শপিংয়ের অদ্ভুত ব্যাপার!!
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? গত তিন দিন হলো ঢাকা শহরে একটু শীতের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তেমন বেশি শীত না, তবে শুধু টি-শার্ট পরে বাইরে গেলে শীত লাগছে। গ্রামে খোঁজ নিয়ে শুনলাম গ্রামে নাকি অনেক শীত পড়তে শুরু করেছে। এবছর তো আবার সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতেই পারলাম না। ফেসবুকে শুধু ছবি দেখতেছি সারা চর জুড়ে সরিষা ফুলে ছেয়ে আছে।
যাইহোক আজকে আমি কেনাকাটা নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু অনুভূতি শেয়ার করব আপনাদের সাথে। শপিং করতে কার না ভালো লাগে? আমারও ভালো লাগে কিন্তু খুব এক্সট্রিম লেভেলের নয়। যখন কলেজে পড়তাম তখন আমরা শপিং-এ গেলে সবাই একসাথে যেতাম। খুব ভালো লাগতো। সবাই একসাথে গেলে অনেক আনন্দ হয় শপিং করার মাঝে। একসাথে শপিং করতে যাওয়ার মধ্যে আরো অ্যাডভান্টেজ আছে।
আমি যখন একা শপিং করতে যাই তখন লিটারালি আমার কোন জিনিস পছন্দ হতে চায় না সহজে। আমি বেশি দোকান ঘুরে কেনাকাটা করতে একটুও পছন্দ করি না। অনেক জিনিস দেখলে চয়েজ করতে আরও বেশি কনফিউজড হয়ে যেতে হয়। যখন অন্যজনের জন্য কোন জিনিস কিনতে যাই তখন কিভাবে জানি বেশি বেশি আমার পছন্দের জিনিস সামনে আসে। মাঝেমধ্যে খুব বেশি পছন্দ হয়ে যায়। কেনাকাটার প্রস্তুতি না নিয়ে যাওয়ার কারণে সেটা নিয়ে আসা হয় না আর।
এইজন্য সবাই একসাথে যাওয়ার একটা অ্যাডভান্টেজ হলো অন্যজনের জন্য যখন দেখব তখন নিজের জন্য একটা কিছু ভালো লেগে গেলে কিনে নিয়ে চলে আসা যায়। আসলে নিজের জন্য কেনার সময় ভালো না লাগার পিছনে একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার থাকতে পারে। ওই সময়টায় কিন্তু ব্রেন একটা প্রেসারে থাকে। ইয়েস ওর নো সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু অন্যজনের সাথে কিনতে গেলে কোন প্রেসার থাকে না। তখন ভালো লাগলে নিব না লাগলে নিব না, ব্যাপারটা এমন হয়। সবার সাথে এমনটা হয় কিনা জানিনা এটা আমার বেলায় হয়।
আজকে আমাদের কমিউনিটির এডমিন আরিফ ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম একটু শপিং করতে। ভাই ঢাকায় এসেছেন কিছুদিন হলো। গতকালকে আমি হাফিজ ভাই আর আরিফ ভাই ঘুরেছি। আজ শুধু আরিফ ভাইয়ের সাথে বেরিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আরিফ ভাই কেনাকাটা করার সময় আমিও কিছু কিনব। বউ যাওয়ার সময় বলে দিয়েছে আমিও যেন নিজের জন্য কিছু কিনে আনি। কিন্তু ওই যে, প্ল্যান ছিল নিজে কিছু কিনব!! ওই জন্য আমার আর কিছু কেনাই হয় নাই।
২০ তারিখের পরে বন্ধুদের সাথে মার্কেটে যাওয়ার একটা প্ল্যান আছে। এবার শীতের জন্য কিছু কেনাকাটা করিনি তেমন। সেদিন কিছু কেনাকাটা করার মনস্থির করেছি। এবারের শপিংটা ঢাকা থেকেই করে নিয়ে বাড়ি যাবো। তবে আগের মতন শপিং এর প্রতি অতটা আর এক্সাইটমেন্ট কাজ করে না। এখন শুধু প্রয়োজন তাই কিনতে হবে ব্যাপারটা এরকম। শপিং করতে গেলে কি আপনাদেরও আমার মতন হয়? জানাবেন কিন্তু কমেন্টে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাইয়া আপনার শপিংয়েং অদ্ভুত ব্যাপার পোস্টটি পড়লাম।আসলে আমার এমনটা আরো রেশি হয়।ঘরকুনো স্বভাব আমার ছোটবেলা থেকেই।মার্কেটের ঝুট ঝামেলা কখনও পছন্দ ছিল না।আম্মুই সব সময় কেনাকাটা যা করার করে দিত, তাই বেশ পছন্দ হতো।কিন্তু এখন কেনাকাটা করতে গেলে এই ব্যাপারটা খুব ই ফেস করি।দেখা গেছে দোকানের লোকজন বলতে থাকে এই কালার আপনাকে মানাবে। অথচ আমি ডিসিশন আর নিতে পারি না।অথচ কারো জন্য কিছু কেনাকাটা করতে গেলে তখন বেশ কিছু পছন্দ হয়ে যায়। যাই হোক অনুভুতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো।
গ্রামে ভালোই শীত পড়ছে এখন। যদিও পরিবারের সবাই সুইটের গায়ে দেওয়া শুরু করছে কিন্তু আমি এখন করিনি। আপনার কাছ থেকে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি পেতাম এবার এখনো পাইনি।নিশ্চয়ই আপনি আপনার গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখতে পাবো। আমি একদম ঘোরাঘুরি করে জিনিস পছন্দ করতে পারিনা। ওইটা আবার আমার আম্মুর ট্যালেন্ট। যাইহোক শপিং করতে গেলে একদম আপনার মত অবস্থা হয় আমার। 🥴
আমি ভাবতাম আমি বুঝি নিজের জন্য চয়েস করতে গেলে একটু বেশি কনফিউজড হয়ে যাই। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম আপনিও আমারই দলে। নিজের জন্য শপিং করতে গেলে আমারও পছন্দের জিনিস যেন খুঁজে পাই না। অথচ অন্য কারো গায়ে দেখলে সেটা আবার ভালো লাগে। দুদিন থেকে তাহলে বেশ ভালো ঘোরাফেরা হচ্ছে আপনাদের একসাথে সেটা জেনেও বেশ ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের এখানেও হালকা শীত পরেছে, তবে ফুল হাতা শার্ট পরলে ততোটা শীত লাগে না। তাই এখনো শীতের কাপড় বের করিনি আলমারি থেকে। তবে হয়তো সপ্তাহ খানেক এর মধ্যেই শীতের জামাকাপড় আলমারি থেকে বের করতে হবে। আমি ছোট থেকেই নিজের জামাকাপড় নিজে পছন্দ করে কিনতাম, এখনো এমনটাই করি। কেউ পছন্দ করলে আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না। তবে এটা ঠিক যে,অনেক বেশি জামাকাপড় দেখার পর, পছন্দ করতে গিয়ে কনফিউজড হয়ে যেতে হয়। আশা করি ২০ তারিখের পর মার্কেটে গিয়ে বেশ ভালোই কেনাকাটা করবেন এবং সেই মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকায় তেমন শীত না পড়লেও গ্রামে ভালই শীত পড়েছে। বেশ কিছুদিন গ্রামে থাকায় বলতে পারছি।ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের জন্য শপিং করতে গেলে কোন কিছুই পছন্দ হয় না।অন্যের শপিং করার সময় কত কিছুই না পছন্দ হয়।আগামি শপিং এ নিশ্চয়ই পছন্দসই কিছু পেয়ে যাবেন।
হ্যাঁ দাদা গ্রামে শীতের প্রকোপ অনেক বেশি ৷ তাও এটা শুরু হয়েছে আরো অনেক আগে থেকেই ৷ তবে দুদিন থেকে আমাদের এদিকে কনকনে শীতটা পড়া শুরু হয়েছে ৷ সূর্যের দেখা নেই সারা বেলা ৷ যাই হোক , আপনার সাথে আমার পুরো বিষয়টা বেশ মিল আছে ৷ শুধু নিজের জন্য কিছু কিনতে গেলে কেনা হয়না ৷ সহজে পছন্দই হতে চায় না ৷ আর সবাই মিলে কিছু কিনতে গেলে ভালোও লাগে আর সহজেই পছন্দও হয়ে যায় ৷ যাই হোক , আরো বাকি দুই দাদা সাথে গতকাল ভালো সময় কাটিয়ে জেনে ভালো লাগলো ৷ তবে আজ তো কিছু কেনা হলো না আপনার...বিষয়টা কষ্টকর ৷
শেষ দিকে এসে আপনার সাথে আমার মিলে গেছে। যে এখন আর আগের মতন শপিং এর প্রতি অতটা এক্সাইটমেন্ট কাজ করে না। এখন শুধু প্রয়োজন তাই কিনতে হবে ব্যাপারটা এরকম। তবে আমি দশটা দোকান ঘুরে একটি চয়েজ করি। সময় লাগলেও কেন যেন আমার যাচাই করে না কিনলে মনের মাঝে শান্তি আসে না। মনে হয় অন্য দোকানে এর থেকে সুন্দর কিছু পাবো,এভাবেই ঘুরতে থাকি,হি হি হি। ধন্যবাদ।
আমারও তাই মনে হয়, শপিং করতে গেলে সাইকোলজিক্যাল একটা প্রেসারে থাকতে হয়। এজন্য আমিও কখনো একা শপিং করিনা। নিজের কোনটা ভালো লাগবে সেটা ভেবে কনফিউজড হয়ে যায়। তবে আগের মতো এখন শপিং করতে এক্সাইটমেন্টও কাজ করে না! আরিফ ভাইকে সাথে নিয়ে ভালো করেছেন। পছন্দ হলে বুঝা যাবে সাথে একজন থাকলে।