলা খেজুরের রস রস নিয়ে আসতে বাড়িতে তখন খেতাম। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

সকালে শিশির কনা জমে থাকা ঘাসের উপর দিয়ে খালিপায়ে হাঁটার কিন্তু অন্যরকম একটা অনুভূতি আছে।

 9 months ago 

আমিও মনে করি শীতের আনন্দ উপভোগ করতে হলে গ্রামই ভালো। কারন শহরে শীত এলে ও আসল শীতের মজা কিন্তু গ্রামেই।শীতের সুন্দর অনুভূতি গুলো আমার ছেলেবেলার সেই শীতের দিনগুলো ই।কারন এক্সাম শেষ হতো কাজিনরা সবাই মিলে একসাথে বাড়িতে যাওয়া সে এক আলাদা আমেজ ছিল।শীত নিয়ে আনন্দ গুলো আমার সেই ছেলেবেলার আর গ্রামের সেই দিনগুলোই।চমৎকার লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। এবার শীতের অর্ধেকটা সময় গ্রামে কাটাতে আগ্রহী।আল্লাহ আপনার এই ইচ্ছা সফল করুন,আমিন।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

এক্সাম শেষ হতো কাজিনরা সবাই মিলে একসাথে বাড়িতে যাওয়া সে এক আলাদা আমেজ ছিল।

সত্যি এই মুহূর্তগুলো দারুণ।

 9 months ago 

গ্রামের সুন্দর প্রকৃতি আসলে সবাইকেই মুগ্ধ করে। ঢাকা শহরে শীত নেই বললেই চলে কিন্তু গ্রামের দিকে এখন বেশ ভালই শীত পরছে। আসলে সুন্দর প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য গ্রামীণ পরিবেশে সেরা। আশা করি এবারে বাড়িতে গিয়ে গ্রামীণ শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59010.30
ETH 2515.57
USDT 1.00
SBD 2.45