আমার শুক্রবার.......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। তবে আবার চমৎকার নাই ও। কারণ যে গরম পরা শুরু হয়েছে এভাবে বেঁচে থাকাই মুশকিল। এমন তীব্র গরম পড়বে তা চিন্তাও করতে পারিনা। এ সময়টা থাকার কথা নাতিশীতোষ্ণ। কিন্তু বাইরে আদ্রতার কারণে মনে হচ্ছে আগুনের গোলায় আছি।
তো আজ ছিলো শুক্রবার। আর আজ ছিলো আমার ভার্সিটির ক্লাস। শেষ ভার্সিটির ক্লাস করেছিলাম দেশ স্বাধীন এর আগে। মানে সেই জুন মাসে। জুলাইতে তো কত শত ঝামেলার কারণে ইন কেম্পাস ক্লাস হয়নি। যা কয়টা হয়েছে সব অনলাইনে। আর আমাদের ক্লাস গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু আমি মিস দিয়েছিলাম। সেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম আমার পাবজি স্কুয়াড এর সাথে। তাই এই সপ্তাহে আর ক্লাস মিস দেওয়া যাবেই না। তো গতকাল ঘুমাতে গিয়েছিলাম রাত ১ টার অনেক পরে। তখন এলার্ম সেট করে রাখি সকাল ৬ টা ৪৫ এ। কিন্তু রাতে দেড়ি করে ঘুমাতে যাওয়ার ফলে আর আমার ঘুম ভাংগেনি সকালে। শেষে অফিস টাইমের এলার্মে ঘুম ভাংগে আমার। এলার্ম অফ করতেই দেখি ঘড়িতে সময় ৭ টা। আমি দ্রুতো উঠে ফোন চার্জে লাগাই। এরপর গোসল করতে চলে যাই। গোসল করা ছাড়া একদমই বের হওয়া যাবেনা। ফ্রেশ হয়ে গোসল করে এসে দেখি সময় ৭ টা ২৭। কোনো মতে রেডি হয়ে ব্যাগ এ একটা খাতা নিয়ে হেলমেট নিয়ে বের হয়ে যাই। দেড়ি হয়ে যাবে দেখে আম্মুকেও সকালের নাস্তা রেডি করতে না করি।
তো আমি প্রায় দৌড়ে চলে যাই গ্যারেজে। সেখানে বাইক মুছে দ্রুতো বের করে ফেলি। এরপর স্টার্ট মেরেই টান। কারণ ক্লাস ৮ টা থেকে আমার প্রথম ক্লাস। ঘড়িতে সময় তখন ৭ টা ৪০। আমাকে ২০ মিনিটে ১১ কিলোমিটার রাস্তা রাইড করতে হবে। শুক্রবার দেখে রাস্তা ফাঁকাই ছিলো। তবে ট্রাফিক ছিলো তুলনামূলক একটু বেশি অন্য দিন থেকে। খুব জোড়েই চালাই। সময় মতন ক্লাস ধরার জন্য। ভাগ্য ভালো ছিলো। বিজয়সরনী সিগন্যাল এ পরতে হয়নি। এরপর আমি প্রায় ৫ মিনিট থাকতেই ভার্সিটি পৌঁছে যাই। গিয়েই বাইক নিয়ে ভার্সিটির গ্যারেজ এ নিয়ে যাই। কারণ যে রোদ পরতেছে বাইরে বাইক রাখলে ফ্রাই হয়ে যাবে। তো এরপর নিচে কিছুক্ষন ঠান্ডা হয়ে ক্লাসে চলে গেলাম। প্রথম ক্লাস এর স্যার একটু দেড়ি করেই আসলেন। অনেকদিন পর ক্লাসম্যাট দের সাথে দেখা তাই ওদের সাথে একটু গল্প গুজব করা শুরু করলাম। স্যার পড়া শুরু করলেন। আমিও নোট করতে শুরু করলাম। প্রথম ক্লাস টা একটু বোরিংই লাগলো। এভাবে ধীরে ধীরে প্রথম ক্লাস শেষ হলো।
প্রথম ক্লাস শেষেই নিচে চলে এলাম। ভাইরে ভাই কি বলবো আর যে রোদ। দৌড়ে টং দোকানে গেলাম। সেখানে কেক খেলাম। এরপর সিঙ্গারা খেলাম দুইটা। আর এক কাপ রং চা। বেস আমার সকালের নাস্তা শেষ। আবার ফ্লাসে ফিরে গেলাম। এবার ক্লাস নিবে আমাদের ডিপার্ট্মেন্ট এর হেড স্যার। ভয়ে ছিলাম যে তিনি কেমন হয়। কিন্তু স্যার ক্লাসে আসার পর সব ধারণা পাল্টে গেলো। উনি রেফ্রিজারেশন নিয়ে ধারণা দিচ্ছিলেন। রিভার্স কারনট সাইকেল বুঝাচ্ছিলোন। আমি এক বারেই বুঝে গেলাম এতো কঠিন এক জিনিশ। এরপর স্যার ম্যাথ বুঝালেন সেগুলো ও সুন্দর ভাবে বুঝে গেলাম। নোট ও করে রাখলাম। কারণ এটা থেকে পরীক্ষায় আসতে পারে। এরপর ক্লাস শেষ হয় এটা। আরো দুইটা ক্লাস ছিলো। কিন্তু আমার আর ক্লাস করার ইচ্ছা ছিলোনা। তাই বাসায় এসে পরি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শুক্রবার টা আমারও ঠিক আপনার মতোই কাটে। সারাদিন থাকা লাগে ক্যাম্পাসে। একটু বিরক্তিকরও লাগে মাঝে মাঝে। এবং ক্লাসের ফাঁকেই এইরকম চা খেতে চলে যায়। বেশ ভালো লাগল আপনার মূহূর্তটা পড়ে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য
আপনাকে।।
হুম ভাই। শুক্রবার যেনো আরো ব্যস্ততা বেড়ে যায় আমাদের।