ফোন কিনতে যমুনা ফিউচার পার্কে.......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজকের আবহাওয়াটা চমৎকার। ঠান্ডা ঠান্ডা এক ভাব। হালকা বৃষ্টিও হয়েছে দেখলাম। আসলে এমন আবহাওয়া থাকলে দারুন লাগে। বলতে গেলে আমার খুবই পছন্দের এক আবহাওয়া এটি। তো দু এক মাস আগে একবার যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছিলাম আমার এক পরিচিত ছোট ভাই এর ফোন কেনার জন্য। আজ সে নিয়েই লিখবো।
এটা অনেক আগের ঘটনা। তখন আমার টিভিএস বাইকটা ছিলো। তো সেদিন আমার অফিস ছিলোনা। হঠাৎ দুপুর বেলা আমার বন্ধু শুভোর কল। ও বললো আসিফ আসবে ফোন কিনতে একটা চল যমুনা যাই। যেহেতু বাইক আছে তাই বললাম ঠিক আছে চল। তবে জিজ্ঞেস করে নিলাম ওর বাইক বের করবে কিনা। ও বললো না। আমার টা নিয়েই যাবে। এইদিকে আসিফ আমাকেও কল করেছিলো। ও তখন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসতেছে। আমি ওরে ঠিকানা বলেদিলাম। আর আসিফ এর সাথে আমার পরিচয় অনেকদিন। ও শুভোদের গ্রামের। পাবজি মোবাইল খেলতে খেলতে পরিচয় ওর সাথে। এর আগেও একবার আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলো। আর যেহেতু ফোন সম্পর্কে আমার আর শুভোর ধারনা বেশি তাই আমাদের বললো একটু হেল্প করতে। আমিও একটু এক্সাইটেড ছিলাম। প্রথমবার এর মতন বাইক নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে যাবো। আবার একটু ভয় ও হচ্ছিলো বাইক পার্কিং নিয়ে। যায়গা মতন পার্কিং করে রাখতে পারবো কিনা বা কাজ শেষে আবার বের করতে পারবো কিনা এই নিয়েই ভয় হচ্ছিলো খুব। যাক এরপর হঠাৎ শুভো কল দিয়ে বলে ওর গাড়ি বের করবে। আমি যেনো কুড়িল ফ্লাই ওভার এর নিচে যেয়ে দাড়াই। তখন আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে বাইক বের করে ফেললাম গ্যারেজ থেকে। এরপর স্টার্ট মেরে দিলাম টান।
শুভো আমার জন্য আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলো। এরপর দুজন এক সাথে হয়ে ভেতরের রাস্তা দিয়ে চলে গেলাম যমুনার উদ্দেশ্যে। ভেতরের রাস্তা আমি তেমন চিনিনা। এ ছাড়াও রাস্তা আমার তেমন মনে থাকেনা। আপনি আমাকে কোথাও নিয়ে গেলে আমি আর সে রাস্তা ধরে বাসায় ফিরতে পারবোনা। গুগল ম্যাপ থাকায় আমার অনেক সুবিধা হয়। নাইলে কতবার যে হাড়িয়ে যেতাম। যাক শুভো সামনে যেয়ে যেয়ে অপেক্ষা করে পরে এক সাথে যমুনার সামনে যাই। এরপর যেহেতু বাইক নিয়ে ঢুকবো তাই আমরা আগের গেইট দিয়ে ঢুকি। তখন একটু সামনে যেয়ে আসিফ কে কল দেওয়া হয়। ও চিনেনা। তাই বাইক সাইড করে শুভো ওরে নিয়ে আসে। এরপর পার্কিং এ যেয়ে দেখি আগে যেখানে বাইক রাখা হতো সেখানে কোনো বাইক নাই। একটু অবাকই হলাম। শুক্রবার আর বাইক নাই তা কি করে হয়। এরপর দেখি পার্কিং এবার যমুনা ফিউচার পার্কের নিচে শিফট করেছে। আমরা বাইক টেনে চলে গেলাম । গিয়ে তো পুরাই অবাক। অনেক বড় পার্কিং। এরপর দুজন এর বাইক পাশা পাশি পার্কিং এ রেখে ৬০ টাকা দিয়ে চলে আসলাম। ৩০ টাকা করে নিলো গাড়ি প্রতি। এরপর সোজা চলে গেলাম লেভেল ৫ এ। ওটাই মোবাইল মার্কেট। ওখানে যেয়ে ফোন খোজা শুরু হলো। আসিফ পিক্সেল ৭ কিনবে। তখন তার জন্যই খোজ লাগালাম আমরা।
খুজতে খুজতে অনেক দোকানেই পেলাম। তবে মন মতন পাচ্ছিলাম না। এইদিকে হাটতে হাটতে তো আমি বিরক্ত। কারণ ওদের ফোন পছন্দ হচ্ছে কিন্তু নিচ্ছেনা। যাক অবশেষে এক দোকানে পছন্দ হলো। দামেও মিললো। এবার আসলো ফোন চেক করার পালা। আমি শুরুতেই ফোন নিয়ে ডিসপ্লে ও সেন্সর গুলা ঠিক মতন কাজ করছে কিনা দেখে নিলাম। এরপর চার্জ হচ্ছে কিনা এটাও দেখে নিলাম। আমার বন্ধু শুভো চেক করলো ক্যামেরা কাজ করে কিনা। সব কিছু দেখার পর ফোন নিয়ে নিলাম। এবার আমরা চায়ের আড্ডার চা খাওয়ার জন্য বের হলাম। যমুনা ফিউচার পার্কের পাশের রাস্তার চায়ের আড্ডার চা কিন্তু দারুন। পার্কিং থেকে গাড়ি বের করে সোজা চলে গেলাম চা পান করতে। এরপর চা খেয়ে আসিফ কে বিদায় দিয়ে দিলাম। এরপর আমি আর শুভো আমার আরেক বন্ধু আকাশ এর কাছে চলে গেলাম দেখা করতে। সেখান থেকে পরে বাসায় ফিরে আসি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বন্ধুর কলে সোজা যমুনা ফিউচার পার্কে চলে গেলেন। আমার ইচ্ছা ছিল যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়ার কিন্তু সৌভাগ্য হয় নাই এবং আপনারা বন্ধু মিলে সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছিলেন যাক অফিস বন্ধ থাকায় খুব সুন্দর ভাবে দিনটি কেটেছে। ভালো লাগলো।
একদিন এসে পরেন। দেখা হয়ে যেতে পারে।
নতুন মোবাইল কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আসলে এই মুহূর্তটা দারুন লাগে, নিজের জন্য না হলেও অন্য কাউকে ফোন কেনায় সহযোগিতা করলেও একটা উত্তেজনা কাজ করে। আমিও মাঝে মাঝে ঢাকা শহরের রাস্তা হারিয়ে ফেলি, পরে গুগল ম্যাপ আমাকে সহযোগিতা করে 😄
যাইহোক অবশেষে মোবাইল পছন্দ হয়েছে এবং চায়ের আড্ডায় চমৎকার সময়টা উপভোগ করলেন। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দারুণ বলেছেন। এই মুহূর্তটা সত্যি দারুণ ।
আসলে ভাইয়া যাদের সাধারণত ফোনের বিষয়ে কিছু আইডিয়া থাকে, কেউ নতুন ফোন নিলে তাদেরকে সাথে নিয়ে যাই। কিছুদিন আগে আমার এক কলিগের ফোন কেনার জন্য আমাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিল। আপনারা তো বিশাল বড় মার্কেটে গিয়েছিলেন। আমরা জেলা সদরের ছোট শোরুম থেকেই ফোন কিনেছিলাম। যাইহোক আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
হুম ভাই। আসলে কেনার সময় কেউ থাকলে আলাদা ভালো লাগা কাজ করে।
জি ভাই রাতে এবং সকালে হালকা বৃষ্টি হয়েছিলো। এজন্য আজকে আবহাওয়া খুব ভালো। অনেক দিন আগে এক ছোট ভাইয়ের ফোন কিনতে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে বেশ মজা করেছেন। আজকে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
হালকা হালকা বৃষ্টি হলে কিন্তু ভালোই লাগে।
ফোন কিনতে যমুনা ফিউচার পার্কে কাটানো মুহুর্ত আলোকচিত্র দারুন ছিল ৷ বিশেষ করে যমুনা ফিউচার পার্কে ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে ইচ্ছা আছে এবার যদি কখনো ঢাকা যাই যুমনা ফিউচার পার্কে যাবো ৷ যা হোক ফোন নেওয়ার পর চায়ের আড্ডা সবমিলে অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ৷
হ্যা ভাই অবশ্যই আসবেন। আসলে জানাবেন। দেখা হয়ে যেতে পারে।
আকি তো ক্যাপশনে দেখে ভেবেছিলাম আপনি বুঝি নতুন ফোন কিনলেন। আর এই সুযোগে বুঝি একটু ট্রীট চাই, ট্রীট চাই বলে বায়না ধরবো! পরে পোস্ট পড়ে তো আশাহত হয়ে গেলাম। একে তো বন্ধুর ফোন, তার উপর আবার মাস খানেক বা তারও আগের কথা!! ট্রীট চাওয়া হলো না আমার। তবে এটা বুঝলাম যে বাইক নিয়ে যারা চলাচল করে, পার্কিং নিয়ে বেশ চিন্তাতেই থাকেন নতুন কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে!
আমারো একটা ফোন দরকার হিসেবে। কেউ তো বুঝেনা।
আপনি যেভাবে ফোন কেনার কথা বললেন আমি তো ভাবলাম যে আপনি নতুন ফোন কিনেছেন। নতুন ফোন কেনার জন্য আমাদেরকে ট্রিট পাঠিয়ে দিবেন। পরে পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনার বন্ধুর জন্য মোবাইল কিনেছেন এবং অনেক আগেই কিনেছেন৷ আজকে এই পোস্টটি শেয়ার করছেন৷ আসলে নতুন মোবাইল কেনার মজাই আলাদা৷ তা বন্ধুর জন্য হোক বা নিজের জন্য হোক।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
হ্যা আসলে কবে দেখবেন এভাবে পোস্ট দিয়ে আমিও ফোন কিনে ফেলেছি।
তাহলে তো ভালোই৷