মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফি - আকাশ নদী ও মেঘের মিতালী।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
অনেকদিন পর আজকে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতেছি আপনাদের সাথে। আজকে শুধুমাত্র মোবাইল ফটোগ্রাফি শেয়ার করব আর চিন্তা করছি মোবাইল ফটোগ্রাফির একটা সিরিজ পোস্ট রাখবো প্রত্যেক সপ্তাহে।
মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইদানিং। এক সময় মোবাইলে ভালো মানের ক্যামেরা এখনকার মতো এভেলেবল ছিল না। এখন মিড রেঞ্জের ফোন গুলোর মধ্যেও ভালো ক্যামেরা পাওয়া যায়। আবার এক সময় মানুষ ধারণা করতো ভালো ছবি তুলতে শুধুমাত্র ডি.এস.এল.আর ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল।
একটি অতি সাধারণ জিনিস কে অসাধারণ করে তোলা যায় শুধুমাত্র ক্যামেরাম্যানের উচ্চ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে। অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন আর ইউনিক চিন্তাশক্তির প্রয়োজন। অনলাইনে এমন হাজারো মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফি দেখা যায় যেগুলোর সাথে কোনভাবেই ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো বিট করতে পারে না। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক ভালো ভালো মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফার আছে। তারা সত্যিই দারুণ ফটোগ্রাফি করে। তাই আমিও চেষ্টা করলাম কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার।
আজকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব আকাশ, নদী আর মেঘের দৃশ্যের। আকাশ নদী আর মেঘের মিতালী একসঙ্গে দেখতে কি যে ভালো লাগে!! তাইতো এই তিনটে একসাথে দেখলে এক ফ্রেমে বন্দী করতে দেরি করি না। আমি যে ছবিগুলো শেয়ার করছি এই ছবিগুলোতে কালার গ্রেডিং এর খুব একটা ম্যানুপুলেশন নেই। বর্ষার আকাশ এখন এমনিতেই অনেক সুন্দর। ফটোগুলোতে শুধুমাত্র স্যাচুরেশন, আম্বিয়েন্স এবং কনট্রাস্টের টিউন করা হয়েছে। আশা করছি ছবিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের।
_
ছবিটি বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাপচার করা। সূর্য মেঘের আড়ালে থাকায় নদীতে হালকা ছাঁয়া দেখা যাচ্ছে। কিছু নৌকা রাখা আছে যেগুলো মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হয়। এবার অবশ্য এখন পর্যন্ত নদীতে বেশি পানি আসেনি।
সাবজেক্ট: নদী নৌকা ও মেঘ।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
মেঠো পথ বয়ে চলেছে নদীর দিকে। দুপাশে ঘাস বুনে রেখেছে কৃষকরা। ঘাস গুলো বেশ বড় হয়েছে। এই ঘাসগুলো সাধারণত গরুর খাওয়ানোর জন্য চাষ করা হয়।
সাবজেক্ট: মেঠো পথ, ঘাস।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
মেঠো পথ পেরিয়ে নদীতে পৌঁছে যাওয়ার মুহূর্ত। ঘাটে একটি ছোট্ট নৌকা বাঁধা আছে। নদীর ওপারে যাবার সময় এটাই একমাত্র ভরসা। ঘাট এখন জন মানব শূন্য। একটু পরেই ব্যস্ততা বাড়বে।
সাবজেক্ট: নৌকা ও পথের প্রান্ত ।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
শুকনা নদী। একপাশে আখের ক্ষেত দেখা যায়। সবেমাত্র আঁখগুলো লম্বা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন পরেই খাওয়ার যোগ্য হয়ে যাবে। আখ ক্ষেতের পাশেই ছোট্ট একটি জলাধার। নদীর পানি সরে যাওয়ার পরেও এখানে পানি থাকে। এটা বৃষ্টির পানি। এরকম ছোট ছোট জলাধারে বেশ মাছ পাওয়া যায়।
সাবজেক্ট: আখ ক্ষেত ও ছোট্ট জলাধার।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
সবুজ শুকনো নদীতে বৃষ্টির পানির ছোঁয়া। সবেমাত্র জমিন ভিজতে শুরু করেছে। বর্ষা শেষ হওয়ার আগেই এখানটা অথৈ পানিতে ডুবে থাকবে।
সাবজেক্ট: হালকা ভেজা সবুজ শুকনো নদী ।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
ছবিটি ৯০ ডিগ্রি প্যানারোমা মুডে তোলা। রাস্তা থেকে আকাশ, আঁকাবাঁকা রাস্তা এবং শুকনো নদীর দৃশ্য একসঙ্গে ক্যাপচার করা। এই জায়গাটা বাস্তবে আরো সুন্দর । এখানে মাঝেমধ্যেই গিয়ে সময় কাটাই।
সাবজেক্ট: রাস্তা ও শুকনো নদী।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: no data
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
বর্ষাকাল হলে কি হবে, বেশ গরম পরছে এবার। এই গরমে গোসল না করে কি থাকা যায়!! তাইতো বেশ আরাম করে গোসল সেরে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে এক জোড়া মহিষ। মহিষ দুটির মালিক পিছে পিছে আসছেন। নদীর নতুন পানিতে গোসলের মজাই আলাদা।
সাবজেক্ট: মহিষ।
ক্যাপচার ডেট: ২৭ জুন ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
গার্লস স্কুলের মাঠ থেকে তোলা। সেদিন কোথায় যেন যাচ্ছিলাম আমরা। হঠাৎই এই দৃশ্যটা চোখে পড়ল। গারো নীল বর্ণের আকাশ আর হালকা মেঘ। সেদিন বেশ বাতাসও ছিল। সব মিলিয়ে পরিবেশটা আমার কাছে খুব ভালো লাগতেছিল তাই ক্যাপচার করেছিলাম।
সাবজেক্ট: আকাশ।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৫.৪৩ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
_
বাংলার সুইজারল্যান্ড। সবুজ মাঠ। একসময় বর্ষা আসতে না আসতেই এখানে পানি চলে আসতো। এখন মাত্র দুমাস মত পানির নিচে থাকে জায়গাটি। যখন ছবিটি ক্যাপচার করেছিলাম দূরে দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির দৃশ্য। অনেক সুন্দর না?
সাবজেক্ট: বৃষ্টির দৃশ্য ও সবুজ মাঠ।
ক্যাপচার ডেট: ৭ জুলাই ২০২৩ ইং
ফোকাল ল্যান্থ: ৭.০০ এম.এম
ডিভাইস: Redmi Note 9 Pro Max, Xiaomi
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আমিও তো মোবাইল ফোনে ফটোগ্রাফি করি। কই আপনার মতো এত সুন্দর তো হয় না। এত সুন্দর প্রকৃতি দেখে তো আমার অনেক অনেক লোভ কাজ করছে। মনে হচেছ স্বপ্নের মাঝে ছুটে যাই এই প্রকৃতির মাঝে। আজকের প্রতিটি ফটোগ্রাফিতে রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। মনে হচেছ উড়ে যেয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসি আর নিজের কষ্ট গুলো কে মেঘের রাজ্যে ভাসিয়ে দিয়ে আসি।
অসাধারণ ছিল আজকের ফটোগ্রাফি গুলো। 😍খুব ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ননা তুলে ধরেছেন আরো বেশী ভালো লাগলো।তিনটি ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে।১.মেঠো পথ বেয়ে নদীর দিকে,ফটোগ্রাফিটা দেখে মনটা কেমন করে উঠলো।২. গার্লস স্কুলের মাঠ থেকে প্রকৃতি আর আকাশ,অসাধারণ। ৩.বাংলার সুইজারল্যান্ড, দারুন এক কথায়।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনেও খুবই দারুন দারুন ফটোগ্রাফি ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। আপনি আমাদের মাঝে নদী এবং আকাশের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি মোবাইল ফোন দিয়েই ধারণ করে শেয়ার করলেন।
বাংলার সুইজারল্যান্ড দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। দূর থেকে এই ছবিটি ক্যাপচার করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। এছাড়া আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা অনেক বেশি। তাই তো মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করেন কিংবা ক্যামেরা দিয়ে। সবগুলোই সুন্দর হয়। নীল আকাশ আর সবুজ মাঠ মিলেমিশে যেন একাকার হয়েছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
হুম, আপনার কথার সাথে একমত ভাই এর আগে অত ভালো ফোন কারোর ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভালো ফোন মানুষের হাতে হাতে। আর এর জন্য সামনে যেখানে সৌন্দর্য কোন কিছু পায় সেখানেই ফটোগ্রাফি করে। আজকে আপনি যেসব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন ভাই প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাকে বিমোহিত করেছে। প্রকৃতির সব সৌন্দর্যগুলো যেন আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে ফুটে উঠেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জাস্ট অসাধারণ ভাইয়া মুগ্ধ হয়ে গেছি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আসলে ইদানিং আমাদের কমিউনিটিতে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখি সত্যিই প্রশংসা না করলেই হয় না। আপনি ঠিক বলছেন দক্ষতার সাথে সময় দিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করতে হয় তাহলে দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করা যায়। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করলেন আকাশ-নদীর এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের আমার তো অনেক ভালো লেগেছে।
প্রত্যেকটা ছবি জাস্ট অসাধারণ ছিল। প্রত্যেকটি ছবির নিচে আপনি বর্ণনা করে দিয়েছেন এটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে সত্যি দাদা প্রকৃতির ছবিগুলো এত সুন্দর লাগে আমার কাছে মনে হয় যেন প্রকৃতির মাঝে মিশে যাই। আকাশ নদী ও মেঘের মিতালী মেশানো ফটোগ্রাফি গুলো আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ভাইয়া, অসাধারণ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পথের দু'ধারে বুনে রাখা ঘাসের সাথে নীল আকাশের ফটোগ্রাফিসহ আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। দুর্দান্ত একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া কোনটা ছেড়ে কোনটা নিয়ে কমেন্ট করবো কিছু বুঝতেছি না। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রকৃতিকে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে ফটো গুলো দেখে মনটা ভরে গেল। বাংলার সুইজারল্যান্ড দেখে গর্ব হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।