আমার শুক্রবারের ক্লাস
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। যদিও দুইদিন ঠান্ডা আবহাওয়া থাকার পর আবার গরম পরা শুরু হয়েছে। আর এই গরমে কতটা সুস্থ থাকা যায় এটা জানাই আছে। তো যাই হোক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার শুক্রবারের ক্লাসের অনুভূতি। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি পোস্ট এ চলে যাই।
সারা সপ্তাহ অফিস করার পর শুক্রবার ক্লাস করাটা আসলেই অনেক কষ্টকর। তার উপর বৃহস্পতিবার রাতেও ক্লাস থাকে। ১০ টায় শেষ হয়। এরপর এসে পরের দিনের ক্লাস। শরীর যেনো আর নিতেই পারেনা। তবে এই বৃহস্পতিবার অবশ্য ক্লাস পুরো পুরি করিনি। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেড় হয়েছিলাম ৫ টায়। এরপর পাঠাও নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে যাই। দুইটি ক্লাস ৪ ঘন্টা হবে। প্রথম ক্লাস এর পর আর মন চাচ্ছিলোনা যে ক্লাস করি। কারণ হ্যাং আউট আছে ১০০ তম। তাই পরের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বেড় হয়ে যাই। তো সেদিন হ্যাং আউট শেষ করে ঘুমতে ঘুমাতে আমার অনেক লেট হয়ে যায়। আর যাবেইবা না কেনো। পুরো সপ্তাহ জুড়েই আমার ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে অফিস ধরতে হয়। একদিন যে একটু শরীরটাকে জিরোতে দিবো তা আর হয়ে উঠতেছেনা। যাই হোক কি আর করা। ঘুম থেকে উঠে একটু এদিক সেদিক করতে করতে করতে করতে দেখি ৬ টা ২০ বেজে গেছে। দ্রুতো উঠে ফ্রেশ হয়ে গোসল দিয়ে রেডি হয়ে নিলাম। দেখি তখন বাজে ৬ টা ৪৫। ক্লাস সকাল ৭ টা ৩০ থেকে। যেহেতু শুক্রবার আর সকাল বেলা রাস্তা ফাকাই থাকবে। তাই আর প্যারা খাইনি। রিকশা নিয়ে চলে গেলাম বাস স্ট্যান্ড এ।
ভাগ্য অনেক ভালো ছিলো যেয়েই বাস পেয়ে যাই। একটু পেছনের সারিতে দেখি সীট ও আছে। আমিও গিয়ে বসে পরলাম। ভাবলাম ঘুমাবো কিনা। কিন্তু যেহেতু রাস্তা ফাঁকা তাই ভাবলাম ঘমিয়ে কাজ নেই। ফোন বেড় করে স্টিমিটে ঢুকে পোস্ট পড়তে লাগলাম। কিছু কমেন্ট এর রিপ্লাই ও করলাম। রাস্তা এতোই ফাঁকা ছিলো যে মাত্র ২৫ মিনিট লাগে খিলক্ষেত থেকে ফার্মগেট পৌছাতে। তখনো ক্লাস শুরু হতে ১০ মিনিট বাকি। আর ১০ মিনিটে আমি অনেক সহজেই ভার্সিটি পৌছে যেতে পারবো। ভাবলাম একা তো গ্রুপে একটা মেসেজ দেই। সাথে জিজ্ঞেস করলাম ক্লাস কি ৭ টা ৩০ থেকেই হবে নাকি আগের সেমিস্টার এর মতন ৮ টা থেকেই করবো। সিআর বললো যে ৭ টা ৩০ থেকেই হবে। তো বললো ম্যাম রে কল করে দেখতে পারে চাইলে। আমি বললাম দিয়ে দেখেন কি বলে। একটু পর সিআর সবাইকে ৮ টায় ক্লাসে যেতে বলেছে। মানে আগে যেনো কেউ না যায়। ম্যাম এর সাথে কথা হয়েছে জানালো। আমি ভাবলাম খুদা পেয়েছে তাই খেয়ে নি। পাশেই একটা রেস্তোরা ছিলো। সেটায় ঢুকে গেলাম। তেল ছাড়া পরোটা অর্ডার দিলাম। একটূ পর উনি ভাজি দিয়ে গেলো। যদিও আমি ভাজি চাইনি। পরোটা নিয়ে আসলে বললাম আর কি আছে। তারপর আমি স্যুপ অর্ডার করলাম মুরগির। পেট ভরে খেয়ে নিলাম। খেয়ে তারপর ক্লাসে চলে গেলাম।
ক্লাসে যাওয়ার পর তো খালি আমার ঘুম ধরতেছিলো বার বার। একদিকে ম্যাম বুঝাচ্ছে তো অন্যদিকে আমার ঘুম আসতেছে। ইকোনোমি ক্লাস ছিলো। ম্যাম কি বুঝাইলো মাথায় ছিলোনা তেমন। কারণ আমি ঘুমে আছিলাম। হাহাহাহ। কি আর করা। ক্লাস শেষ হলে দৌড়ে চলে যাই ওয়াশ রুম এ। এরপর ইচ্ছা মতন চোখে পানি দিতে থাকি। এরপরের ক্লাস ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স। যদিও সবাই নিচে গিয়ে ছিলো। তবে আমি যাইনি। আমি বসে গল্প করতে ছিলাম। আমার ইভিনিং শিফট এর কিছু বন্ধু ফ্রাইডে শিফট এ এসেছে। ওদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললাম । এভাবে করে ক্লাস শেষ হলো সব গুলো। বেড় হয়ে গেলাম ক্যাম্পাস থেকে। এবার টার্গেট আগেই বাসায় পৌছানো। কিন্তু বাস ধরতে যেয়ে দেখি বাস কম। তবে মানুষ অনেক। যদিও অন্য লাইনের বাসের জন্য। একটু অপেক্ষা করার পর বাস পেয়ে উঠে সিট ও পেয়ে গেলাম। আরামসে ঘুমাই ঘুমাই বাসায় চলে আসলাম। এরপর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে এক ঘুম। উঠে খাইতে গিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে আরেকদিন লিখবো। আশা করি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR