তিন দিনের তিন'রূপ - কক্সবাজারে দ্বিতীয় দিন।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? গতদিনে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি যেখানে প্রথম দিনের গল্প লিখেছিলাম। আজ শেয়ার করব দ্বিতীয় দিন কেমন কাটলো। প্রথম দিনের ওয়েদার ছিল ঝা-চকচকে। দ্বিতীয় দিনের ওয়েদার ছিল মেঘলা, সমুদ্র ছিলো উত্তাল। জোয়ারের সময় সাধারণত পানি যে পর্যন্ত উঠে আসে তার থেকে অনেক বেশি উপরে উঠে এসেছিল।
শুকনো জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, ক্রমশ ঢেউ গুলো বেশি উপর পর্যন্ত উঠে আসছিল আর আমরা ততই উপরে চলে আসতেছিলাম। এক পর্যায়ে একদম বীচের উপর অংশ পর্যন্ত পানি চলে আসছিল। এমন উত্তাল সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতা এই প্রথম হলো।
দ্বিতীয় দিনটা ছিল আমাদের জন্য পারফেক্ট। সেদিন নতুন রুপে সমুদ্র দেখেছি । শপিং যা কিছু করার প্ল্যান ছিল সবকিছু দ্বিতীয় দিনেই করে ফেলেছি। দ্বিতীয় দিন আমরা সকাল বেলা বীচে গিয়ে প্রায় দুপুর অব্দি বীচেই ছিলাম। সমুদ্রের এই গর্জন শুনতে শুনতে কখন যে দুপুর হয়ে গেছে সেটা খেয়ালই করিনি। দুপুরের দিকে বীচ থেকে হোটেলে চলে আসি। হোটেলে এসে গোসল করে এর পর দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পালা।
দুপুরের খাওয়াটা একটু বেশিই হয়ে গেছিল সেদিন। খাওয়া শেষ করে হঠাৎ মনে হলো মিষ্টি খেতে পারলে মন্দ হতো না। রেস্তোরাঁ থেকে সামান্য একটু দূরে ছিল বনফুল। ওদের মিষ্টির তো ভালোই সুনাম আছে। আমরা পাঁচজন হাফ কেজি মিষ্টি নিয়েছিলাম। আমরা যে মিষ্টি নিয়েছিলাম এটার নাম হলো ছানার বালুসাই। দুর্দান্ত রকমের টেস্ট ছিল মিষ্টিটার। মিষ্টি খেয়ে যেন দুপুরের খাওয়াটার পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসলো।
খাওয়ার পর্বটা শেষ করে বিকেল পর্যন্ত বীচে ছিলাম। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ববস্থায় সমুদ্রের অবস্থা দেখতে পেলাম সেদিন। সমুদ্র ক্রমশ উত্তাল হতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক সময়ে জোয়ার হলে যতদূর পানি থাকে এখন ভাটার সময়ও ঠিক তত দূর পানি উঠে এসেছে।
সেদিন বিকেলবেলা গিয়েছিলাম কক্সবাজার বড় বাজারে। সেখান থেকে শুটকি মাছ কিনেছি। কয়েকজন আবার অনেক অনেক আচার কিনেছে। এসব কেনাকাটা করে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল। সেদিন ছিল আবার কমিউনিটির উন্মুক্ত হ্যাংআউট। তাইতো সন্ধ্যার পরে আর বীচে যাইনি। সরাসরি গেছিলাম হোটেলে। আপনারা তো জানেন সেদিন হ্যাংআউট খুব দ্রুতই শেষ হয়ে গেছিল। হ্যাংআউট শেষ করে আবার আমরা বীচে গেছিলাম।
সেদিন বীচে রাত্রিবেলায় লেইং চেয়ারে বসে থাকতে ভিষণ ভালো লাগছিলো। প্রচন্ড বাতাস ছিল সেদিন। সমস্যা হলো বেশিক্ষণ এই ফিলটা নিতে পারিনি। কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টি শুরু হলো। ইচ্ছে ছিল বারবিকিউ খাওয়ার। স্যলমন ফিস এর বারবিকিউ খাব বলে মাছ খুঁজতে গেলাম। দুঃখের বিষয় হলো দুইটা দোকানে মাত্র সেদিন বারবিকিউ এর আয়োজন চলছিল। একটা দোকানের মাছ মোটেও পছন্দ হয়নি অন্য দোকানের মসলা একদম বাজে লাগছিল দেখতে। ওদিকে আবার আকাশ থেকে জোরছে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে।
আমরা বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে একটি ইজিবাইক নিয়ে সরাসরি হোটেলে চলে আসছিলাম। বীচের যে সৌন্দর্য সেদিন দেখেছি সেটা লিখে কোন ভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব না। এমন রূপ দেখার অভিজ্ঞতাটা ছিল আমার প্রথম। দ্বিতীয় দিনটি সবচেয়ে সুন্দর কেটেছে আমাদের। যদিও রাতে আরো কিছুক্ষন বীচে বসে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো লাগতো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rex-sumon,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দ্বিতীয় দিনটি ছিলো ভয়ংকর সুন্দর। সমুদ্র কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা আমরা দ্বিতীয় দিনে উপলব্ধি করতে পেরেছি। মিষ্টি খাওয়ার মুহূর্তটা সত্যিই দারুন ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই কক্সবাজারের দ্বিতীয় দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কক্সবাজার গিয়ে আনন্দময় সময় কাটালেন এটা যেনে সত্যিই ভালো লাগলো। ভালোলাগার কিছু বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করলেন, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যেটি সত্যিই মনকে ভালো করে দেয়। তবে কক্সবাজার থেকে শুটকি কিনেছেন, এবং অনেকে আচার কিনেছে এটা খুব ভালো একটা ব্যাপার। কক্সবাজারের শুটকি এবং আচার একটু ভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এমন একটি সুন্দর মুহূর্তের বর্ণনা দেওয়ার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য অনুধাবন করলেন আপনারা।এরপর কেনাকাটা করলেন ।সব মিলিয়ে দারুন একটা টাইম স্পেন্ড করলেন।তবে আরো একটু বেশি সময় থাকলে আপনাদের ভালো লাগতো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভাই এমন উত্তাল সমুদ্র দেখার সুযোগ কখনোই হয়নি আমার। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি, একেবারে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনাদের। রবিবার রাতে ১০ টার পর ওয়াইফকে নিয়ে হসপিটাল থেকে বাসায় ফেরার পথে, যখন শীতলক্ষ্যা নদী পার হওয়ার জন্য ঘাটে গিয়েছিলাম,তখন বাতাস দেখে তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। প্রচুর বাতাস ছিলো বলে ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। সেদিন রাতে নদীর পাড়ে এমন অবস্থা হয়েছিল, আর সমুদ্রের পাড়ে যে কেমন বাতাস হয়েছে, সেটা স্পষ্ট বুঝতে পারছি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমিও দারুণ একটা ফিল পেলাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
কক্সবাজার বড় বাজারে যাওয়ার পোস্ট টা আরিফ ভাইয়ের থেকে পড়েছি। মেঘলা উওাল ভয়ংকর সমুদ্র টা সত্যি খুবই ভয় করছে। কী একটা অবস্থা। তবে এটাকে ভয়ংকর সুন্দর বলে অভিহিত করা যায়। মিষ্টি টা দেখে বেশ সফট এবং টেস্টি মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রমগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।