প্রয়োজনীয় পাওয়ার ব্যাংক কেনার এক গল্প
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। তবে যদিও ভালো থাকা নির্ভর করে পারিপার্শিক বিষয় গুলোর উপর। তবে যতটা ভালো থাকা যায় সে চেষ্টাই করে যেতে হয়। সব কিছু মানিয়ে নেওয়ার দারুণ এক যুদ্ধে মেতেছি আমি। সময়ের মূল্য খুব ভালোই অনুভূত হচ্ছে। সময় এর বড়ই অভাব এখন আমার। আমার বাংলা ব্লগ এ একদমই সময় দিতে পারছিনা। আসলে অফিস ভার্সিটি মিলিয়ে সময় বের করা আমার জন্য খুবই কঠিন এক কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার পাওয়ার ব্যাংক কেনার এক মজার গল্প।
শেষবার আমার পাওয়ার ব্যাংক চুরি হয়েছিলো ২০২২ সালে। শাওমী ব্র্যান্ড এর একটি পাওয়ার ব্যাংক ছিলো সেটি। তবে ওই যে একবার আমার বাসায় চুরি হয়েছিলো, তখন আমার ভার্সিটির ব্যাগটিও চুরি হয়ে গিয়েছিলো যার ভেতর ছিলো আমার পাওয়ার ব্যাংক। এরপর আর পাওয়ার ব্যাংক কিনি নাই। দরকার ছিলোনা একদমই। আমার ফোনের বয়স প্রায় ৪ বছর হতে চললো। সেই যে কিনেছি এরপর আর কোনো সার্ভিসিং করাতে হয়নি। একদম ফুল ফ্রেশ কন্ডিশনে এখনো চলছে। তবে এখন ব্যাটারি ব্যাকাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে। এটি অবশ্য আমার দোষেই হয়েছে। এক সময় অনেক অনেক পাবজি মোবাইল খেলা হতো এই ফোন দিয়ে। এমন ও দিন গিয়েছে আমি প্রায় ১০-১২ ঘন্টা পাবজি মোবাইল খেলেছি। তাই ফোন অনেক ঘন ঘন চার্জ করা হতো। আর এমনিতেও এখন ফোনের বয়স অনেক হয়ে যাওয়াতে ব্যাটারি ব্যাকাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে ফাস্ট চার্জিং হওয়াতে সমস্যা হতোনা। ব্যাটারি পরিবর্তন করার সময় হয়ে গিয়েছে বহু আগেই। তবে ব্যাটারি পাল্টাতে ফোনের ব্যাকশেল খোলা হবে তাই আমি ব্যাটারি পরিবর্তন করতে চাইনি। কারন আমি চাইনা আমার এই সখের ফোনের ব্যাপ পার্ট খোলা হোক। যে ফোন আমি এই ৪ বছরে একবারো হাত থেকে পরতে দেইনি সে ফোনের ব্যাক পার্ট খোলা হবে এটা কিভাবে মানবো আমি।
ইদানিং ব্যাটারি ব্যাকাপটা আরো কমে গিয়েছে। দিনে ২-৩ বার এর বেশি চার্জ দিতে হয়। যা আমার জন্য প্যারাদায়ক। দেখা গেলো বাইক নিয়ে কোথাও গিয়েছি শেষে আমার ফোন বন্ধ । তাই বুদ্ধি বের করলাম কি করা যায়। অনেক পরিকল্পনা করে চিন্তা করলাম যে ব্যাটারি না পালটিয়ে ঐ টাকা দিয়ে আমি একটা পাওয়ার ব্যাংক কিনে ফেলি। যেটি দিয়ে আমি কাজ চালাতে পারবো। আপাদত ব্যাগ এ রাখবো। তো সেদিন আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষার দিন এমনিতেই আমি লেট ছিলাম। তো প্রথম পরীক্ষা দিয়ে হাতে সময় ছিলো ৪ ঘন্টার মতন। তাই আমরা চলে গেলাম বসুন্ধারা সিটিতে। অবশ্য তখন আমি যে পাওয়ার ব্যাংক কিনবো সেটা ঠিক করিনি। এক বন্ধু তার আই ফোন এর জন্য ব্যাক কভার কিনবে তাই গিয়েছিলাম। তো ওর ব্যাক কাভার কেনার পর ওদের জানালাম আমার একটা পাওয়ার ব্যাংক লাগবে। তো আমার বাজেট ছিলো ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এই দামে ভালো পাচ্ছিলাম না। অনেক খুজতে খুজতে পেলাম বাসুস এর একটা পাওয়ার ব্যাংক। কিন্তু সেটার দাম ২৫০০ টাকার মতন।
এক দোকান দার তো আমাদের সেটা অন্য এক যায়গা থেকে এনেও দিলেন। কিন্তু দাম এ বনাবনি হলোনা। অন্য একটা আমি ২৬০০ টাকা পর্যন্ত বলেছিলাম কিন্তু রাজি হয়নি। তাই অন্য দোকানে যাই। তো অন্য দোকানে যাওয়ার পর অন্য আরেকটা পাই যেটা ২০০০০ এমএইচ সাথে ২২.৫ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই দিতে পারে। মানে ফোন একটু দ্রুতো চার্জ হবে। যদিও আমার ফোন ৩০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড। যাক ঐ পাওয়ার ব্যাংক এর সাথে ক্যাবল নাই। তখন ক্যাবল সহ দাম ঠিক হলো ২৬৫০ টাকা। সেটাই নিয়ে নিলাম। এরপর জুম্মার নামাজ ধরতে মসজিদ এ চলে যাই। মজার কথা হচ্ছে আমার কাছে টাকা ছিলো ১৩০০। পরে অন্য এক বন্ধুর থেকে ধার নিয়ে বিল চুকিয়ে ছিলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ভাইয়া পাওয়ার ব্যাংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস আমাদের। আর ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে গেলে পাওয়ার ব্যাংক টা তো লাগবেই। বিশেষ করে আমরা যদি কখনো কোথাও ট্যুরে যায় এটার গুরুত্ব তখন বোঝা যায়। ভালো একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনেছেন দেখছি।
আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে গিয়েছে আর আগের পাওয়ার ব্যাংক কেউ হারিয়ে গেছে সেজন্য আপনি নতুন একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনেছেন এটা বেশ ভালো ব্যাপার। আশা করি আপনার পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ টেকসই হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গেম খেললে আসলে ভাই ফোনের ব্যাটারিতে এ ধরনের সমস্যা হয়। যদিও আমি গেম খেলি না। আর এখনকার যে মোবাইলগুলো বেরিয়েছে তাতে প্রচুর ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়। যাইহোক, আপনার নতুন পাওয়ার ব্যাংক এর দাম ক্যাবল সহ ২৬৫০ টাকা নিয়েছে, যেটা আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে। হয়তো আপনাদের ওখানে ঐরকমই দাম। তবে পাওয়ার ব্যাংক কেনার মাধ্যমে আপনার মোবাইল বারবার চার্জ দেওয়ার ওই সমস্যাটা থেকে মুক্তি পাবেন, এটাই বড় ব্যাপার।