ভাগ্য যখন সহায় থাকে ...
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আজ আমার উপর ভালোই চাপ গিয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ছিলো। সেটা শেষ করে আবার অফিস করতে হয়েছে। দিন শেষে আমি আজ ক্লান্ত খুব। ঘুম দিলে এই ক্লান্তি দূর হবে। কিন্তু পোস্ট করা হলোনা যে। তাই ভাবলাম আজ ছোট্ট এক মজার ঘটনা শেয়ার করি আপনাদের সাথে। আশা করি ভালো লাগবে।
দিনটা ছিলো ২০২০ সালের আগষ্ট মাসের ৮ তারিখ। সেদিনই আমি আমার সখের Oneplus 7t ফোন খানা কিনেছিলাম। সেদিন যদি আমার ভাগ্য সহায় না হতো তাহলে হয়তো আরো কিছু দিন অপেক্ষা করা লাগতো। ফোন কেনার জন্য বেশির ভাগ টাকা রেখেছিলাম ডাচ বাংলা ব্যাংক এর মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এ। তো সেদিন সকালে আমার আগের ফোনটা কেনার জন্য লোক আসার কথা। আমি রাতেই আমার দুই সিম এর এক সিম একটা ফোনে রাখি যেনো বায়ার আমার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। যদিও বেশির ভাগ কথা আমাদের ফেসবুকেই হয়েছিলো। তো অন্য যে সিম ছিলো সেটায় আমার সব একাউন্ট ছিলো। যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ। তো আমি সে সিম আমার ওয়ালেট এর এক চিপায় রেখে দেই। যে পরের দিন তো নতুন ফোন কিনবো লাগবেই। এখন আর শুধু শুধু ফোনে রেখে কি হবে। তো সকালে বায়ার আমাকে কল দিয়ে বললো যে, সে ১ ঘন্টা পর আসবে। তো আমি নাস্তা না করেই বাসা থেকে ফোন নিয়ে বের হয়ে গেলাম। আমাদের এখানে বটতলা নামক যায়গায় একটা মিস্টির দোকান আছে। যেখানে সকালে পরোটা আর ডাল ভাজিটা সেই হয়। পাশ দিয়েই হেটে যাচ্ছিলাম। ডাল ভাজির ঘ্রানে ভাবলাম খেয়েই যাই। তো যথারীতি খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে বিল শোধ করে চলে গেলাম বাজারে।
বাজারে পৌছে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি। বায়ার চলে আসে। তারপর ফোন সম্পূর্ণ ভাবে তাকে বুঝিয়ে দেই। আমার গুগল একাউন্ট সহ যাবতিয় সকল একাউন্ট সাইন আউট করে ফোন রিসেট মেরে তাকে বুঝিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে আসি। তো বাজারেই একটা সময় মনে হলো আমার সে সিমটা আছে তো ঠিক মত। চেক করতে যেয়ে তো আমার অবস্থা খারাপ। পুরো ওয়ালেট তন্ন তন্ন করে খুজেও সিম পেলাম না। ভাবলাম হয়তো বাসায় রেখে এসেছি কোথাও। দ্রুতো রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। এসে আমার ড্রয়ার এ চিরুনি অভিযান দিয়ে খুজলাম। কিন্তু বিন্দু মাত্র লাভ হলোনা। ধারনা করলাম ওয়ালেট থেকেই কোথাও পরে গেছে। ফোন কিনবো আমি আর আমার ৮০% টাকা রকেট এ। আর সে সিমই হারানো গিয়েছে। অনেকেই ভাববেন সিম তো তোলা যায় সমস্যা কি। আসলে সিম তোলা সমস্যা না। সিম তোলার পরেও ব্যাংক একাউন্ট গুলো সে সিম এর সাথে এক হতে ৭২ ঘন্টার বেশি সময় লাগে। এখন আপনি যখন সব কিছু প্রস্তুতি নিয়ে কিছু একটা কিনতে যাবেন। তখন যদি সেটা না কিনতে পারেন দেখবেন আপনার অনেক হতাশা কাজ করছে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
তবে আমি থামবার পাত্র না। ভাবতে থাকলাম। কোথায় কোথায় ওয়ালেট খুলেছি। হঠাৎ মনে পরলো, সকালে যে নাস্তা করলাম মিস্টির দোকানে। সেখানে ক্যাশ কাউন্টারের সামনেই আমি ওয়ালেট খুলে বিল পে করেছিলাম। আমি আর দেড়ি করলাম না। সাথে সাথেই চলে গেলাম। গিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের নিচে তাকাতেই দেখি সিম। আমি তুলে নিয়ে চলে আসলাম। ব্যাপারটা এমন মনে হলো যেনো আমি আগেই জানতাম সিমটা ওখানে আছে। কারণ আমি অন্য কোথাও খুজিনি। সোজা গেলাম। সিম হাতে নিয়ে চলে আসলাম। আমি খুশি হলাম। খুব। ভাগ্য সহায় ছিলো আমার। এবার ফোন কেনা মিস যাবেনা। দ্রুতো সে সিম আমার ফোনে ইন্সটল করে ফেললাম। যেনো আবার না হাড়ায়। এরপর তো ফোন কিনতে চলে গেলাম। সে গল্প না হয় আরেকদিন বলবো।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলেই মাঝে মাঝে এমনটা হয় সবার সাথে।আমারও একদিন গোল্ড নিয়ে এমন হয়েছিলো পরে পেয়েছিলাম কিন্তু দুইটা জিনিস থেকে একটা পেয়েছি।যাই হোক সিম যে মিষ্টির দোকানে পেয়েছেন তাই অনেক।ধন্যবাদ
হুম আপু। আমিও ভাবিনি যে এমন ভাবে পেয়ে যাবো।
আসলেই ভাই আপনার কপাল আছে বলতেই হবে। অতোগুলো টাকা সহ সিম হারিয়ে গেলে যে কারো মাথানষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আপনি বুদ্ধিমাওার সঙ্গে খুজেঁছেন এবং পেয়েছেন। ভালো লাগল এইরকম পজেটিভ একটা বিষয় দেখে।।
টাকা গুলো তো পেতাম। কিন্তু ওই যে ফোন কেনার অপেক্ষাটাই কষ্ট দিতো আমারে।