তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? তীব্র এই গরমে অনেক খারাপ যাচ্ছে জানি। আসলে গরমে ভালো থাকাটা সত্যি অনেক কষ্টের। চাইলেও ভালো থাকা যায়না। কতক্ষন আর গরম সহ্য করা যায়। অনেকের নাকি গরম ভালো লাগে। আমি তাদের চাঁদমুখ খানা দেখতে চাই একবার। আজ গরম আবহাওয়া নিয়েই কথা বলবো।
তীব্র এই গরমে অবস্থা সবারই খারাপ বলা চলে। গরম তো আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা। আমার শীতের আবহাওয়া ভালো লাগে। আর যতই হোক শীত সহ্য করা যায়। অত বেশি শীত পরেনা। বিদ্যুৎ যাওয়ার ও ভয় নাই। দেশে বিদ্যুতের অপচয় ও কম হয়। আরামদায়ক ভাবে কোথাও যাওয়া ও যায়। তবে বর্তমানের গরম আবহাওয়া মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। গরমের এই তীব্রতা সহ্যই করা যাচ্ছেনা কোনো ভাবে। তাও নাকি কিছু মানুষ বলে তাদের গরম আবহাওয়া ভালো লাগে। আমি শুধু তাদের একবার দেখতে চাই। কিভাবে বলে তারা তাদের গরম ভালো লাগে। আমি নিশ্চিত তাদের সবার বাসায় এসি রয়েছে 🤣🤣🤣। ভেতরে ভেতরে তারা ঠিকি এসির হাওয়া খাচ্ছে। আর এইদিকে আমাদের বলে তাদের নাকি গরম অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আমি ভাবি সত্যি তাদের ভালো লাগে নাকি সবই মিথ্যে। তবে সত্যি বলতে গরম আবহাওয়া আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা। কোনো ভাবেই না। মানুষ এই ধরনের আবহাওয়া কিভাবে সহ্য করে আল্লাহ ভালো জানেন। গরমের তীব্রতা প্রচন্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘেমে অবস্থ্যা খারাপ হয়ে যায়। ছোট বেলা থেকেই আমি গরম সহ্য করতে পারতাম না। আর এখনতো সেটা সহ্য সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে।
কেনো এই গরমের তীব্রতা? কোনো ধারনা আছে? এর জন্য দায়ী কারা? কিভাবে সমাধান পাওয়া যাবে এই তীব্র গরম থেকে? অনেক গুলো প্রশ্নই কিন্তু মাথায় ঘুরপাক খায় সব সময়। বিশেষ করে আমাদের জেনারেশন এর সবাই এই জিনিশটা নিয়ে চিন্তিত। গরমের এই তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার অনেক অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত প্রচন্ড রকমে বায়ু দূষণ হচ্ছে। আর গাছ পালা নিধন করে প্রথিবীকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলা হচ্ছে বলতে গেলে। যার কারণে বৃষ্টির পরিমান অনেক কমে গিয়েছে। ফলে তাপমাত্রাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব কিছুই যেনো তাপ ধরে রাখে এখন। আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা ভাবুন। তখন কি এতো গরম লাগতো? বা গরম পরলেও সেটা কি এতো দীর্ঘস্থায়ি হতো? দুপুর সময়ে একটু গরম লাগলেও সেটা ধিরে ধিরে কমে যেতো। কিন্তু এখন সন্ধ্যায় ও দেখবেন তাপমাত্র কমার নাম নাই একদমই। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে একমাত্র দায়ী আমরাই কিন্তু। নির্বিকারে গাছ নিধন করেছি। পরিবর্তে গাছ লাগাইনি একটিও। তাপমাত্রা বাড়বে না তো বরফ পরবে নাকি? আপনি আপনার আশে পাশে একটু খেয়াল করুন। বিশেষ করে ঢাকায় যারা থাকেন। আশে পাশে তাকালেই বিশাল বিশাল দালান দেখতে পাবেন। যেখানে আগে বিশাল বিশাল গাছ দেখা যেতো। এখন তো ছোট গাছ ও দেখা যায়না।
কিছু কিছু বাড়ির ছাদে কিছু গাছ পালা দেখা যায়। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। তবে সেগুলো কিছুটা হলেও কাজে দেয়। নাইলে এই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ যেয়ে ঠেকতো। গাছ পালা না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমান এতো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে এই আদ্রতা তাপ ধরে রাখে। এ জন্য ঢাকার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি হলেও অনুভুত হয় ৪৬ ডিগ্রির মতন। অবাক করা বিষয় হচ্ছে ঢাকার তাপমাত্রা যখন ৪০ এর ঘর ছুই ছুই তখন কিন্তু মরুভুমির দেশ সৌদি আরব এ তাপমাত্রা ৩৮ এর ঘরে। একদম এখন যেনো বিপরীত রুপ আবহাওয়ার। কি আর করা দায়ী তো আমরা নিজেরাই। কিচ্ছু করার নাই চাইলেও । আবার চাইলে অনেক কিছুই করা যায়। এর জন্য আমাদের প্রচুর প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। এক মাত্র গাছই পারে প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ থেকে আমাদের বাঁচাতে। আমাদের উচিৎ প্রচুর গাছ লাগানো।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ভাই আরো এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা শীতের সময় বলে গরম ভালো লাগে আর গরমের সময় বলে শীতের মৌসুম ভালো লাগে 😁 হ্যাঁ গাছপালা না থাকার কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প দিন কমে যাচ্ছে যার কারণে গরমের প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওদের খুজে খুজে মার্ডার করতে হবে ভাই।
যারা সারাদিন এয়ারকন্ডিশনের ভিতর থাকে কিংবা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না, তাদেরই একমাত্র গরম ভালো লাগে ভাই। তাছাড়া কোন সুস্থ মানুষের গরম ভালো লাগতে পারে না । আসলে এটা সত্যি কথা, বর্তমানে গাছপালা কমে যাওয়ার কারণে পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আসলে এসব কিছুর জন্য মূলত আমরাই দায়ী। সুতরাং আমরা যদি এখন থেকে একটু সচেতন না হই কিংবা গাছপালা না লাগাতে শুরু করি, তাহলে সুদূর ভবিষ্যতে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হবে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। এরা সারাদিন এসির ভিতর থাকবে আর বলবে গরম ভালো লাগে।
আমাদের বাড়িতে যেহেতু এসি নাই তাই যারা এই কথাগুলো বলবে, সেগুলো শুনে চুপ থাকা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের চুপ করে বসে থাকা ছাড়া সত্যি কোনো উপায় নাই।