অফিস কলিগদের সাথে ছোট খাটো হ্যাংআউট...
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। শুক্রবারের ছুটি শেষে শনিবার থেকে আবার এই কর্মজীবনে ফেরা। এটা এক রুটিন লাইফ হয়ে গিয়েছে বলা চলে। এই রুটিন লাইফের ভিতরেও চেষ্টা করি একটু ঘুরে আসার। কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার। তো কিছু দিন আগে অফিস কলিগ দের সাথে গিয়েছিলাম হালকা পাতলা কিছু খাবার খেতে। আজকের লেখা তা নিয়েই। আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।
কয়েকদিন আগের থেকেই প্ল্যান করছিলাম অফিস এর কলিগ রা মিলে যে, স্যালারি হলেই আমরা ছোট খাটো একটা খাবার পার্টি করবো। কিন্তু অফিস এ তেমন সুযোগ হয়না। তারপর আমরা ঠিক করলাম যে তালতলা যাবো। তালতলা হচ্ছে এখানের একটা যায়গা। যেখানে অনেক রকম এর খাবার পাওয়া যায়। ছোট ছোট ভ্যান এ করে এসব খাবার বিক্রি করে থাকে। বলতে গেলে সেখানে গেলেই মনে হবে মেলার মতন এক পরিবেশ। আর অনেক রকম এর খাবার দাবারই পাওয়া যায়। কতো কাপল রা যে ঘুরতে যায় সেখানে। আফসস আজ আমার কেউ নাই বলে কাপল হতে পারলাম না। বিয়েটা করে নেই খালি। এরপর আমিও বউ নিয়ে সেখানে যাবো। যাক বলতে ভুলে গিয়েছি যে শুধু খাওয়াই যে আমাদের উদ্দেশ্য এমনটাও নয়। আমাদের কয়েকজন এর জুতা কেনার ও কথা ছিলো। মানে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেরার সময় আমি সহ আরো দুজন জুতা কিনবো। যাক আমরা প্ল্যান করতে থাকলাম কবে যাওয়া যায়। এর মধ্যে বেতন ও পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে দুইদিন পেছানো হয়েছিলো। তো ৩য় দিন আমাদের কেপিআই বোনাস দেওয়ার দিন ঠিক হলো যাবো। তো সেদিন আমাদের আগের সুপারভাইজর ও এসেছিলো বোনাস এর টাকা নিতে। তো আমার হিসাব নিকাশ শেষ করে ফেলি একটু আগে ভাগেই। এরপর আমার কলিগ মুহিব দেখি বাইক নিয়ে রেডি। আর আগের সুপারভাইজর এর ও একটি বাইক আছে। তাই ঠিক করলাম সবাই মিলে বাইক দিয়ে যাওয়া যাবে।
হিসাব নিকাশ শেষ করে আমরা বেরিয়ে পরলাম। আমি আর আমার এসিস্ট্যান্ট মুহিব এক বাইকে। আর বাকি ৩ জন আরেক বাইকে। আমরা দুজন রিল্যাক্স এ যাওয়ার জন্য আগে ভাগেই দৌড়। কারণ বাইকে তিনজন হলে কেমন একটু অসুবিধে লাগে। যাক এরপর আমরা তালতলা পৌঁছে গেলাম। তালতলা নামতেই তো খাবার এর ঘ্রান এ মন ভরে গেলো। আমাদের আগের থেকেই প্ল্যান ছিলো কি খাবো কি না খাবো। তাই বাইক গুলো পার্কিং এ রাখতে চলে গেলাম। গিয়ে শুনি পার্কিং এ প্রতি বাইকের চার্জ ২০ টাকা করে। আমরা যে বাইকটা নিয়ে এসেছিলাম সেটা ছিলো এক পুলিশ এর। পরিচয় দিতে দুই বাইক মিলিয়ে ২০ টাকা রাখলো। আমার মনে হয় এই ২০ টাকাই ফাও। কারণ ওটা অফিসিয়ালি পার্কিং এর যায়গা ছিলোনা। এমনি খোলা যায়গা। রিসিট ছাপিয়ে টাকা নিচ্ছে আরকি। যাক পুলিশ এর গাড়ি হওয়াতে অন্তত ২০ টাকা ছাড় পাওয়া গেছে। অবশ্য যে ২০ টাকা দিয়েছি সেটা আবার লস ও বলা যায়। যাক বাইক পার্কিং করে আমরা চলে গেলাম খাবার এর দোকান গুলোর দিকে। সেখানে যেয়ে ঠিক করতে থাকলাম কি খাওয়া যায়। যদিও আগে থেকেই চিকেন বারবিকিউ পাস্তা খাবো এটা ঠিক করেছিলাম। তবে সেখানে যেয়ে দেখলাম খুবই সুস্বাদু পিজ্জা সাজিয়ে রেখেছে।
সাজানো পিজ্জা দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাই আমরা হিসাব করে সেখান থেকে দুই ফ্লেবার এর দুই রকম পিজ্জা অর্ডার করলাম। পাশা পাশি পাশের এক শপ থেকে চিকেন বারবিকিউ পাস্তা অর্ডার করলাম। কিছুক্ষন এর মধ্যেই আমাদের পিজ্জা চলে আসলো। আগে থেকেই বলে দিয়েছিলাম ৫ পিছ করে কাটতে। তারাও সেটাই করলো। খেয়ে নিলাম আমরা সবাই মিলে। মোটামুটি এভারেজ মানের ছিলো দাম অনুযায়ী। এরপর আমাদের পাস্তা চলে আসলো। এর আগে একবার খেয়েছিলাম। কিন্তু এবার আর সেই স্বাদ পেলাম না। কেমন যেনো লাগলো। দাম বৃদ্ধি করেছে সাথে পরিমান ও কমিয়েছে। যাক এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই মিলঝিল করে বিল দিলাম।এরপর বাইকার দুজনকে বিদায় দিয়েদিলাম। শেষে আমরা আসার সময় জুতা কিনি। এরপর বাসার দিকে রউনা দেই৷
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পিজ্জা দেখতে তো লোভনীয় লাগতেছে ভাইয়া। তবে খাওয়ার সময় ভালো লাগেনি যেনে খারাপ লাগলো। সবাই মিলে চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করেছেন। আর একদমই ঠিক বলেছেন বাইকে তিনজন হলে একটু খারাপ লাগে। দুজন হলে একটু মজা হয়। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
পিজ্জা গুলো খেতে দারুন হয়েছিলো ভাই।
কলিগদের সাথে খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছিলে। আসলে অফিস কলিগ হোক কিংবা বন্ধু সবার সাথে যদি মনের মিল থাকে তাহলে এমনিতেই যে কোন জায়গায় গেলে অনেক ভালো লাগে। আরে হ্যাঁ বাইকে তিনজন উঠলে বেশ চাপাচাপি হয়। তবে দুইজন উঠলে বেশি রিলাক্সে যাওয়া যায়। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া দারুন এক সময় পার করেছিলাম আমরা।