ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি || পর্ব-১
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। তবে এই গরমে কতটা ভালো থাকা যায় আপনারাই বলুন। বৃষ্টি হয় যদিও। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ার নাম নেই। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
যেহেতু আমার বাইক কেনার অনেক সখ। তাই বহু আগের থেকেই প্ল্যান করতেছিলাম যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে ফেলবো। তবে টাকা হয়ে উঠছিলোনা। যেহেতু চাকরীতে বাইক সেক্টরে ঢুকেছি তাই আবার সে প্ল্যান টা মাথায় এসে গিয়েছিলো। চাকরী থেকে ৬ মাসে যে টাকা জমালাম একটু একটু করে তা দিয়েই লাইসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবো ভাবলাম। তাই আমাদের এখানে বিআরটিএ তে যে যায় তার সাথে যোগাযোগ করলাম। তিনি বললেন সব ব্যবস্থা করে দিবেন। টাকা লাগবে ৯৫০০। কি আর করা আগে যখন সুযোগ ছিলো ৬০০০ টাকা দিয়ে করার তখন করিনি। এখন বেশি দিয়ে হলেও করতে হবে। আদতে এতো টাকা লাগেনা। লার্নার লাইসেন্স করতে লাগে ৮০০ আর বাকি সব ফি মিলিয়ে দিতে হয় ৪৬০০ টাকার মতন। আর বাকি টাকা তাহলে কই যাবে? সেগুলো বিআরটিএ তে কিছু সাধু বাবা থাকে তাদের দিতে হবে 🤣🤣🤣। যাক ১০০০ টাকা দিলাম আমার সেই ভাইকে। উনি লার্নার লাইসেন্স করে দিলেন অনলাইনে। আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা ছিলো সেপ্টেম্বর এর ৩ তারিখ। তবে কি পরীক্ষা দিবো আর কি আসবে এ সম্পর্কে কোনো ধারনা ছিলোনা আমার। তবে অপেক্ষা করছিলাম কবে সেপ্টেম্বর মাস আসবে। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাস তো আসতেইছিলোনা।
অবশেষে সেপ্টেম্বর এর ৩ তারিখ এর দেখা পেলাম। আগের দিন রাতেই আমার সেই ভাই এর সাথে যোগাযোগ করে নিলাম। তিনি যেখানে পরীক্ষা দিবো সেখানে ওনার এক আত্নীয় আছে। আমি সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম। ভাগ্য ভালো ছিলো পরীক্ষার স্থান ছিলো আমার বাসা থেকে কাছেই। গিয়েই আমি কল দিলাম এখানের সেই আংকেল কে। তিনি বললেন ভেতরে আসতে। তো আমি ভিতরে যেয়ে দেখলাম বিশাল লাইন। আমি লাইনে ধরে সেই আংকেল কে কল দিলাম আবার। বললাম লাইনে আছি। উনি আমাকে ঝারি মেরে বললেন আপনাকে লাইন ধরতে বলেছি? সামনে আসুন দ্রুতো। আমি লাইন থেকে বেড় হয়ে দ্রুতো চলে গেলাম সেখানে। তিনি আমার থেকে লার্নার কার্ডটা নিয়ে গেলেন। সেটা নিয়ে সামনে চলে গেলেন। আমাকে নতুন আরো এক লাইনে দাঁড়াতে বললেন।
আমি নতুন লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু এটা কিসের লাইন সেটা আমি জানিনা। তবে সবার হাতে দেখলাম ছোট ছোট টোকেন। কিন্তু ঐ লোক তো আর আসেনা। এইদিকে আমার লার্নার কার্ড তাকে দিয়ে রেখেছি। তবে ভয় নেই। লার্নার যেহেতু অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা তাই আমি এক্সট্রা আরো ২ কপি রেখেছিলাম সাথে। তাই ভয় ছিলোনা। কিন্তু ভয় যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে যদি উনি না আসে তাইলে আমার ৫০০ জন এর লাইনে দাঁড়াতে হবে। মানে ঐ টোকেন নেওয়ার জন্য। যেটা করতে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতো বলা যায়। কারণ রোদ ছিলো অনেক। এখন কয়েকদিন খেয়াল করলে দেখবেন সকাল ৮ টার দিকেও অনেক রোদ পরে। যাক অপেক্ষা করছিলাম। আমার হাতে টোকেন নাই যদিও। তবে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করারও ছিলোনা।
আজ এই পর্যন্তই। বাকি কথা পরের পর্বে শেয়ার করবো। নাইলে এই পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বর্তমান সময়ে কিছু করতে গেলে ওই যে টাকার লেনদেনটা অবশ্য করতে হয়। লেনদেন করতে হয় ঠিক আছে একটু বাড়িয়ে দিতে হয় আর কি মামাদেরকে। না হয় ভাগিনাদেরকে যত্ন একটু কম করবে বুঝেতেই তো পারছেন। আপনাকে নতুন একটি লাইনে দাঁড় করে দিল। কিন্তু এর পরে সেই আঙ্কেলের তো কোন খবর নাই। আশা করি পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো আপনার উপরে কি ঘটে গেল।
একদম। সব যায়গায় শুধু টাকা আর টাকা। এখন টাকা না দিয়েও তো পার পাওয়া যায়না। কারণ থাহলে পরীক্ষায় ইচ্ছে করে ফেইল করিয়ে দিবে।
আসলে বর্তমান সময়ে যে কোন কিছুর ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। তবে যে কোন সাধু লোকের কাছে যাওয়া হোক তাকে টাকা দিতে হয়। ৪৬০০ টাকা লাগে বাকিগুলো বড় বড় দায়িত্ববান লোকদের পকেটে যায়। তারপর অনেক পেরেশান থাকে। যাই হোক ৯৫০০ টাকা দিলেও আপনার কাজটি হলে ওটাই ভালো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম কি হয় আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর। খুব সুন্দর করে গাড়ির লাইসেন্স পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
হুম টাকা গেলেও ১ দিনে সব কাজ হয়েছে এটাই অনেক।