রমজানের প্রস্তুতি।
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। দেখতে দেখতে আরো একটি রমজান মাস চলে আসলো। এটি পরিশুদ্ধির একটি মাস। নিজেকে সংশোধন করার জন্য সর্বোত্তম একটি মাস। রমজান মাস ধরে রোজা থাকার প্রস্তুতি মুসলমানদের অনেক আগে থেকেই নেওয়া উচিত। যারা হঠাৎ করে রোজা থাকা শুরু করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের উচিত কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই গ্রহণ করা।
আমাদের মা-বোনদের দেখেছি রমজান মাসের আগে অনেকগুলো রোজা থাকতো। শাবান মাসে এমনিতেই নাকি রোজা থাকার অনেক ফজিলত রয়েছে। আর এই মাসের রোজা থাকা মানে আগাম প্রস্তুতি। যাদের রমজান মাসের শুরুতে রোজা থাকতে কষ্ট হয় তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারে। আর এই হিসেবে শাবান মাস পারফেক্ট। আগে থেকে রোজা থাকার অভ্যাস থাকলে শরীর ওই ভাবেই অ্যাডজাস্ট হয়ে যায়। আবার রোজা না থেকেও খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে রোজার আগাম প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
রমজান মাস ধরে সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাসে রোজা থাকার বহু ফজিলত আছে এখান থেকে বঞ্চিত হওয়া মানে অনেক বেশি লস। সৃষ্টিকর্তা বহু সুযোগ দিয়ে রেখেছে এই মাসটা ঘিরে। এজন্য সুস্থ থেকে সিয়াম পালন করা জরুরী। আমরা অতিরিক্ত আজেবাজে খাবার খেয়ে শরীরের কন্ডিশন খারাপ করে ফেলি। রমজান মাসজুড়ে আমাদের উচিত বেশি বেশি ফলমূল খাওয়া। অর্থনৈতিক সমস্যা যাদের তারা খেজুর খাবে বেশি বেশি। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর খেতে অনেক ভালবাসতেন। খেজুরে অনেক শক্তি উপাদান আছে, যা অল্প খেয়েও অনেক সময় যাবত এনার্জি পাওয়া যায়।
ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া না খাওয়াই উচিত। ছোলা মুড়ি না হলে তো আবার আমাদের ইফতার জমেই না। ছোলা মুড়ির সাথে খেজুর, আপেল, তরমুজ, কলা ইত্যাদি রাখা যেতে পারে। আমি এবার প্ল্যান করেছি ইফতারের সময় খুবই অল্প কিছু খাবো। ইফতারে অতিরিক্ত খেলে তারাবির নামাজ পড়তে সমস্যা হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজনও হয় না শরীরের জন্য। আমরা শুধু শুধুই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি লোভে পড়ে। পরিমাণ মতন খেলে ক্লান্তি ও আসে না, আর অতিরিক্ত খেলে বিছানা থেকে উঠতেই ইচ্ছে করে না।
সবাই চেষ্টা করবেন ইফতারের সময় অল্প খেয়ে তারাবির নামাজ শেষ করে রাতের খাবার খেতে। এতে শরীরে এনার্জি পাবেন। আর ইফতারের পর বেশি বেশি পানি খাবেন। সামনে তো গরমের সময়, বেশি বেশি পানি পান না করলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আমার মনে আছে ছোটবেলায় ইফতারে প্রচুর খেতাম। সেই বসতাম , আর উঠতে পারতাম না খেয়ে দেয়ে। কি একটা অবস্থা।
যাই বলেন এক সময়েই রমজান মাসটা জুড়ে কেমন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করত গ্রামাঞ্চলে। গ্রামের মসজিদে কোরআন তেলাওয়াত চালিয়ে দিত আর আমরা বিকেল বেলায় মিসওয়াক নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। বাড়ির পাশের চার রাস্তার মোড়ে ছোলা বিক্রি করত পেঁয়াজি বিক্রি করত। আর মোরের উপর সবাই বসে গল্প গুজব করত বিকেলে, খুব ভালো লাগতো। এখন রমজান মাসে আর সেই আনন্দগুলো পাইনা। আনন্দগুলো সব হারিয়ে গেছে। যাইহোক অন্য একদিন রমজান মাসের কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
উপরে যেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললাম আপনারা চেষ্টা করবেন মেনে চলতে। ইবাদত করতে সুস্থ থাকাটা অনেক বেশি জরুরী। আগামীকাল রাতেই রয়েছে আমাদের প্রথম তারাবি। আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশাহ্ আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।

image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness

OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে ভীষণ ভালো একটি লিখনী ছিল ভাই। সত্যিই কিছুটা প্রস্তুতি নিলে রোজা রাখতে সহজ হবে আমাদের। আর সারাদিন রোজা রাখার পর ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ করা উচিত। একবারে বেশি খাবার খেলে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সত্যিই রমজান মাস এলে আমাদের মাঝে আলাদা আনন্দ কাজ করে। অগ্রিম মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানাই ভাই।
রোজা ২/১ পর শুরু হবে। তার প্রস্তুতির জন্য আপনার পোস্টটি অনেক দরকারি। ইবাদত করতে সুস্থ থাকাটা অনেক বেশি জরুরী এ জন্য সবাই এই পোস্টটি ফলো করলে সুস্থ্য-স্বাভাবিক ভাবে পুরো মাস রোজা করতে সমস্যা হবেনা। গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট ভাইয়া আপনি শেয়ার করলেন।খুব ভাল লাগলো। আসলে রমজান মাস এলেই অন্য রকম এক অনুভূতি সব জায়গায় দেখা যায়। আমাদের সুস্থ থেকে রমজান মাসের ইবাদত করতে হবে।আর এজন্য বেশকিছু দিক নির্দেশনা দিলেন।খুব ভাল লাগলো। আপনাকে রমজানের শুভেচ্ছা ভাইয়া।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া রমজান মাস উপলক্ষে খুব সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের সামনে পেশ করেছেন। আশা করি আমরা সবাই যথাযোগ্যভাবে রমজান মাসের সম্মান রক্ষা করতে পারবো,ইনশাআল্লাহ। তবে একটি কথা সত্য যে আগের মতো এখন আর রমজান মাসের মজা পাওয়া যায় না। এর কারণ হয়তো আমাদের ঈমান দুর্বল হয়ে গেছে। যাইহোক তারপরও চেষ্টা করব রমজান মাসের হুকুম-আহকাম গুলো সঠিকভাবে পালন করার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া রমজান মাসের আগাম প্রস্তুতি সম্পর্কে খুবই সুন্দর লিখেছেন। ভাইয়া এখনো আমাদের গ্রাম অঞ্চলে রমজান মাসটা খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। বিশেষ করে সেই সুবেসাদিক থেকে মসজিদের মাইক দিয়ে বলতে শুরু হয়, ভাত রান্না করার সময় হয়ে গেছে, তারপর সেহরি খাওয়ার সময় হয়ে গেছে, আবার এরই ফাঁকে ফাঁকে সুমিষ্ট কন্ঠে গজল পরিবেশন হয়। আবার সারাদিন রোজায় থেকে ছোট-বড় সকলে বিকাল বেলায় নিমের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করার ধুম পড়ে যায়। যাহোক ভাইয়া, মহান আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে যেন রমজান মাসের রোজা গুলো করার তৌফিক দান করেন, আমিন।