ব্রোকেন স্কোয়াড।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামুআলাইকুম।
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। শীতের মধ্যে আপনাদের দিনকাল কেমন কাটছে? এবার তুলনামূলক বেশি শীত হওয়ায় তেমন একটা বাড়ি থেকে বের হতে ইচ্ছে করছে না। আগামীকালকে আমাদের ট্যুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবে। এত শীতে ট্যুর দিতাম না যদি না আগে থেকে প্ল্যান করা থাকতো।
আসলে আমরা ১৩ জনের একটা স্কোয়াড অনেক আগে থেকেই ট্যুরে যাওয়ার প্ল্যান করে রেখেছিলাম। অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে আমাদের ট্যুর এখন বাস্তবায়নের পথে। এর মধ্যে অনেকগুলো বাঁধা এসেছে অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে সবকিছু ওভারকাম করেছি, আর আমরা আগামীকালকে যাব ইনশা আল্লাহ।
তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো আমরা ১৩ জনের টিম এখন ৮ জন হয়ে গেছি। যে পাঁচজন বাদ গিয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন রয়েছে ছোট ভাই, একজন আমার বন্ধু আর একটা বড় ভাই৷ ছোট ভাই গুলোর মধ্যে একজনের একটু পার্সোনাল সমস্যা আর দুইজনের ছুটি হয়নি। সে দুজনেই সেনাবাহিনীতে আছে যার কারণে ছুটি ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে গেছে। আর আমার বন্ধুর হঠাৎ একটা কাজ পড়ে গেছে এজন্য ও চাইলেও আর যেতে পারছে না। এ ব্যাপারটাতে ওর খুবই মন খারাপ। ওকে রেখে যেতে আমাদেরও খারাপ লাগতেছে। আর সিনিয়র ভাই যেটা ছিল উনারও ছুটি হয়নি।
আসলে আমরা যদি ট্যুর করতাম ফেব্রুয়ারিতে তাহলে ছুটি পাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকতো সবারই, আর এই পাঁচজনের তেমন কারোরই যাওয়া মিস যেত না। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে আবার সমস্যা অন্য কয়েকজনের। ওই টাইমে তাদের পরীক্ষা থাকে। আবার ফেব্রুয়ারির পরে মার্চে গেলে যারা চাকরি করে তাদের ছুটি মিলবে কিনা সন্দেহ। সব দিকেই বিশালই একটা ঝামেলা বেঁধে আছে। যার কারণে এই জানুয়ারির টাইমটা আর চেঞ্জ করা হলো না। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে এই টাইমে না গেলে পরে সমস্যা আরো বেশি হতে পারে।
যাই হোক আগামীকাল আমাদের এখান থেকে ট্রেনে উঠে ঢাকায় যাব তারপর ঢাকা থেকে সরাসরি চিটাগাং। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট আমরা পাইনি। এজন্য টুরনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে । প্রথমে চিটাগাং যাবো এরপর যাবো বান্দরবান। বান্দরবান ট্যুর শেষ করে তারপর যাবো কক্সবাজার। কক্সবাজার ট্যুর শেষ করে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আবার ঢাকায় ব্যাক করব। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ফিরতি টিকিটটা পেয়েছি আমরা। প্রথমে প্ল্যান ছিল আগে কক্সবাজার যাওয়ার কিন্তু ট্রেনের টিকিটের ঝামেলাটা হওয়ার কারণে আমরা জাস্ট সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করে আগে বান্দরবান ট্যুর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আসলে জীবনের একটা টাইমে গিয়ে যখন সার্কেলের কয়েকজন চাকরি পেয়ে যায় তখন আর ইচ্ছামত যখন তখন কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় না। একটা সময় ছিল যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর দু চারদিন পরেই ট্যুরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছি। এরকমটা এখন হয় না আর। এখন যাও বা ডেট ফাইনাল করা হয় তারপরও অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকে। যাইহোক ইনশা আল্লাহ আগামীকাল আমরা রওনা দিচ্ছি। চেষ্টা করব আপনাদের সাথে সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনারা ট্যুরে যাবেন সেটা আগে থেকেই জানি।কারন রাহুল ভাইয়া বলছিলেন ডিসকর্ড এ।তবে খারাপ লাগলো যে কিছু মানুষ কমে গিয়েছে দেখে।ট্যুরে বেশি মানুষ থাকলে মজাও বেশি হয়।তবে সমস্যা নিয়েই মানুষের জীবন তাই মেনে নিতে হবে সবকিছুই। ঠান্ডা আবহাওয়াতে সাবধানে যাবেন দাদা,আপনাদের জার্নি সুন্দর হোক সেটাই প্রত্যাশা করি।।
প্রথমেই বলব আপনাদের যাত্রা শুভ হোক তবে হ্যাঁ বিভিন্ন বাধা-বিভক্তির কারণে অনেকেই অনেক সময় যেতে পারে না। তবে আপনার বন্ধু যেতে পারবে না এ বিষয়টা আপনার কাছে বেশি কষ্ট লেগেছে যতটা বুঝতে পারলাম।
সময়ের সাথে সাথে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর কর্ম ব্যস্ত জীবনে প্রবেশ করলে তারা চাইলেও আর সবার সাথে ঘুরতে যেতে পারেনা। যারা এবার ঘুরতে যাওয়া থেকে বাদ পড়েছে তাদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে ভাইয়া। যাই হোক বান্দরবান আর কক্সবাজার সফর ভালো হোক এই প্রত্যাশাই করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই ভাই কর্মজীবনে ঢুকে গেলে অনেক সময় টাইম ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে যায়। যাইহোক সবার যাওয়ার কথা থাকলেও, অবশেষে ৮ জন যাচ্ছেন এটাও কম না। তবুও স্কোয়াড ব্রোকেন হলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট পেলে সবচেয়ে ভালো হতো। তাহলে প্রথমে কক্সবাজার ঘুরে তারপর বান্দরবান যেতে পারতেন। যাইহোক বান্দরবান ঘুরে তারপর কক্সবাজার ঘুরবেন, এটাও কিন্তু খারাপ না। আশা করি ঘুরাঘুরি বেশ উপভোগ করবেন এবং আমাদের সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন। তারপর নিরাপদে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকায় ব্যাক করবেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
আপনাদের যাত্রা শুভ হোক এই শুভকামনা। যেহেতু ঢাকা-চিটাগং-বান্দরবান-কক্সবাজার ট্যুর, মানে বেশ কিছুদিনের ট্যুর। সবাই সাবধানে থাকবেন, কারণ সামনের ওয়াদার ফোরকাস্ট এ আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । আর তাও তো ১৩ জনের থেকে ৮ জন এসে ঠেকেছে। বেশির ভাগ গ্রুপের এমন করতে করতে ট্যুর ই ক্যান্সেল হয়ে যায়।