গ্রামীণ মেলা।
বন্ধুরা... আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। বিকেলটা অনেক সুন্দর ছিল কিন্তু সারাদিন অনেক ব্যস্ততা ছিল। আমার একটু রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন ছিল তাই চিন্তা করছিলাম বিকালে একটু বাজারে যাব। কিছু কেনাকাটার ও প্রয়োজন ছিল। এজন্য বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে ছোট ভাইয়েরা ছিল। হঠাৎ করে চিন্তা করলাম একটু বাইরে কোথাও যেতে হবে।
সবাইতো নৌকাবাইচের নাম শুনেছেন কিন্তু ভেলা বাইচ কখনো শুনেছেন? বাজার থেকে একটু দূরে একটা জায়গায় ভেলা বাইচ হচ্ছিল। আমরা চিন্তা করলাম সেখানে যাব। আমাদের যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আমরা গিয়ে দেখলাম সবকিছু শেষ। আর সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ায় তেমন কিছু দেখতে পারলাম না। এরপর ছোট ভাই রাজু বললো অন্য একটা জায়গায় বড় একটা মেলা হচ্ছে। গাড়ির উপর থেকে নামিওনি। ওই ভাবেই চলে গেলাম ওই মেলার উদ্দেশ্যে। প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। ওই মেলা নাকি প্রতিবছরই হয়। কিন্তু গত ২ বছর করোনার কারণে হয়নি। ওটাকে গাসসির মেলা বলে।
মেলার মধ্যে প্রবেশ করে দেখলাম বেশ জমজমাট ভাবেই চলছে মেলার কার্যক্রম। নাগরদোলা, নৌকার দোল, পুতুল নাছ, সার্কাস আরও অনেক কিছু। অস্থায়ী চিরিয়াখানা ও আছে দেখলাম। আরো আছে হরেকরকম আচারের দোকান, বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্নের দোকান।
মেয়েদের সাইড আলাদা। সেখানে সুধু মেয়েদের যাবতীয় সাজগোজের আইটেম। ওই সাইডে অবশ্য আমরা যাইনি। অনেকগুলো পানের দোকান ও আছে দেখলাম। আমরা সবাই একটা করে পান খেয়েছি। অনেক মসলা দিয়ে বানানো পান। খেতে ভালোই লাগে।
সেই ছোট বেলায় কতো সার্কাস দেখেছি। এখন আর মন চায়না ভেতর ঢুকতে। শুনলাম বাংলা সিনেমার সাইড নাইকা নাসরিন এসেছে। আমি ছোট বেলায় একবার সার্কাসে গিয়ে চিত্র নায়ক সাকিল খানকে দেখেছিলাম।
যাইহোক, মেলাতে ঘুরে ঘুরে সবকিছুই দেখে এসেছি। কিন্তু কোথাও ঢুকি নাই। পুতুল নাচ এর ওখানে দেখলাম মানুষের বেশ আনাগোনা। এখন তো আর পুতুল নাচে পুতুলকে নাচানো হয়না। অশ্লীল ড্যান্স হয় ভেতরে। সত্যি কথা বলতে অনেক আগে কিউরিওসিটি থেকে ঢুকেছিলাম একবার। কি যে বিশ্রী অবস্থা। পরে বেরিয়ে এসেছিলাম আবার। আর কখনো যাওয়ার ইচ্ছে হয়নি।
তো মেলা পরিদর্শন শেষ করে আমরা বাজারে চলে আসলাম। আসার সময় পাপোর ভাজা কিনে এনেছি। বাজার থেকে বাসায় আসলাম একটু আগে। আমি কিন্তু বাজারে গিয়েছিলাম কিছু বাজার কারার প্ল্যান নিয়ে। কিন্তু ঠিক ভুলে গিয়েছি। আবার কাল বাজারে যেতে হবে। তবে বিকেলটা বেশ ভালোই কাটলো। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে। আল্লাহ্ হাফেজ।
ছবিগুলোর লোকেশন:- গাসসির মেলা ।
ডিভাইস :- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভেলা বাইচ দেখি নি,তবে আমাদের এলাকায় ডিঙি নৌকা বাইচ হয়।করোনার পর থেকে এত জমজমাট মেলা এই প্রথম দেখালাম।আর সার্কাস দেখলাম ৪-৫ বছর পর।সেই রওশন সার্কাস, লায়ন সার্কাস সব এখন অতীত।পানগুলোকে দেখে আমি প্রথমে কোন মিষ্টি ভেবেছিলাম।এত বছর পর এত জমজমাট মেলা দেখে অনেক ভাল লাগল ভাই।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ,আমার খারাপ লাগলো এই জন্য যে, আপনি ভেলা বাইচ দেখতে পারেননি। কিন্তু সেটার অভাব মেলা দেখে পূরণ করেছেন এইটা জেনে আবার ভালো লেগেছে। ছোট বেলায় অনেক মেলায় গিয়েছি কিন্তু এখন আর শহরে থেকে কোথাও যাওয়া হয় না। মিষ্টি পান খেয়েছি তবে মেলারটা না, অনেক স্বাদ লাগে, অনেক প্রকার মসলা দেওয়া থাকে তাই। মেলার সার্কাস দেখেতে ও ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
নৌকা বাইচ ত অনেক শুনেছি যদিও দেখিনি কখনো। তবে ভেলা বাইচ কিন্তু আপনার লেখা পড়েই প্রথম শুনছি। সন্ধ্যার কিছুক্ষন আগে গেলেও হয়ত ভেলা বাইচ দেখতে পারতেন। রাজু ভাই মনে হচ্ছে আপনাকে খুব ভাল একটি মেলা দেখাতেই নিয়েছেন। ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুব কালারফুল মেলা ছিল ভাইয়া। গাসসির মেলায় দেখি অনেক কিছু উঠেছে। নাগরদোলা, নৌকা দেখে মনে হচ্ছে ছোট খাট ফ্যান্টাসি পার্ক। এত বাহারি রকমের আচাড় অনেক দিন দেখিনি। পানওয়ালা ত মনে হচ্ছে দেশের সব পান তার কাছে নিয়ে রেখেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া। পরের দিন গিয়ে আবার বাজার আনা যাবে কিন্তু মেলা ত প্রতিদিন আসবে না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রাম্য মেলার অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে গ্রাম্য মেলাতে অনেক কিছুই আছে দেখতে পেলাম। নাগরদোলা নৌকাদোলা এবং অস্থায়ী চিড়িয়াখানা রয়েছে। সত্যি ভাই আপনি অনেক আনন্দময় মুহূর্ত করেছেন এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন।
যে কাজে বাজারে গিয়েছে শেষ পর্যন্ত সেটা না করেই ফিরে এসেছেন। ফেরার পর ভাবী কি বলেছে সেটা জানতে ইচ্ছা করছে। তবে সময়টা বেশ মজা করে কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। হুটহাট বন্ধু-বান্ধব বা ভাই ব্রাদার নিয়ে এরকম কোন মেলায় ঘুরতে বেশ মজাই লাগে। যদিও মেলাগুলোতে সেই আগেকার অনুভূতিটা এখন আর পাই না। সবকিছু কেমন যেন কমার্শিয়াল হয়ে গিয়েছে। ভালো লিখেছেন ভাই। তবে আপনি আরো একটু আগে বাড়ি থেকে বের হলে। আমরা হয়তো ভেলা বাইচের কিছু ছবি দেখতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
গাধা। 🥲
গাসসির মেলা বেশ অদ্ভুত নাম।ছোটবেলায় নৌকা বাইচ দেখতে যেতাম মামাবাড়ি এখন আর যাওয়া হয় না।বিভিন্ন আচার ও পানের বাহার দেখে লোভ লেগে গেল।পাপড় খেতে আমার ও দারুণ লাগে।পুতুল নাচ দেখতে না গিয়ে ভালো করেছেন দাদা,যেখানে দেখার মত পরিবেশ নেই সেখানে যেতেও মন চায় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার গ্রাম্য মালা দেখা হয়েছে কিন্তু কখনও সার্কাস ও নৌকা বাইচ দেখা হয়নি । তবে আপনার সময়টা ভাল কেটেছে মনে হচ্ছে । সুন্দর মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি কখনো সার্কাস দেখিনি,এমনকি পুতুল নাচ না।নায়িক নাসরিন কে😜?এই রকম রঙিন পানগুলো কেমন খেতে,আমার অনেক খাওয়ার ইচ্ছে 🙃🙃। ইশ ভাইয়া একটু আগে গেলো ভেলা বাইচের কিছু ছবি আমরা দেখতে পারতাম।😂😂
ভেড়া না।। ভেলা
টাইপিং মিসটেক,,সরি ভাইয়া
এসব মেলায় আমার খুব একটা যাওয়া হয়নি তাই এই সার্কাস নিয়েও তেমন কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।