ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি || পর্ব-২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। তবে এই গরমে কতটা ভালো থাকা যায় আপনারাই বলুন। বৃষ্টি হয় যদিও। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ার নাম নেই। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
প্রথম পর্বের পর থেকে শুরু করলাম। তো আমি লাইনে দাড়িয়ে অনেক্ষন ধরেই অপেক্ষা করতেছিলাম। এইদিকে তো আমার পেছনেও বিশাল লাইন লেগে গেলো। মানে বাকি যারা টোকেন পেয়েছে তারা আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে আরকি। অনেক্ষন পর সেই লোকের দেখা। তিনি আমার কাছে এসে আমার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কার্ড আর সাথে একটা টোকেন নাম্বার দিলো। সেটার সিরিয়াল ছিলো ৯৪ নম্বর। তো আমার পেছনের কয়েকজনকে দেখলাম যে আমার থেকে কম সিরিয়াল তাই তাদের আমার আগে দিলাম। আর আমি কয়েকজন এর পেছনে গেলাম আরকি। যেহেতু সিরিয়াল ওভাবেই হয়েছে। তো এবার আমার এই লাইন ধরে অপেক্ষা করার পালা। একটু একটু করে এগোচ্ছে এই লাইন। সরকারি কাজ একটু তো দেড়ি হবে। তবুও অত বেশি সময় লাগছিলোনা। এক এক বারে ৫ জন করে ভেতরে নিচ্ছিলো সিরিয়াল দেখে দেখে। বাইরে থেকে আমি ট্রাফিক সাইন গুলো দেখছিলাম। যেহেতু এ সম্পর্কে আমার একটুও ধারনা নেই। তো আমি ভিতরে গেলাম। ভেতরে আবার আমার আগের ৫ জন ছিলো। মোট ১০ জন এর বসার যায়গা ছিলো। সিরিয়ালে ভেতরে যায়। যাদের টি শার্ট পড়া ছিলো অথবা সাদা শার্ট পড়া ছিলো তাদের আলাদা ব্লেজার দিচ্ছিলো যেনো ছবি ভালো আসে। বলতে ভুলে গিয়েছি যে এখন ফিঙ্গার প্রিন্ট আর ছবি একদিনেই তুলে ফেলে। আগে যেখানে বিআরটিএ তে ৪ বার যাওয়া লাগতো। এখন শুধুমাত্র একবার যাওয়া লাগে। এর জন্য সরকার কে অবশ্যই ধন্যবাদ।
যাক আমি গিয়ে প্রথমে সাইন করলাম ডিজিটাল কলম দিয়ে। তারপর আমার ছবি তুললো। শেষে আমার ফিঙ্গার নিলো ১০ আঙ্গুল এর। এরপর কিছু সীল মেরে বললো বাইরে বর খাতায় এন্ট্রি করে লিখিত পরীক্ষার জন্য যাইতে। তো আমি বাইরে এন্ট্রি করে চলে গেলাম লিখিত পরীক্ষা যেখানে হবে সেখানে। সেখানে গিয়ে আমার সেই আংকেল কে কল দিলাম। উনি বললেন পরীক্ষায় বসতে। আমি সোজা পরীক্ষা দেওয়ার রুম এ চলে গেলাম। ভাগ্য ভালো প্রথম ব্যাচ এই বসতে পেরেছিলাম। আর একটু দেড়ি হলেই আর বসা যেতোনা এই ব্যাচ এ। যাক পরীক্ষা দিলাম। প্রশ্ন অনেক সহজই ছিলো। যেহেতু আমি মেকানিক্যাল নিয়ে পড়েছি তাই আমার জন্য প্রশ্ন গুলো ছিলো পানিভাত। পরীক্ষা দিয়ে প্রশ্ন সহ লার্নার কার্ড জমা দিলাম। এবার বললো ২ ঘন্টা পর এই পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে ভাইবা নিবে। তবে আমার বেশিক্ষন অপেক্ষা করা লাগলোনা। আমার আংকেল কিছুক্ষন এর মধ্যেই আমার লার্নার কার্ড এনে দিলেন। সেটায় দেখলাম লিখিত পরীক্ষায় আমি পাশ করেছি।
এবার ভাইবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষন আমি সহ আরো দুইজন এর আলাদা ভাইবার ব্যবস্থা করা হলো। আমাকে দুইটি রোড সাইন জিজ্ঞেস করেছিলো। আমি দুইটাই পেরেছি। একটি হলো পথচারী পারাপার আর অন্যটি হলো ইউটার্ন নিষিদ্ধ। এবার আমাকে ভাইবা তে পাশ দিয়ে দিলো। এবার হচ্ছে ড্রাইভিং টেস্ট । অর্থাৎ আমাকে গাড়ি চালিয়ে এল শেপ এ পার্কিং করতে হবে। এখানেই হলো সমস্যা। আমি তো গাড়ি চালাতে পারিনা। আমি পারি বাইক চালাতে। কি আর করা আমরা ৩ জন এক এক করে বসলাম। ৩ জন এর কেউ পারলাম না। তবে অবাক হলাম তারা কিছুই বললোনা। বললো যান আপনারা পাশ। পরে মনে পরলো। আমার তো সাধু ধরা আছে। তিনি ব্যবস্থা করেছে হয়তো। কারণ তখনো কারো লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও দেয়নি। অথচ আমার ভাইবা আর ড্রাইভিং টেস্ট ও শেষ। এরপর আমার আংকেল বললেন আমার সব কাজ শেষ চলে যাইতে। তাই আমি চলে আসি। এর পরদিন বিকেল বেলায় আমি পুরো পরীক্ষায় পাশ করেছি সে ফলাফল পাই। কি যে খুশি লাগে আমার।
আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে অন্য এক পোস্ট এ। ততদিন ভালো থাকবেন আপনারা।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই বিষয়টা সম্পর্কে আমি বেশি একটা অবগত নই তবে আপনার এই পোষ্টের মধ্য থেকে বেশ ধারণা অর্জন করতে পারলাম। ভালো লাগলো খুব সুন্দর ভাবে ড্রাইভিং এর এ বিষয়টা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
হুম এপ্লাই করাটা অনেক সহজ৷ চাইলে আপনিও করে ফেলতে পারেন।