মাঠের মাঝে টং এর চা।

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। কিছু কিছু সময় ছোট ছোট মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর কেটে থাকে। আর ছোট সুন্দর মুহূর্তগুলো খুব দ্রুতই পার হয়ে যায়। এবার প্রায় ২১ দিন ছুটি কাটিয়ে এসেছি বাড়িতে। যখন সময় চলে আসছে সবাই এক এক করে যার যার কর্ম স্থানে বা প্রয়োজনের স্থানে ফিরে যাওয়ার ঠিক তখনই আবার মন খারাপ হয়ে যায়।

ছুটি প্রায় শেষের দিকে। আমাদের মধ্যে একজন পরের দিনই চলে যাবে ঢাকায়। বিকেলবেলা তার মনটা একটু খারাপ। ভাবলাম আজকে বেশিদূর যাব না। নদীর নিচে নেমে একটা ছোট্ট টং দোকান থেকে চা খেয়ে আসি। দোকানটা কিছুদিন হলো নতুন দিয়েছে। সেদিন ভেড়া কিনতে যেয়ে প্রথম দোকানটি চোখে পড়ে। সেদিন নতুন দোকানটি দেখে ভেবেছিলাম একদিন এখানে এসে চা খেয়ে যাব। সময় এসেছে টেস্ট করার। দেখি টং এর দোকানের চাচা কেমন চা বানায়?

1699932955002-01.jpeg

1699932967512-01.jpeg

চরে যেতে যে রাস্তাটা পার দিতে হয় সে রাস্তায় প্রচুর ধুলো থাকে। বাইক নিয়ে গেলে প্রথমে যে বাইকটা থাকে সে খুব ভালোভাবেই পার হতে পারে কিন্তু পিছনে যারা থাকে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আর এই সময়টা বেশ মজাই হয়। ভাবুন যে একদম লাস্টে আছে তার কি অবস্থা। আর সবাই এক সমানে সমানে যাওয়ার সময় মাঝেমাঝে দুষ্টুমি করে একজন আগে চলে গেলেই বাকিদের অবস্থা খারাপ। হাহাহা।।

1699932883455-01.jpeg

1699932898828-01.jpeg

চরে নেমেই দোকানটাতে চলে গেলাম। দেখলাম পানি গরম হচ্ছে অর্থাৎ বেশি সময় দোকানটি খোলেনি। এখানে দোকান হওয়ার কোন কারনই থাকতো না যদি না পাশে দুটি ইটের ভাটা থাকতো। আগে একটি ভাটা ছিল এখন আরো নতুন একটি হয়েছে যার কারণে এই দোকানটি দিয়েছে। যাই হোক আমরা সবাই এক কাপ করে রং চা নিলাম। পানি খুব একটা গরম হয়নি সেটা খুব বুঝতে পারলাম। তবে একদম মাঠের সাথে ছিল দোকানটি, আর পাশ দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে খোলা মাঠ সামনে রেখে চায়ে চুমুক দিতে মন্দ লাগছিল না।

1699932869526-01.jpeg

1699932908546-01.jpeg

1699932943093-01.jpeg

1699932917610-01.jpeg

হয়তো খুব রিসেন্টলি সামনের মাঠে চাষ দেওয়া হয়েছে। তাইতো মাটির একটা ঘ্রাণ নাকে আসছিল। এই ঘ্রানটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম আর প্রকৃতিকে উপভোগ করছিলাম। অল্প সময়ের মধ্যেই আলো নেমে আসলো। চা খেয়ে আর তেমন দাঁড়াইনি। তখনই আমরা চলে এসেছি। বিকেলের পরিবেশটা একটু উপভোগ করলাম। আশেপাশের দৃশ্যগুলো খুব ভালো লাগে যখন সূর্য অস্ত যায়।

এভাবেই সেদিনের বিকাল টি কেটেছিল। এখন ঢাকাতে আছি আর সেই দিনগুলোর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। এটাই একটা ভালো লাগা। হয়তো ফটোগুলো শুধু গ্যালারিতেই থেকে যেত, ঘটনা গুলো শুধু আমারই জানা থাকতো। এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করে এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো স্মৃতি হিসেবে থেকে যাচ্ছে। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

1699931097373-01.jpeg



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 8 months ago 

ছুটির শেষের দিকে একজন পরের দিন চলে যাবে তাই বিকেলটা তাকে নিয়ে নতুন টং এর দোকানে চা খেয়ে কাটালেন।আর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করলেন।আমরাও করলাম আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি থেকে।মাটির ওই গন্ধটা আমার ও ভীষণ ভালো লাগে। ২১ দিন ছুটি কাটিয়ে এখন চলে এসেছেন।আর স্মৃতি রোমন্থন করছেন।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

 8 months ago 

ছুটির দিন গুলো কিভাবে কেটে যায় সেটা টের পাওয়া যায় না। ছুটির শেষের দিকে মনটা এমনিতেই খারাপ হয়ে যায়। এই ব্যাপারটা আমার সাথে প্রায়ই ঘটতো যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম। ছুটি আসার আগে খুবই ভালো লাগতো। যাইহোক এমন খোলামেলা জায়গায় বসে বসে চা খেতে আসলেই বেশ ভালো লাগার কথা। চা খেতে খেতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা,বাহ্! এককথায় দুর্দান্ত অনুভূতির সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

চমৎকার একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন ভাইয়া। যেহেতু আপনাদের ঘোরাঘুরির মধ্যে অনেকে ছিল। অবশেষে একজনকে বিদায় দিলেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। আসলে বাইকের পিছনে যারা থাকেন তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হবে। ধুলোবালি খেয়ে একদম পেট ভরে যাবে। তো টংয়ের চা বেশ ভালোই খেলেন আপনারা সবাই মিলে। ওখানে যারা ইট ভাটার কাজ করবে তাদের জন্য খুব সুবিধা হয়েছে চায়ের দোকানটি বসে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66394.28
ETH 3309.98
USDT 1.00
SBD 2.70