ড্রিম হলিডে পার্কে টুর || পর্ব - ২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ রবিবার। আজ অফ ডে নিয়েছিলাম অফিস থেকে। তাই সকালে একটু বেশি বেশি ঘুমিয়েছিলাম। অফিস থেকে টুরে গিয়েছিলাম। অনেকদিন আগে। এই নিয়ে লিখেও ছিলাম যেটি ছিলো প্রথম পর্ব। এরপর ব্যস্ততার কারণে আর লেখা হয়নি। তাই ভাবলাম আজ ২য় পর্ব শেয়ার করি।
যেহেতু শীতের মাঝে ট্রিপটা হবে।আমরা খুবই এক্সাইটেড ছিলাম এই বিষয় গুলো নিয়ে। আবার অনেক বড় দায়িত্ব থাকাতে একটু ভয় ও কাজ করছিলো যে ঠিক মতন সব করতে পারবো কিনা। তো বাইক থাকাতে সেদিন খুব সহজেই পৌছে যাই। গিয়ে দেখি আমার এসিস্ট্যান্ট আগেই হাজির সেখানে। এরপর আমি আমার বাইকটা সুন্দর ভাবে পার্কিং করে আসলাম। আর ভালো মতন শিউর হয়ে নিলাম এই যায়গার সিকিউরিটি সম্পর্কে। আগে আমার বাইকের সিকিউরিটি ভাই। এরপর ট্রিপ এর প্ল্যান। যাক এরপর আমিও একটা চা খেয়ে শরীর গরম করার জন্য বের হলাম। চা খেতে যাওয়ার সময় দেখি সজল ভাই। উনি সহ গিয়ে চা খেলাম । এরপর সব পোলাপাইন ডেকে এক সাথে ছবি তুললাম। কিছু কিছু ছবি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপেও শেয়ার দিলাম। যে আমরা ঠিক ঠাক মতন আসছি। ছেলে পেলে সবাইকে সাবধান করে দিলাম। কেউ যেনো সিরিয়াস কোনো দুস্টামি না করে বসে। কিছুক্ষন পর আমাদের টেরিটরি ম্যানেজার স্যার এসে পরলেন। এসেই আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন সবাই ঠিক ঠাক মতন আসছে কিনা। আমি জানালাম সব কিছু ঠিক ঠাক আছে। তখন আমাদের স্টাফ সবাই বাসে গিয়ে যায়গা ধরলো। কিন্তু স্যার আবার টি শার্ট নেওয়ার জন্য ভেতরে যেতে বললো সবাইরে।
ভেতরে যাওয়াতে আমাদের সবার বাসের সিট হাত ছাড়া হয়ে গেলো। ভেতরে স্যার সবাইকে সবার টি শার্ট বুঝিয়ে দিলেন। এবার তো আর যায়গা পাচ্ছিনা। যায়গা ছিলো তবে প্রতি বাসে আলাদা আলাদা। আমরা সবাই এক বাসে যেতে পারবোনা। কি আর করা। সবাই দুই বাসে ভাগ করে গেলাম। তাই আর অই লেভেল এর মজা করতে পারলাম না। খুবই ফালতু এক সময় কেটেছে। তবে আমরা যে কয়জন ছিলাম চেষ্টা করেছি মজা করেই যেতে। কিছুক্ষন পর সামনের একজন ফোন থেকে হটস্পট নিয়ে গাড়ির টিভিতে কানেক্ট করে ইউটিউব থেকে গান বাজাচ্ছিলো। আর পেছনে পোলাপাইন সব স্মোক করছিলো। যেহেতু আনন্দের দিন তাই আর কিছু বলিনি। এভাবেই আমাদের বাস ড্রিম হলিডে পার্কের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছিলো।
যাওয়ার কথা ছিলো ৩০০ ফিট পুর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। কিন্তু আমাদের বাস যায় অন্য রাস্তা দিয়ে। গাজিপুর হয়ে। এতে করে রাস্তায় যেমন প্যারা খেতে হয় তেমনি পৌছাতেও অনেক দেড়ি হয়ে যায়। ছোট বাস গুলো ৩০০ ফিট দিয়েই যায়। রাস্তায় ধুলাবালি ছিলো প্রচুর। যার জন্য অনেক ঝামেলা হয়। জানালা খুলে রাখা যাচ্ছিলোনা। আর জ্যাম তো আছেই সাথে। যাক ধিরে ধিরে আমরা পৌছে গেলাম নরসিংদী। দেখি আমাদের আগেই অন্য বাস গুলো চলে এসেছে। সবাই আমাদের অপেক্ষায় ছিলো। এরপর আমরা কয়েকজন টি শার্ট পরে নিলাম। তেমন একটা ঠান্ডা ছিলোনা। তাই জ্যাকেট খুলে ব্যাগ এর ভেতর রেখে দেই। এরপর এন্ট্রি করে যেখানে সেখানে যেয়ে অপেক্ষা করি। তখন স্যার রা এসে আমাদের কিছু কথা বলে এবং সবার সাথে ছবি তোলে।
আজ এ পর্যন্তই। বাকিটা ৩য় পর্বে শেয়ার করবো।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পিকনিক আর ভ্রমন সবসময়ই আনন্দদায়ক।
আপনার অফিস থেকে টুর দেয়ার জন্য চমৎকার একটি জায়গা নির্বাচন করেছে। আমি এখনো যায়নি তবে শুনেছি নাকি পার্কটি বেশ দারুন।
আসলে দায়িত্ব মানেই বেশ টেনশন আর অস্থিরতা, যাইহোক অবশেষে ড্রিম হলিডে পার্কে চলে গেলেন। আশাকরি পরবর্তী পর্বে আপনাদের আনন্দ করার মূহুর্তগুলো দেখতে পাবো।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হুম ভাই পার্কটি আসলেও দারুণ। খুবই মজা করেছিলাম সবাই মিলে।
বোঝাই যাচ্ছে যে ড্রিম হলিডে পার্কে ট্যুর দেওয়ার আগ মুহূর্তে অনেকটাই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আসলে নির্দিষ্ট একটা দায়িত্বের মধ্যে থাকলে নিজের মধ্যে একটু ভয় কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক আপনার মধ্যেও ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল যদিও সবকিছু ভালো মতোই হয়েছে। বাইকের সিকিউরিটির ব্যাপারে দেখছি আপনি খুবই সচেতন আসলেই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আগে সচেতনতা পরে কাজ। যাইহোক অনেকটাই জ্যাম পাড়ি দিয়ে অবশেষে সুন্দরভাবেই পৌঁছেছিলেন ভালো লাগলো জেনে। তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।
হ্যা ভাই। সময় খুবই ব্যস্ততায় কেটেছিলো তখন আমার।
ড্রিম হলিডে পার্ক টা তো দেখছি অনেক সুন্দর। আমার এখনো যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছা আছে যাওয়ার। আমার আবার কৃত্রিম সৌন্দর্যের থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বেশি করে টানে। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক ভালো মুহূর্ত পার করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুম ভাই। নেক্সট পর্বে আরো কিছু ছবি দিবো তখন এর পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
ভ্রমনের মতো আনন্দময় জিনিস আর কি হয়৷ ভ্রমণ করলে যেন আমাদের মধ্যে একটি আলাদা ভালোলাগা চলে আসে এবং আপনার অফিস থেকে খুব সুন্দর একটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে ভ্রমনের জন্য৷ সকলে মিলে সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা একদম বাস্তব কথা ভাই। ভ্রমন সত্যি মন কে শান্ত করে দেয়।
একদম৷ মন খারাপ থাকলেই ভ্রমণ করতে হবে।