পছন্দের স্মার্ট ওয়াচ এর জন্য স্ট্র্যাপ কেনা || অনলাইন শপিং
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার মোটামুটি যাচ্ছে আরকি। সব মিলিয়ে ভালোই। আজ আবহাওয়াটা ভালো লেগেছে বেশি। যেনো নাতিশীতোষ্ণ এক আবহাওয়া। না ঠান্ডা না বেশি গরম। এমন আবহাওয়া কার না ভালো লাগে। বিশেষ করে আমি অনেক উপভোগ করি। যেহেতু গরম আমার সহ্য হয়না একদমই। তাই এটি ভরসা আমার। যাই হোক আমি আমার পছন্দের স্মার্ট ওয়াচ এর জন্য মেটাল এর স্ট্র্যাপ অর্ডার করেছিলাম। সেটি নিয়েই কথা বলবো আজ আপনাদের সাথে । আশা করি ভালো লাগবে।
মাস দুই কি তিনেক আগে একবার আমি একটা স্মার্ট ঘড়ি কেনার অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। অনেকেরই মনে আছে হয়তো। ঘড়িটি অনেক সখ করেই কিনেছিলাম। তবে জানতাম না এর রঙ নিয়ে এতো পচানি খেতে হবে। অবশ্য দোষ আমারই। একটু বেশি কালার ফুল খুজতে যেয়ে শেষে বন্ধুদের পচানি। আমি ঘড়িটা কিনেছিলাম কমলা রঙ এর স্ট্র্যাপ এর। যদিও ছাই কালার এর স্ট্র্যাপ ও ছিলো। তবে একটু রঙিন মানাবে ভেবেছিলাম। তাই ওই রঙ এর টাই কিনি। আমি তো কেনার আগে অনেক কল্পনা করি। তাই ভেবেছিলাম হয়তো সুন্দর হবে। আর আমার নিজের কাছে সুন্দর ও লেগেছিলো। তবে বন্ধুরা এই ঘড়ির নাম দিলো টিকটক ঘড়ি। এটা নাকি টিকটক এর রঙ। হেনতেন আরো কতো কি। তাই মনে মনে ভাবতে ছিলাম যে নতুন একটি স্ট্র্যাপ কিনতে হবে। তবে সিলিকন এর স্ট্র্যাপ গুলোর দাম দেখে আমি হতাশ। যেখানে ঘড়ি কিনেছি ২৬০০ টাকা দিয়ে সেখানে স্ট্র্যাপ এর দাম চায় ৬০০-১০০০ টাকা। বাদ দিলাম। ধুর আমার এই রঙই ভালো। তবে পচানি দেখে আর পরিনি। আমার আগের মি ব্যান্ড ৪ দিয়েই কাম চালাই। যদিও মাঝে মধ্যেই অনলাইন শপ গুলোতে দেখতাম।
ঘড়িটা এক সময় ব্যবহার করাই ছেড়ে দেই। অনেক দিন আমার টেবিল এ পরেছিলো। তো সেদিন অফিস বসে দারাজে প্রোডাক্ট দেখতে ছিলাম। ভাবলাম সার্চ মেরে দেখি। দেখলাম ম্যাগনেটিক মেটাল এর স্ট্র্যাপ। আমি তো অবাক। এতো সুন্দর স্ট্র্যাপ এতো কম দামে কি ভাবে। ৫-৬ বছর আগে একবার স্ট্র্যাপ কিনেছিলাম এই ধরনের প্রায় ৬০০ টাকার মতন পরেছিলো। সেখানে এগুলা ২৯০ টাকা করে। দ্রুতো ৩ রঙ এর ৩ টা কার্ট এ যুক্ত করলাম। নীল, কালো, সিলভার রঙ এর অর্ডার দেই। কালো রঙ বাছাই করেছিলাম প্রিয় এক মানুষ এর জন্য। না মানে কিচ্ছু না। 😶😶😶। তো যাই হোক। অর্ডার করার পর অপেক্ষার পালা। যেদিন অর্ডার করি সেদিন রাতেই শপ থেকে দারাজ এর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। তো আমি অপেক্ষা করছিলাম। শুক্রবার ডেলিভারি দেওয়ার কথা। তবে আমি ভয়েছিলাম। কারণ শুক্রবার অফিস বন্ধ। আর আমি এখন সব জিনিশ অফিস এর ঠিকানায় অর্ডার করি। মনে মনে ভাবলাম থাক কল দিলে বলবো আজ রিসিভ করবোনা। ভাগ্য ভালো সেদিন আর ডেলিভারির জন্য আমার প্রোডাক্ট নিয়ে বের হয়নি। তো আজ সকালে দারাজ এপ এ নটিফিকেশন পেলাম যে আজ ডেলিভারি দিবে। তবে খুব বেশি একটা এক্সাইটেড ছিলাম না। ভাবলাম আসুক ধীরে সুস্থে।
তো দুপুর বেলা বৃষ্টি হয়। এ জন্য কল পাইনা। সাধারনত দারাজ এর পন্য গুলা এর আগে যতবার নিয়েছি ততবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে পেয়েছি। তো অবশেষে ৩ টার দিকে তাদের কল। অফিস এর সামনে এসেই কল দিয়েছে। আমি যেয়ে প্রোডাক্ট রিসিভ করি। এরপর টাকা পে করে ভেতরে চলে আসি। এবার খুলে দেখলাম অনেক ভালো মানের স্ট্র্যাপ গুলাই পেয়েছি আমি। খুব সুন্দর ছিলো স্ট্র্যাপ গুলো। কালার গুলো ফুটেছে অনেক । তো আমি প্রতিটা খুলে খুলে ট্র্যায়াল দিলাম। আমার কাছে সব গুলাই ভালো লেগেছে। বেশি পছন্দ হয়েছে নীল রঙ এর টা। তবে কালোটাও ভালো লেগেছে। এরপর আর কি। খুব খুশি লাগতেছে আরকি। যাক আজকে আর না। আবার অন্য এক ব্লগে দেখা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR