আমার ইন্টার্ভিউ এর অভিজ্ঞতা || পর্ব- ১
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে ইন্টার্ভিউ দেওয়ার অভিজ্ঞতা। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
কিছু দিন আগে আমি একটা চাকরী বিজ্ঞপ্তি সাইট থেকে YKK নামক একটি কোম্পানি তে এপ্লাই করেছিলাম ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার পোস্ট এ। এই কোম্পানিতে এর আগেও কয়েকবার এপ্লাই করেছিলাম কিন্তু ফ্রেশার হওয়ার কারণে ডাক পাইনি৷ যাক সেদিন মেইল চেক করে দেখি লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলেছে। যেটা এই বৃহস্পতিবার ছিলো। YKK কোম্পানিটা অনেক বড় একটি জিপার ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি। আমি বর্তমানে ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টার এ স্পেয়ার পার্টস ইনচার্জ হিসেবে আছি। কিন্তু আমার খুব ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্ট আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর এ কাজ করার। তাই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম। কারণ লিখিত ও ভাইবা সব ইংরেজিতে হবে৷ যেহেতু আমি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলায় করেছি তাই আমি এখান একটু দুর্বলই বলা চলে৷ তবে ব্যাপার না আমি পারবোই৷ পারতেই হবে আমার। কোম্পানি সম্পর্কে খোজ নিলাম। আর নিজের সুন্দর একটা ইন্ট্রো বানালাম ইংরেজি তে৷
বুধবার থেকেই ডিপার্টমেন্ট এর কিছু প্রশ্ন ইংরেজিতে দেখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু অফিস এ আবার তেমন সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম যতটা পারা যায়। ভেবেছি বাসায় যেয়ে দেখবো। কিন্তু সেদিন আবার ছিলো আমাদের মান্থলি মিটিং৷ যেটাতে আমার থাকা লাগবেই। কি আর করা৷ এই মান্থলি মিটিং শেষ হতে হতে রাত ১১ টার মত বেজে গেলো৷ দ্রুতো মিটিং শেষে বাসে উঠে গেলাম। এবার আমার চুল দাড়ি সাইজ করতে হবে। কিন্তু ভাবছিলাম এতো রাতে আদো খোলা থাকবে কিনা। তাই আমার এলাকার একজন কে ফোন দিলাম৷ তিনি বললেন দোকান বন্ধ করে ফেলেছে। যাক বাস থেকে নেমে হেটে যাচ্ছিলাম। যদি অন্য দোকান পাই। পাইলে করাবো না পাইলে বাদ৷ ভাগ্য ভালো এলাকায় ঢোকার পথে একটা দোকান পেলাম। সেখানে একজন বললো আজ পারবেনা আর৷ ঠিক তখনই আরেকজন বললো আসুন করে দিচ্ছি। তখন চুল কাটালাম আর ক্লিন শেভ করলাম। যেহেতু জাপানি কোম্পানি৷ ক্লিন শেভ করাই ভালো মনে হলো৷ যদিও ক্লিন শেভ করলে আমাকে বাজে দেখা যায়।
চুল কাটানো শেষে বাসায় চলে গেলাম। এরপর গোসল করে ফ্রেশ হলাম। এবার বই খাতা নিয়ে বসলাম। অনেক পড়তে হবে আমার। শুরুর দিকে ইন্টারনেট ও বই এর সাহায্যে আমার ডিপার্টমেন্ট এর অনেক প্রশ্ন দেখে নিলাম যাদের মধ্যে ছিলো - মেশিন টুলস, ওয়েল্ডিং, হাইড্রোলিক, থার্মোডায়নামিক, ইঞ্জিন ডিটেইলস সহ অনেক গুলো টপিক৷ সেগুলো শেষ করে এবার YKK কোম্পানি সম্পর্কে একটু ভালো ভাবে জানার চেষ্টা করলাম। আমার ধারনা এ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। এরপর ঘুম দিলাম। বাকি সব ২য় পর্বে জানাবো।
আজ এই পর্যন্তই। বাকি কথা পরের পর্বে শেয়ার করবো। নাইলে এই পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কখুনো ইন্টারভিউ দেইনি ভয়ে যায়নি এবার ভেবেছি যাব।একটা অভিজ্ঞতা হবে জীবনে অভিজ্ঞতার দরকার আছে পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
হুম ভাই যেতে পারেন৷ প্রতিটা ইন্টারভিউতেই কোনো না কোনো অভিজ্ঞতা হবে।
রাজু ভাই, আপনি শুরুর দিকে একটু চেক করবেন কাইন্ডলি। প্রথম দিকে লিখেছেন যে আজকের পোষ্ট এ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। কিন্তু আসলে তো সেরকম না...
জ্বি আপু একটু ভুল হয়েছিলো। পোস্ট এর সাজানোটা আরেক পোস্ট থেকে নেওয়া। তাই শুরুর দিকের লেখা গুলো পাল্টাতে মনে ছিলোনা। ধন্যবাদ আপু। ঠিক করে নিয়েছি এখন।
আপনার এই লাইনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম শক্ত মনোবল থাকলে আজ না পারলেও একদিন না একদিন অবশ্যই সফল হতে পারবেন। যাক ভাগ্য ভালো যে অনেক রাতে সেলুন খোলা পেয়েও অন্য লোকটি আপনার চুল দাড়ি কেটে দিয়েছে। তা না হলে তো দেবদাস হয়ে ইন্টারভিউতে যেতে হতো পরবর্তীতে কি হয়েছিল জানার অপেক্ষায় রইলাম।
জ্বি আপু৷ চাকরী হবে কি হবেনা সেটা আল্লাহর কাছে৷ তবে আমি সবটা দিয়ে চেষ্টা করি সব সময়৷
আপনার মনোবল দেখে খুব ভালো লাগলো। যাক তাও ভালো অনেক রাত হওয়া সত্ত্বেও চুল কাটাতে পেরেছেন। ইন্টারভিউ এর অভিজ্ঞতার পরবর্তী কি হয়েছিল সেটা জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে রইলাম। ভাইয়া শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জ্বি আপু। ভাগ্য ভালোছিলো তাই সেলুন খোলা পেয়েছিলাম।
ভাইয়া ভালো কোম্পানি হলে মন থেকে চায় ওই কোম্পানিতে কাজ করতে। যদি আপনি অন্য একটি কোম্পানিতে বর্তমানে কাজ করছেন। আপনি YKK নামক একটি কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্টে কাজ করার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। যাই হোক কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আপনি চুল দাড়ি সব কেটে ফেলেছেন। আসলে ভাইয়া মনোবল থাকলে সব কিছু সম্ভব। যাইহোক দ্বিতীয় পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষা রইলাম। এখনো ইন্টারভিউ থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম না।
খুব আগ্রহ ছিলো এই কোম্পানিতে জয়েন দেওয়ার৷ যদিও সুযোগ হয়নি। তবে আশা ছাড়িনি আমি।
আপনি নতুন চাকরির ইন্টারভিউ দিবেন কথা শুনে সত্যি ভালো লাগলো। আসলে সবার চাই ভালো একটি চাকরি।YKK নামক একটি কোম্পানি তে আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্ট এর জন্য আবেদন করেছেন। তবে ভাইয়া কোন একটি কোম্পানিতে যদি যাওয়ার আগে একটু সুন্দর এবং স্মার্ট হয়ে গেলে ভালো হয়। এই কারণে আপনি চুল দাড়ি খুব সুন্দর করে কেটে নিলেন। জেনো ভাইয়া আপনার মনের আশা পূর্ণ করে। তবে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম। আশা করি ভালো কিছু শুনতে পারবো।
জ্বি আপু। ইন্টারভিউ থাকলেই চেষ্টা করি যতটা সম্ভব ফরমাল ভাবে যাওয়ার৷
ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় প্রায় সকলেরই একটু শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন হওয়া দরকার পড়ে। ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে আমাদের অনেকেরই অনেক রকম চিন্তা-ভাবনা মাথার ভিতরে ঘুরপাক খায় তবে আমি মনে করি কোনরকম চিন্তাভাবনা না করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে এবং যে কোম্পানিতে ভাইবা দিতে যাওয়ার কথা সে সম্পর্কে একটু জ্ঞান থাকাটা অবশ্যই জরুরী। আপনিও দেখছি সেটাই করেছেন ডিপার্টমেন্টাল সম্পর্কে কিছু বই পড়েছেন এবং কোম্পানি সম্পর্কেও ধারণা নিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ভাইবাতে কেমন প্রশ্ন করা হয়েছিল সে বিষয়েও জানতে চাই।
ঠিক বলেছেন ভাই। চিন্তা ভাবনা না করতে চাইলেও এসে যায় ভাই।