বাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। জানি এই তীব্র গরমে কেউ তেমন ভালো নেই। তবু সবার ভালো থাকার চেষ্টা করতে হয়। আসলে আমাদের জীবনটাই যেনো এমন। তীব্র এই গরমে সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে। গরমের মাঝে আমার ডিউটি করতে খুবই অবস্থা খারাপ। আমার সেকশন এ এসি নাই। তাই মনে হয় সারাদিন যেনো আগুন এর ভিতর থাকি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিছু দিন আগে বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার এক ঘটনা। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
এটা বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা বলা চলে। সেই ফেব্রুয়ারির দিকের ঘটনা। তখনো এতোটা গরম পরেনি। এতো গরম বলতে গরমই পরেনি। আমার অফিস বন্ধ ছিলো। এমনি তো বাসায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছিলাম। বাসায় বসে বসে আর কি ই বা করা যায়। হঠাৎ আমার বন্ধু শুভোর কল। বললো চল কোথাও বের হই। আমি জিজ্ঞাস করলাম কোথায় যাওয়া যায়। ও বললো পুর্বাচল এর ঐদিক যাওয়ার। ঐদিকটায় বিকেলে ভালোই লাগে। ঠান্ডা বাতাস রয়েছে। বললো সাথে আমাদের আরেক বন্ধু সজিব যাবে। সজিব হচ্ছে আমাদের স্কুল এর বন্ধু। তবে ওর সাথে এতোটা বন্ডিং ছিলোনা স্কুল লাইফে। তবে এখন প্রায়ই আড্ডা দেওয়া হয়। এমন অনেক বন্ধুই আমাদের রয়েছে যাদের সাথে হয়তো স্কুল লাইফে আমরা অতটা ক্লোজ ছিলাম না । কিন্তু স্কুল লাইফ পার করার পর ওদের সাথেই ঘনিষ্ঠতা অনেক বৃদ্ধি পায়। শুভ ফোনে ওর নাম বলার পর কিন্তু ওরে আমি প্রথমে চিনি নাই। চিনেছি পরে। অর্থাৎ সামনা সামনি দেখার পর চিনেছি। শুভর সাথে ঠিক করলাম আমরা ঠিক বিকেল ৪ টার পর রওনা হবো। ঠিক ৪ টার দিকে শুভোর কল। বললো এখনই বের হতে। যদিও আমি তখনো প্রস্তুত হইনি। অফিস না থাকায় দুপুরে ঘুমানো হয় একটু।
ঠিক ৪ টা ২০ এ আমি রেডি হয়ে চলে যাই শুভর বাসার সামনে। ও আমার জন্য আগেই অপেক্ষা করছিলো সেখানে। তখনো আমাদের আরেক বন্ধু সজিব পৌছায় নি। তখন আমি আর শুভো মিলে পানির পাম্প এর ঐদিক চলে গেলাম। সেখানে বাইক রেখে একটা টং এর দোকান থেকে চা খেলাম। কিছুক্ষন এর মধ্যেই সজিব চলে আসলো। তখন ওরে আমি চিনেছি। মানে চেহারা দেখার পর চিনেছি। এরপর রওনা দিলাম । শুরুতে সজিব বসলো শুভোর বাইকে। আমি একাই বাইক চালালাম। এরপর আমরা ৩০০ ফিট রোড এ উঠলাম। মেইন রোডে উঠার আগে আমি হেলমেট পরে ফেললাম। এরপর আবার রাইডিং শুরু। কোথায় যাবো জানিনা। শুধু জানি হয়তো নীলা মার্কেট নয়তো মইজুদ্দিন চত্তর এ যাবো। নীলা মার্কেট পার হওয়ার পর তখন আমরা বাম দিকে চলে গেলাম। পুর্বাচল এর দিকে । সেখানে পথিমধ্যে দেখি বড়ই গাছ। ছোট ছোট বড়ই ছিলো সেখানে। আমাদের মাথায় দুষ্টূ বুদ্ধি চলে আসলো। প্রথমেই রাস্তার পাশের গাছ গুলো থেকে বড়ই নেওয়া শুরু করলাম। যদিও এগুলোতে অনেক ধুলো ছিলো। অনেক গুলো পকেট এ ভরলাম। হঠাৎ দেখি আমার বন্ধু শুভো আর সজিব ভেতরে চলে গেছে। ভিতরে অনেক গুলো গাছ ছিলো আরো। আর সেগুলোর বড়ই পরিষ্কার ও ছিলো যেহেতু রাস্তা থেকে অনেক দুরে।
আমরা সেখান থেকে বড়ই খাওয়া শুরু করলাম। এ নিয়ে আরো মজার ঘটনা আছে সেটি আগামী কাল পোস্ট করবো। তো সেখান থেকে আমরা বড়ই নিয়ে আমাদের গন্তব্যের দিকে রউনা দেই। যেখানে যাবো সেটা আমি চিনিনা। তবে যায়গাটা অমায়িক সুন্দর। সত্যি বলতে ঢাকায় এখনো এমন যায়গা রয়েছে এটা দেখে সত্যি আমি অবাক হয়েছি অনেকটা। যায়গাটা একটা মাঠ এর মতন। বিশাল বড় মাঠ। মাঝে মাঝে কিছু গাছ আছে সেগুলো দেখতে বেশ লাগছিলো। ছবি তোলার জন্য তো একদম পার্ফেক্ট একটি যায়গা। যাওয়ার রাস্তা উচু নিচু ছিলো। বাইক নিয়ে মনে হচ্ছিলো অফ রোডিং করতেছি। বেশ মজাই পেয়েছিলাম। ধিরে ধিরে বাইক নিয়ে একটি গাছের নিচে রাখি। এরপর ছবি তুলি অনেক গুলো। আমরা ফোন দূরে সেট করে রেখে ৩ জনের এক সাথে ছবি তুলি। এরপর বেশ কিছুক্ষন জমিয়ে আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বন্ধুদের সাথে বাইকে ঘোরাঘুরি করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ও সময় পেলেই বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়ি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য। আপনি দেখছি আপনার বন্ধুদের সাথে বাইকে বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন।আর এরকম ফাঁকা জায়গার মধ্যে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলে অনেক বেশি মজা হয়। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন।
এটা বাস্তব কথা ভাই। আসলেই খুব ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে।