আমার ঈদ যেভাবে কাটলো
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতর এর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। শুরুতেই সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক। আশা করি আপনাদের সকলের ঈদ অনেক আনন্দে কাটছে। আমি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঈদ পার করে দিলাম আজ। কি আর করবো বলুন। যে গরম পরতেছে আজ আবারো। কাল একটু ঠান্ডা আবহাওয়া দেখে ভেবেছিলাম যে না একটু শান্তি তাহলে পেলাম। এবার ভাই গরম থেকে বাঁচা যাবে। কিন্তু একদিন পরই অবস্থা খারাপ। সত্যি আজ আবার অতিরিক্ত গরম পরতেছে। আমি যে পরিমানে ঘামাই তাই এখনো বের হতে পারলাম না। যাই হোক চলুন শুরু থেকে শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমার বাংলা ব্লগ এ আসার পর এটি আমার ২য় ঈদুল ফিতর ছিলো। এর আগেরবার ও আমার বাংলা ব্লগ এর সাথেই ছিলাম। এবারো আমার বাংলা ব্লগ এর সাথেই আছি। কিভাবে যেনো দিন গুলো শেষ হয়ে যায়। বুঝাও যায়না কই থেকে কি হলো। আজকের দিনটিও আমার দারুণ ভাবেই কেটেছে। ভেবেছিলাম অনেক আগেই পোস্ট করবো। তবে মাঝে দিয়ে স্টিমিট এর সার্ভার ডাউন থাকার কারণে ঢুকতেই পারিনি। তাই ভাবলাম পরে করবো। পরে তো বিকালে ঘুরতে চলে গেলাম। অবশ্য এ নিয়ে লিখবো কাল। আজ সকালের অনুভূতি গুল শেয়ার করি। সকালে ঘুম থেকে উঠি ভোর ৫ টা ৩০ এর পর। আমি উঠিনি যদিও । আব্বু ডেকে তোলে ফযর এর নামাজ পরার জন্য। নামাজ পরে ফেলি আমি উঠে। এরপর আব্বু বলে গোসল করে প্রস্তুত হতে নামাজ এর জন্য। কারণ নামাজ সকাল ৭ টার দিকে। অর্থাৎ ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সকাল ৭ টায়। আর দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮ টায়। আগে আব্বু আর ছোট ভাই গোসল করে আসে। এরপর আমি যাই। আমি গোসল করে এসে প্রিয় মানুষের দেওয়া পাঞ্জাবি আর পায়জামা পরে নিলাম। সাথে আতর মেরে প্রস্তুতি নিলাম নামাজের। আব্বু ভাবলো দেড়ি হয়ে গেছে। তো ঠিক করলো ২য় জামাত ধরবে। তখন আমরা বাসায় সেমাই পায়েস খেলাম। আম্মু দারুণ স্বাদের পায়েস রেধে ছিলো।
এরপর মসজিদ এর দিকে চলে যাই। গিয়েই দেখি আগের জামাত এর মোনাজাত চলতেছে। আমরা বাইড়ে দাড়ালাম কিছুক্ষন। এরপর মোনাজাত শেষে আগের জামাত এর মানুষজন বের হচ্ছিলো। তখন আমরা ২য় জামাত এর লোকজন ধিরে ধিরে ভেতরের দিকে আগাচ্ছিলাম। যদিও খুব চাপাচাপি হচ্ছিলো। তবুও আগে ঢুকার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। কারণ এবার জামাত ছুটলে আর নামাজই পরতে পারবোনা। ভাগ্য ভালো তাই ঢুকে নিচতলায়ই যায়গা পেয়ে গেছিলাম। এসি চলছিলো একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। সব মিলিয়ে দারুণ লাগছিলো। শুরুতেই হুজুর বয়ান করলো। মনোযোগ সহকারে সব শুনলাম। এরপর শুরু হলো নামাজ। ১ বছর পর পর ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ায় আমাদের অনেকেরই ভুল হয়। তাই এবার আমি বাসা থেকে যাওয়ার আগে ভিডিও দেখে নিয়েছিলাম। যদিও হুজুর ও নামাজ এর আগে বুঝিয়ে দিয়েছিলো সব। তখন ভিডিওর সাথে একবার মিলিয়ে নিলাম। যাক এবার আর আমার ভুল হবেনা। তবুও সাবধান ছিলাম। তো যথারিতি নামাজ শেষ হলো। এরপর হুজুর খুৎবা দিলো ২টি। সেগুলো শুনলাম। কারণ খুৎবা শুনা ওয়াজিব। এরপর মোনাজাত এর মাধ্যমে নামাজ শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে গিফট পাওয়া ওয়ালেট এ টাকা ঢুকালাম। আব্বু আম্মুকে ২০০০ টাকা সালামি দিলাম। আর আমার ছোট ভাইকে ৫০০ টাকা। তারপর চলে গেলাম বন্ধুর বাসায়। কারণ ও ফোন দিয়েছিলো। সেখানে যাই @sajjadsohan সহ। সেখানে যেয়ে সেমাই খাই। খবই মজার সেমাই ছিলো। এরপর বাসায় চলে আসি। এসে একটু জিরোতে থাকি। ক্লান্ত লাগছিলো খুব। এরপর আমার আরেক বন্ধু রাতুল আসে আমাদের বাসায়। ও আসার পর নইম কে কল দেয়। তখন আমরা এক সাথে গল্প করি নইম আসার পর। তো হঠাৎ রাতুল বলে চল বাইরে যাই। আমি বললাম তাইলে আমার ক্যামেরা নামাই। ছবি তোলা যাবে অনেক। যেই কথা সেই কাজ। ক্যামেরা বার করে ব্যাটারি চার্জ করলাম। এরপর চলে গেলাম বাইরে। বাসার সামনেই অনেক গুলো ছবি তুললাম। সবাই মিলে। এরপর বাসায় এসে লাঞ্চ করে দিলাম এক ঘুম। বিকেল থেকে রাতের কাহিনী কাল শেয়ার করবো। আজ আর লেখার শক্তি নাই। খুব ক্লান্ত আমি। ভালো থাকবেন সবাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR








%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)

ঈদ মোবারক ভাই।
যতটুকু বুঝতে পারলাম আপনার ঈদ বেশ ভালো কেটেছে তবে অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে সবার একটু কষ্ট করতে হয়েছে তবে ঈদের এই খুশির কাছে এই সামান্য কষ্ট যেন কিছুই নয়। তবে আপনাদের ওখানে যেহেতু সকাল সাতটায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাহলে আর গরমের প্রভাবটাও অতটা বেশি বুঝতে পারেননি।
হ্যা ভাই এবার গরমে বেশ কষ্ট পেতে হয়েছিলো।
আপনাকে প্রথমে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ভাই ঈদ মোবারক। আসলে একটু গরম পড়ার কারণে ঈদ সবার কাছে একটু বিরক্তকর মনে হয়েছে। যাই হোক আপনার ঈদের দিন কাটানোর বিষয়ে পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঈদ এর দিন একটু বৃষ্টি হলে খুব ভালো লাগতো।
ঈদ মোবারক ভাইয়া! পরিবারের সবাইকে একত্রে দেখে অনেক ভালো লাগছে। আসলেই গরমের দিনে বের হওয়ার কোন সুযোগ নাই অনেক গরম জীবন একদম অস্থির করে ফেলছে। তারপরও ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা করতে হবে। অনেক সময় ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন অনেক ধন্যবাদ।
হুম এ জন্যই ঈদের পুরো সময় বাসায় ছিলাম।
আপনাকেও ঈদুল ফিতরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
খুবই ভালো এই মুহূর্ত কেটেছে আপনার ঈদের দিনে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে এবং দেখে বুঝতে পারছি। বন্ধুরা মিলে খুবই ভালোই আড্ডা দিয়েছিলেন আপনারা নামাজ আদায় করার পরে। এরপর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কি সময় কাটিয়েছেন ওইটা কালকের পোস্টে শেয়ার করবেন জেনে খুশি হলাম। অপেক্ষায় থাকলাম সেই পোস্টটি পড়ার জন্য। আজকের পোস্টটা ভালোই লেগেছে।
হুম আপু। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব মজা লাগে আমার কাছে।
আপনাকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আপনার ঈদের দিনে কাটানো অনুভূতি পড়ে ভাল লেগেছে। আপনার সাথে আমার অনেক কিছুই মিলে গিয়েছে। আমিও শেয়ার করব আমার অনুভূতি । আপনাদের তোলা ছবিগুলো দেখে ভাল লাগল। Sajjadsohan ভাইকে দেখে আরো ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম আমরা বেশিরভাগ সময় এক সাথেই ঘুরতে যাই।
আপনি তো দেখছি সকাল সকাল উঠে গোসল করে প্রিয় মানুষের দেওয়া পাঞ্জাবি এবং পায়জামা পড়ে নিয়ে আপনার আম্মুর হাতের রান্না স্বাদের পায়েস খেয়েছিলেন। প্রথম জামাতে না যেতে পারলেও আপনারা দ্বিতীয় জামাতে গিয়েছিলেন নামাজ পড়ার জন্য। এরপর নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসে আপনার আব্বু আম্মুকে ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন এবং আপনার ছোট ভাইকে 0
৫০০ টাকা দিয়েছিলেন সব মিলিয়ে সম্পূর্ণটা ভালোই কেটেছে আপনার ঈদের দিন। আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
যাক আপনি পড়েছেন তাইলে। আমি ভাবলাম প্রিয় মানুষ লিখলাম তাও কেউ পড়লোনা। এটা তো আগে পড়ার কথা।
হুম দেখলাম সেই লেভেলের ফটোগ্রাফি হয়েছে, আমি তো জুবায়েরের পাশে থেকে আসার পর এক ঘুমে সারাদিন পার করে দিয়েছি।
ঘুমেই ভালো। কারণ যে পরিমান রোদ ছিলো।