বন্ধুদের সাথে ব্যস্ততাময় এক সময় পার করা......
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। তবে যদিও ভালো থাকা নির্ভর করে পারিপার্শিক বিষয় গুলোর উপর। তবে যতটা ভালো থাকা যায় সে চেষ্টাই করে যেতে হয়। চাইলেও আপনি ইচ্ছে করে ভালো থাকতে পারবেন না আবার চাইলেও আপনি ইচ্ছে করে খারাপ থাকতে পারবেন না। তো যাই হোক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বন্ধুদের সাথে ব্যাস্ত সময় আর খাওয়া দাওয়ার কিছু কথা।আশা করি ভালোই লাগবে।
সেদিন শুক্রবার ছিলো। এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর চমৎকার এক জার্নি শেষে আমি বাসায় আসতেছিলাম। এয়ারপোর্ট থেকে অন্যপাশে এসে বাস ধরে আমাদের এলাকার বাস স্ট্যান্ড এ আসি। এরপর সেখান থেকে রিকশা নিয়ে চলে যাই বাসায়। পথিমধ্যে আমার বন্ধু প্লাবন আমাকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করে কোথায় আছি। আমি বললাম বাসায় যাচ্ছি রিকশায়। ও বললো বাসায় না যেয়ে সোজা লেকসিটি চলে আসতে। আমি বললাম বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে তারপর আসবো। কারণ একটু ক্লান্ত লাগছিলো। বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে বের হয়ে গেলাম বাসা থেকে। বটতলা থেকে অটোতে করে লেকসিটির উদ্দেশ্যে রউনা দিলাম। অটো থেকে নামতে নামতেই দেখি শুভো বাইক নিয়ে সামনে যাচ্ছে। তাদের পেছনে প্লাবন আর আকাশ দোকানের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তো আমি নেমেই ওদের ডাক দিলাম। তারপর দেখলাম ওরা এক কফির দোকানে যেয়ে বসলো। আমিও গেলাম। ওদের প্ল্যান ছিলো আকাশ এর থেকে ট্রিট নিবে। কিন্তু শেষে কফির দাম শুনে আমাদের আকাশ ভাই তো ট্রিট দিবেইনা। যাক তারপর আমরা ৩০০ টাকা বাজেট করতে রাজি করালাম। যাক এরপর ঠিক হলো প্রথমে আমরা লেমোনেট ড্রিংক পান করবো এরপর মালাই চা খাওয়া হবে।
এরপর ওরা চলে গেলো সামনের দিকে। শুভো আমার হাতে বাইক ধরাই দিয়ে বললো নিয়ে যা। আমি বাইক এ উঠলাম আর সচিন ও উঠে পরলো আমার পিলিয়ন হিসেবে। ওরে নিয়েই বাইক নিয়ে রউনা দিলাম। তবে দোকানে না যেয়ে ঠিক করলাম বাইক নিয়ে ঘুরে আসি। এরপর চলে গেলাম বাইক নিয়ে ঘুরতে। একটু ঘুরে আবার ড্রিংক এর সেই দোকানে ব্যাক করলাম। এরপর সেখান থেকে লেমোনেট খেলাম। তারপর আকাশ রে এগিয়ে দিয়ে আসলাম। এরপর আমি আর প্লাবন ঠিক করলাম কিছু একটা খাইতে হবে। তখন প্ল্যান করে ফেললাম অনেক দিন ধরেই চাপ খানায় যাওয়া হয়না। তাইলে আজ চাপ খানায় যাবো। সচিন ও সায় দিলো। তখন সবাই মিলে চলে গেলাম চাপ খানাতে। যদিও আমি আর শুভো একটু পরেই গিয়েছিলাম। গিয়ে শুনি যে দেড়ি হবে একটু। তখন সচিন আর শুভ ভিতরে আড্ডা দিচ্ছিলো আমি আর প্লাবন বাইড়ে থেকে হেঁটে আসলাম।
ফিরে এসে আমরা ৩ টা নাগা চিকেন উইংস বারবিকিউ অর্ডার করলাম। সচিন বারবিকিউ চিকেন অর্ডার দিলো। সাথে সবার জন্য ৮ টা লুচি দিতে বললাম। আর চিকেন উইংস এ ঝাল বাড়িয়ে দিতে বললাম। কারণ অনেক দিন পরে গিয়েছিলাম। অনেক্ষন পর আমাদের অর্ডার নিয়ে হাজির। তো সবাই মিলে বলতে গেলে মজা করেই খেলাম। আমরা সবাই আবার এক্সট্রা করে লুচি অর্ডার করেছিলাম। খুব ঝাল ছিলো। আমি তো এসির ভিতর ও ঘামাচ্ছিলাম প্রচুর। সবার থেকে আমার অবস্থাই খারাপ হলো বেশি। শুভ তো হাসতেছিলো যে যেখানে ওর সমস্যা হওয়ার কথা সেখানে আমার অবস্থাই খারাপ। ঝালে আমার চোখের অবস্থা একদম লাল হয়ে গিয়েছিলো। শুভ চেষ্টা করেছিলো ছবি তোলার। কিন্তু আমি সুযোগ দেইনি। এরপর আমরা বিল চুকিয়ে বাসায় চলে আসলাম যে যার।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার বন্ধু প্লাবনের সাথে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। এলিভেটর এক্সপ্রেস এ বেশ সুন্দর জার্নি করেছেন খুবই ভালো ব্যাপার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাই। ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পারলে। আলাদা এক অনুভূতি কাজ করে।
বন্ধুর সাথে দারুন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া সুন্দর চিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। বেশ ভালো লাগলো এই ব্যস্ততম মুহূর্তের মধ্যে বন্ধুর সাথে সময় দেওয়ার মুহূর্তটা। আসলে মাঝেমধ্যে বন্ধু যদি পাশে থাকে এভাবে একসাথে চলতেও বেশ ভালো লাগে। তবে বেশ ভালো করেছেন সে মুহুর্তটা ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং তা স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।
বন্ধুরা পাশে থাকলে আর কি চাই। পুরো মুহূর্তটাই যেনো সুন্দর হয়ে উঠে তখন।
জীবনের বড় একটি অংশ হল বন্ধুত্ব। বন্ধু ছাড়া জীবন সত্যিই অপূর্ণ যখন বন্ধুদের সাথে একত্রিত হয়ে এইরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাই জীবনের সকল দুঃখগুলো লোভ পায়। ভালো লাগলো আপনার কাটানো বন্ধুদের সাথে দারুন মুহূর্ত গুলোর গল্প পড়ে।
ঠিক ভাই সত্যি জীবনের এক বড় অংশ হচ্ছে বন্ধুত্ব।
আমার পছন্দের একটা রেস্তোরাঁ এখানে প্রায় সময় যাওয়া হয়, এবং আমার সবথেকে পছন্দের আইটেম তাই অর্ডার করা হয়েছে দেখলাম। ঐদিন ব্যস্ত ছিলাম আমার ইউনিভার্সিটি ছিল তাই হয়তো যাওয়া হয়নি।
হুম এক সময় তো অনেক যেতাম। এবার মনে হয় প্রায় ১ বছর পর গেলাম।
বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। খাওয়া-দাওয়া মুহূর্তগুলো চমৎকার উপভোগ করেছেন। বন্ধুদের সাথে মুহূর্ত কাটানো অনুভূতি বেশ দুর্দান্ত।
বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো সব সময়ই ভালো লাগে।