অনেকদিন পর!!
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। এবারের পুজোর ছুটিতে পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে এসেছি গত পরশুদিন। এবার বাড়িতে আসার আমেজটা ছিল অনেক নগণ্য। বাড়িতে এখন শোকের ছায়া। কিছুদিন আগে কাকু মারা গেল। সেটার সোক এখনো কেটে উঠতে পারেনি কেউই। আমারও মন ভালোনা তেমন।
বাড়িতে আসার আগের যে আনন্দটা সে আনন্দর ছিটে ফোটাও অনুভব করতে পারিনি এবার। তবে অনেকদিন পর আমরা সবাই এলাকাতে একসাথে আছি। অনেকদিন পর একসাথে হলাম সবাই। সবাই মোটামুটি পূজোর ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। কালকে সন্ধ্যেয় সবার সাথে দেখা। অনেক গল্প হলো সবার সাথে।
আমাদের বাজারের থেকে একটু দূরে নতুন একটি বাজার হয়েছে রাস্তার পাশে। বাজারটা অস্থায়ী। অনেকটা মেলার মত। চিন্তা করলাম সবাই একসাথে ওখান থেকে ঘুরে আসবো। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ, সবাই ছুটে চল্লাম একসাথে। ভেবেছিলাম সবাই একসাথে গরম গরম জিলাপি খাব। কিন্তু অনেক লেট হওয়ায় জিলাপি আর খাওয়া হলো না।
বাজারের পাশেই একটা স্কুল রয়েছে সেই স্কুলের মাঠে গিয়ে বসলাম সবাই একসাথে। এরপর আমি কিনলাম বড় এক প্যাকেট পপকর্ন। স্বাস্থ্যকর একটা জিনিস, সবাই মিলে খাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় কথা ৪০ টাকায় যা পাওয়া গেছে সবাই মিলে খেয়ে শেষ করতে পারবো নাকি সন্দেহ। আসলেও শেষ অব্দি বেঁচে গেছিল কিছু।
বহুদিন পর সাত আট জন একসাথে বসে গল্প করলাম আড্ডা দিলাম। আর এটা পরিকল্পনা করলাম যে আমরা ভেড়া দিয়ে পিকনিক করবো যেমনটা করেছিলাম দু'বছর আগে আর আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। প্ল্যানটা অবশ্য অনেক আগের। আগে থেকেই প্ল্যান ছিল যে এবার সবাই বাড়িতে গিয়ে ভেরা দিয়ে পিকনিক করবো। ভেড়া দিয়ে পিকনিক করার সবচেয়ে মজার পার্ট হল চরে গিয়ে সবাই মিলে ভেড়া কিনে নিয়ে আসা। এই পার্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম দুই বছর আগে। দুর্দান্ত মজার একটা সময় ছিল।
আমাদের আগামী কালকে পিকনিকের ডেট ফাইনাল করা হয়েছে। আগামী কালকের সম্পূর্ণ মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশা আল্লাহ। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নিজের আপন জন কেউ মারা গেলে সেটা সহজে কি আর ভোলা যায় । আর বাড়িতে গেলে সেই জিনিসটা আরো বেশি অনুভব করার কথা যেমন আমরা আমাদের বাসায় গেলে আব্বুকে মিস করি । যাক অনেকদিন পরে বন্ধুদের সাথে সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে মনটা কিছুটা হলেও তো হালকা হয়েছেন । আর পিকনিক করলে আরো ভালো লাগবে । আপনার পিকনিকের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
আসলে ভাইয়া নিজের কেউ মারা গেলে মন খারাপ হওয়ারি কথা। আর অনেক দিন পরে সবাই এক সাথে গ্রামে গেলে বন্ধুদের সাথে ঘোরার মজাই আলাদা। গ্রামে গেলে মনে হয় যেন সেই আগের জীবনে কিছু ক্ষণের জন্য ফিরে এসেছি।তবে আপনারা ভেড়া দিয়ে পিকনিক করবেন, অবশ্যই অনেক মজা হবে। যেহেতু আগামিকাল ডেট সময় পেলেই বিনা দাওয়াতে চলে আসব। ধন্যবাদ আপনাকে।
আগেই শুনেছিলাম আপনার কাকুর মৃত্যুর সংবাদ। উপর ওয়ালা তাকে বেহেশত নসিব করুন। সত্যিই এধরনের পরিস্থিতি গুলো কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন, তবুও শক্ত হতে হবে।
যাইহোক আপনাদের পিকনিক প্লেন শুনে ভালো লাগলো, অপেক্ষায় রইলাম চমৎকার আয়োজন দেখার।
আসলেই নিজের পরিবারের কেউ মারা গেলে সেই শোক সহজে কাটতে চায় না। যাইহোক অনেকদিন পর একসাথে ৭/৮ জন মিলে বেশ ভালোই আড্ডা দিলেন। আড্ডা দেওয়ার সময় বা মুভি দেখার সময় পপকর্ন খেতে দারুণ লাগে আমার। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন আপনারা। পিকনিকের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। আশা করি খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।
ভাইয়া পরিবারের কেউ একজন মারা গেলে সেই শোকের ছায়া অতটা সহজেও দূর হয় না। আর তাইতো আপনার কাকুর মৃত্যুর জন্য এখনো আপনাদের বাড়িতে শোকের ছায়া লেগে রয়েছে। আর এজন্যই হয়তো আপনার মনটাও ভীষণ খারাপ। যাইহোক খুব ভালো কাজ করেছেন ৭-৮ জন বন্ধু মিলে একই সাথে পপকর্ন খেয়ে খেয়ে আড্ডা দিয়েছেন। সেই সাথে চর থেকে ভেরা কিনে নিয়ে এসে পিকনিকের আয়োজন এর চিন্তাও করে ফেলেছেন। আপনাদের পিকনিকের ডেট যেন ঠিকঠাক থাকে এবং আপনারা যেন ভালভাবে পিকনিকের আয়োজন সম্পন্ন করতে পারেন এই প্রত্যাশা করছি। সেই সাথে আপনাদের পিকনিকের আয়োজনের পোস্টগুলো যেন দেখতে পারি এই অপেক্ষা করছি।
বাড়ির এইরকম একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মারা গেলে সবার মন খারাপ থাকাই স্বাভাবিক ভাই। শোকের ছায়ায় আনন্দ টা ঢাকা পড়ে যায় । তবে আপনি বাড়ি গিয়ে সব বন্ধুদের সঙ্গে মোটামুটি ঘোরাঘুরি করছেন আড্ডা দিচ্ছেন দেখে আমার মনে হচ্ছে বাড়িতে ছুটে যায়। যাইহোক এইতো আর মাএ দশদিন। তবে ওটা কে আমরা খৈই বেশি বলি হা হা।।
এর আগের বার তো অনেক কষ্ট করে চর থেকে বেড়া কিনে এনেছিলেন ভাইয়া। আর পিকনিক করেছিলেন। যাইহোক এবারও যেহেতু শীত প্রায় চলে এলো আশা করছি খুব শীঘ্রই সেই আয়োজনটা আবারো করবেন। আশা করছি সময়ের সাথে সাথে আপনার পরিবারের সবাই স্বাভাবিক হবে। আসলে যে চলে যাবার তাকে তো আর ধরে রাখা যায় না। তবে হৃদয়ের মাঝে শূন্যতা সারা জীবন থেকে যায়।
আপনজন হারিয়ে গেলে এতো সহজে ভোলা যায় না।আর বাড়িতে আছেন তাই ভোলাটা একটু কষ্টের ই।তবে সবাই মিলে বাইরে গেলেন। যদিও জিলাপি খাবেন শুনে আমার নিজের ও খুব খেতে ইচ্ছে করছিল।কিন্তু জিলাপি শেষ।তাই পপকর্ন নিলেন।বসে পিকনিক করবেন প্ল্যান করলেন।চরে গিয়ে ভেড়া এনে পিকনিক করবেন।আশাকরি আমরা দেখতে পাবো নানা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।