তিন দিনের তিন'রূপ - কক্সবাজারে তৃতীয় দিন।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। কক্সবাজারের তিন দিনের তিনরূপ পর্বের আজকে শেষ পর্ব। ২৪ তারিখ রাত্রে রউনা দিয়ে ২৭ তারিখেই চলে এসেছি আমরা। ২৭ তারিখের সমুদ্র ছিল এক্কেবারে উথাল পাথাল অবস্থা।
এত ভয়ঙ্কর সমুদ্র আমার জীবনের প্রথম স্বচক্ষে দেখলাম। সকাল থেকে বৃষ্টি আর মেঘলা পরিবেশ সাথে ঝড় হওয়ার কারণে বীচের দিকে যাওয়া হয়েছিল না। তবে দুপুরের খাওয়া শেষ করে একটুখানি গিয়েছিলাম বীচের সাইডে। আসলে ২৭ তারিখে আমাদের প্ল্যান ছিল মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার। পাটোয়ারটেক পর্যন্ত যাব বলে স্থির করেছিলাম। রেজু খালে কায়াকিং করারও একটা ইচ্ছে ছিল।
আমাদের খুবই ব্যাডলাক সেদিন ঝড় বৃষ্টির কারণে আর কোন প্ল্যানই বাস্তবায়ন করতে পারিনি। যখন বীচে গেলাম তখন বাতাসের প্রকোপ এতটাই বেশি ছিল যে উড়ন্ত বালির কারণে খালি চোখে হাঁটাই যাচ্ছিল না। শুকনো বালির সাইড থেকে সরে গিয়ে একটুখানি নিচ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সুগন্ধা বীচ পয়েন্টের দিকে আগাচ্ছিলাম।
মজার বিষয় হলো বাতাসের তীব্রতা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছিলাম না। সামনের দিকে একটুখানি বল প্রয়োগ করে হাঁটতে হচ্ছিল। আর সমুদ্রের কথা কি বলব, সে তো পুরো পাগলামি। ঢেউগুলোর কোন শৃঙ্খলা নেই। এলোমেলো উথাল পাথাল ঢেউ। এত ভয়ংকর ঢেউ দেখার অভিজ্ঞতা মন্দ ছিল না। আমরা তিন দিন থেকেছি, তিনটা দিনেই সমুদ্রের তিনটা ভিন্ন রূপ দেখে এসেছি।
সমুদ্রের এত অস্থির অবস্থায় বেশিক্ষণ সেখানে থাকিনি। সুগন্ধা বীচের পাশের কিছু দোকান থেকে আমরা সবাই হালকা কিছু কেনাকাটা করে রুমে ফিরে এলাম। রুমে এসে সবাই সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। আরিফ ভাই যেহেতু চিটাগাং যাবে তাই আরিফ ভাইকে আগেই বিদায় জানিয়ে দিলাম। অতঃপর আমরা একদম রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে। পথে গিয়ে খাওয়া যাবে এরকম হালকা কিছু নাস্তা নিয়ে স্টেশনে চলে গেলাম।
রাত আটটায় ছিলো আমাদের ট্রেন। ট্রেনে উঠে নিশ্চিন্তে নিজেদের সিটে গিয়ে বসে পড়লাম। এবার পালা সারা রাত ঘুম দেওয়ার। সারারাত ঘুমে - জেগে আবার ঘুমিয়ে এরকম করতে করতেই সকাল হয়ে গেল। সকাল সাতটার দিকে পৌঁছালাম আমরা ঢাকায়। এরপর হাফিজ ভাইকে বিদায় জানিয়ে আমরা তিনজন বাসায় ফিরে এলাম। এরই মধ্যে দিয়ে শেষ হলো আমাদের কক্সবাজার ট্যুর।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
সমুদ্রের এত সুন্দর দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। সাথে আপনি চমৎকারভাবে সবগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। তার থেকেও বেশি খুশি হয়েছি আমাদের ব্লগের শ্রদ্ধেয় কয়েকজন এডমিন মিলে আপনারা ট্যুর করেছেন। কক্সবাজার ভ্রমণের সুন্দর কিছু মুহূর্তের দৃশ্য এবং বর্ণনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার মতে আপনাদের এবারের কক্সবাজার ট্যুর এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। কারণ তিনদিন কক্সবাজারের তিন ধরনের রূপ দেখার সুযোগ হয়েছে। তবে পাটুয়ারটেক বিচের দিকে যেতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো। তাছাড়া রেজু খালের মনোরম দৃশ্যটা আমার কাছে দারুণ লাগে। যাইহোক এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঘুরাঘুরি করে ঠিকঠাক মতো ঢাকায় ফিরেছেন, এটাই অনেক। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনারা তো ভালোভাবে ঘুরতে পারেননি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। আসলে হঠাৎ করে এভাবে ঘূর্ণিঝড় হবে আমরা বুঝতেও পারি নাই। তবে বেশ ভালো হলো সব সময় সমুদ্রের সুন্দর দৃশ্য দেখবেন খারাপ দৃশ্য দেখবেন না তা কি করে হয়! ঘূর্ণিঝড়ের সময় সমুদ্র অনেক বেশি উত্তাল থাকে আমার ভালো লাগে তখন দেখতে। ঢেউয়ের গর্জন অনেক বেশি থাকে বাতাসের আওয়াজ বেশি থাকে। সবকিছু মিলিয়ে সুন্দর সময় কাটালেন এবং সুন্দর একটি মুহূর্তের সাথে পরিচিত হলেন সমুদ্রের।
আরো একদিন থাকলে হয়তো আরো একটা নতুন রূপ দেখতে পেতাম সাথে কিছু মেকাপের নতুন সংস্করণও হি হি হি।
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে সমুদ্রে না নেমে ভালো করেছেন। বেঁচে থাকলে আবার যেতে পারবেন। আপনাদের তিন দিনের কক্সবাজার ভ্রমনের অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কক্সবাজার যাওয়া আসার ট্রেনের টিকেট পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনারা সেই ভাগ্যবানদের দলে ছিলেন। তাই ট্রেনের টিকেট পেয়েছেন। ধন্যবাদ।