বাংলা নাটক রিভিউঃ- সময় সব জানে || Closup কাছে আসার গল্প।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। যদিও আম্মু বেড়াতে যাওয়ার কারণে অনেকটা ব্যস্ততায় সময় পার হচ্ছে। যাই হোক। আজ আপনাদের সাথে একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। নাটক টি গ্রামে যেয়ে দেখেছিলাম। ভালোই লেগেছিলো। তাই এর রিভিউ শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
| নাটক | সময় সব জানে |
|---|---|
| অভিনয়ে | তানজিম সাইয়ারা তটিনী, শাশ্বত দত্ত |
| পরিচালক | সাকিব ফাহাদ |
এই নাটকটা ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প। প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পে ৩টি নাটক নির্মিত হয়। এর মধ্যে একটি এটি। আমার কাছে নাটকটি ভালো লেগেছে। নাটকটির দৃশ্যপট অনেক সুন্দর। যেখানে একটি মেয়ে ও ছেলের কাহিনী থাকে। মেয়েটি ভাবে সে হয়তো মা হতে চলেছে। যদিও তার বিয়ে হয়নি। তখন মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড এর ফ্রেন্ড মেয়েটির পাশে এসে দাঁড়ায়। অনেক ভাবে বুঝায় সব কিছু। মেয়েটিকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত করে। এভাবে ধীরে ধীরে মেয়েটিকে ছেলেটি ভালোবেসে ফেলে। যদিও তখন আর আগের ছেলেটির সাথে মেয়েটির সম্পর্ক ছিলোনা। যদিও মেয়েটি সমাজ এর ভয়ে রাজি হতে চায়না। শেষের দিকে প্রমান হয় যে মেয়েটি আদতে গর্ভবতি ছিলোনা। একটা সমস্যার কারণে এমন হয়েছে। পরে ছেলেটি বিদেশ চলে যায়। যদিও শেষের দিকে ভিডিও কল এর মাধ্যমে তাদের সব কিছু সমাধান হয়। নাটক এর শেষের এই দৃশ্যই আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে।
এখান থেকেই নাটকের শুরু। যেখানে নাটক এর নায়িকা আর নায়ক দুজনকেই দেখা যায়। যেখানে নায়িকা ফোনে কথা বলতেছিলো আর নায়ক একটু ডিস্টার্ব করছিলো। এতে ইরা একটু রেগে যায়। তখন রাহাত তার নিজের কল রেখে দেয়। এখান থেকেই পরবর্তী ঘটনার শুরু। এরা সব এক ফ্রেন্ড সার্কেল
এই সেই দৃশ্য যেখানে ইরা বমি করা শুরু করে। তখন সে বিষয়টা রাহাত খেয়াল করে। আর সাথে সাথেই ইরার কাছে ছুটে যায়। ইরার বয়ফ্রেন্ড আদিল অবশ্য ব্যস্ত ছিলো ফেসবুক লাইভে। রাহাত তখন ইরাকে সাথে করে ওয়াশ রুম এ নিয়ে যায়। সেখানে ইরা ফ্রেশ হয়। তারপর রাহাত এসে আদিল কে জানায়। আদিল তারাহুরো করে ছুটে যায় ইরার কাছে। পরের দিন ইরাকে দেখা যায় তার এপ বান্ধবিকে কল দিয়ে কান্না করে জানাতে যে সে মনে হয় মা হতে চলেছে। প্রচুর কান্নাকাটি করে আর বলে সুইসাইড করবে। কারন ইরা ইরার বাবাকে খুবই ভয় পায়।
পরের দিন ইরার বাবা হজ এর উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে যায়। ইরা তখন বাসায় একা ছিলো। আর রাহাত ছিলো আদিল এর বাসায়। রাহাত আর আদিল মিলে গেম খেলতেছিলো। তখনই ইরা আদিলকে মেসেজ দেয়। যে তার বাসায় যেতে। আদিল তো অন্য কিছু ভাবে। তখন রাহাতকে অনুরোধ করে বাসায় দিয়ে আসতে। রাহাত অবশ্য একটু ডুস্টামি করে তখন। ভাড়া যায়। আদিল সেই ভাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দিতে চাচ্ছিলো। আদিল ইরার বাসায় যেয়ে জানতে পারে ইরা গর্ভবতি। তখন আদিল একটু চিন্তিত হয়ে পরে। ও ইরাকে টাকা অফার করে বসে। ইরা খুবই কষ্ট পেয়ে আদিলকে বের করে দেয় বাসা থেকে।
বাসায় যেয়ে আদিল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পালটে ফেলে। তখন ইরা খুব কান্না করে। আর রাহাত কিছুটা অনুমান করতে পেরেছিলো আদিল এর পোস্ট দেখে। তখন রাহাত কল দেয় ইরাকে। ইরা ভাবে হয়তো আদিল রাহাত কে ম্যানেজ করার জন্য কল দিতে বলেছে। কিন্তু পরে যখন শুনে রাহাত নিজেই কল দিয়েছিলো। তখন কান্না করে। রাহাত ইরার গর্ভবতি হওয়ার বিষয়টা জানতে পারে। তখন অনেক শান্তনা দেয়। এরপর নানান টেস্ট করে। এমনকি আদিলের মায়ের কাছে চেক-আপ করে। সেখানে আদিল এর মা নিজের কোনো দোষ দেখে না। ইরাকেই দোষি বলে।
শেষে সব টেস্ট এর ফলাফল আসলে জানা যায় ইরা আসলে গর্ভবতিছিলোনা। কিছু একটা সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে। তখন ইরা খুশিতে রাহাতকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু একটু পরই ছেড়ে দেয়। তারপর যে যার মতন চলে যায়। এইদিকে রাহাত চলে যায় বিদেশে। ইরা রাহাতকে খুব মিস করা শুরু করে। তারপর লাইব্রেরিতে বসে কান্না করে। তখনই রাহাত এর ফোন। আর এই দৃশ্য সম্পর্কে কিচ্ছু বলবোনা। এটা আপনারা নিজ দায়িত্বে দেখে নিবেন। এতো ভালো লেগেছে আমার। এভাবেই নাটক এর সমাপ্তি ঘটে।
সম্পুর্ন নাটকটি দেখে আমি ১০/১০ রেটিং দিলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR








%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)

অনেক সুন্দর একটি নাটক আপনি রিভিউ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অবশ্য নাটক রিভিউগুলো পড়তে আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে আমি বাংলাদেশের অনেক নাটক দেখে থাকি মোশারফ করিমের নিলয় আহমেদের। যাই হোক খুব ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর নাটক রিভিউ এর উপস্থাপনা দেখে।
আগে অনেক নাটক দেখতাম ভাই। তবে এখন আর খুব একটা দেখা হয়না।
আপনার নাটকের রিভিউ পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।বেশ সুন্দর সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন।যেহেতু ১০ এ ১০ দিয়েছেন রেটিং ভালো ছিল এটা মানতেই হবে।সময় করে নাটকটি দেখবো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই নাটকটি খুবই ভালো ছিলো আপু।
বেশ ভালোই ছিল আপনাদের নাটকের রিভিউ পোস্ট। সময় সব জানে নাটকের নাম যেমন ছিল নাটকটি ও ঠিক তেমনি ছিল। বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে এমনিতে ভীষণ ভালো লাগে যদিও সময়ের কারণে দেখা হয় না। ভাবছি এই নাটকটি সময় পেলে দেখে নেব কারণ আপনার রিভিউ পোষ্টের মাধ্যমে পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। পুরো নাটকের রিভিউ খুবই সুন্দরভাবে লিখেছেন।
এই ধরনের নাটক গুলো বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
বাহ ভাই দারুন একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। আসলে ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের অনেকগুলো নাটক দেখেছিলাম তবে এটি এখনো দেখা হয়নি।আর খুব শীঘ্রই দেখে নেব ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকারভাবে রিভিউ করার জন্য।
আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি খুব চমৎকার। তবে এর আগে নাটকটি দেখা হয়নি এবং আপনার রিভিউ দেখে কিন্তু ইচ্ছে পোষণ করছি নাটকটি দেখার। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদায়।
এই নাটকের ক্যারেক্টারগুলো আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে যদিও এই অভিনেতা অভিনেত্রীর নাটক আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। নাটকের মূল বিষয়বস্তু উপরে বুঝলাম নাটকটি অনেকটাই শিক্ষণীয় আসলে শিক্ষনীয় নাটক আমাদের সকলের দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ এত চমৎকার ভাবে রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।