আমার বাংলা ব্লগ এর ১০০ তম হ্যাং আউট নিয়ে আমার অনুভূতি।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আজ আবার অনেক গরম পরতেছে। তবে কিছু করার নাই। এর জন্য আমরাই দায়ী। এইতো গত বৃহস্পতিবার আমাদের ১০০ তম হ্যাং আউট হয়ে গেলো। অনেক দারুণ এক সিলেব্রেশন হয়েছিলো আমাদের। তাই আজকে আমাদের আমার বাংলা ব্লগ এর ১০০ তম হ্যাং আউট নিয়ে কথা বলবো আপনাদের মাঝে। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি চলুন।
আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর হ্যাং আউট নিয়ে যত বলবো ততই যেনো কম হয়ে যাবে। এ অনুভুতি যেনো বলে শেষ করা যাবেনা। আগেই ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রাণ প্রিয় দাদাকে। সাথে কমিউনিটির সকল এডমিন মডারেটর দের। আর আমার বাংলা ব্লগ এর পরিবারের সকলকে। আপনারা না থাকলে আমাদের এতো দূর আসা সম্ভব হতোনা। আমি হয়তো শুরু থেকে থাকতি পারিনি। এটা আমার দূর্ভাগ্যই বলবো। তবে যেদিন থেকে যুক্ত হয়েছি সেদিন থেকে মিস করিনি হ্যাং আউট গুলো। ভার্সিটির ইভিনিং শিফট এর ছাত্র হওয়াতে আমার এখন ক্লাস থাকে। তবুও আমি যথাসাধ্য চেস্টা করি যেনো হ্যাং আউট মিস না যায়। তবুও ক্লাসের ফাকে কানে হেড ফোন দিয়ে হ্যাং আউট শুনতে থাকি। ছুটি হলেই দৌড় মারি বাস ধরে সিট নেওয়ার জন্য। যেনো আরামে বসে বসে হ্যাংআউট শুনতে পারি। মাঝে মাঝে তো ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকেও হ্যাং আউট এ যুক্ত থাকি। এই হ্যাং আউট এর জন্য একটা আবেগ কাজ করে বলা চলে। কারণ পুরো একটা সপ্তাহ জুড়ে অপেক্ষায় থাকি। তাই আলাদা একটা টান কাজ করে। আপনি যখন কোনো কিছুর জন্য এভাবে অপেক্ষা করবেন তখন দেখবেন তার প্রতি একটা আলাদা ভালোবাসা কাজ করে। আজ তো এক্সাইট্মেন্ট এ ক্লাসই করিনি। অনেক বেশি অনুভূতি কাজ করতেছিলো ১০০ তম হ্যাং আউট নিয়ে। এটা দারুণ যে আমি ১০০ তম হ্যাং আউট এর সাক্ষী হতে পেরেছি।
শুরুর দিকের কথা যদি বলি। আমার প্রথম হ্যাং আউট ছিলো। শুভো ভাই এর জোড়ালো কণ্ঠ শুনে ভাবতেছিলাম যে এই ভাই কিভাবে এতো সুন্দর সুষ্পষ্ট ভাবে কথা বলে? শুভো ভাই কে এর জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয়। এতো সুন্দর ভাবে উনি হ্যাং আউট পরিচালনা করেন তা অবিশ্বাস্য। উনি হাজার অসুস্থ হলেও কখনো হ্যাং আউট মিস করেনি। আমার মতে হ্যাং আউট এর প্রাণই শুভো ভাই এর এই কণ্ঠ। একে একে এডমিন মডারেটর দের বক্তব্য মন দিয়ে খেয়াল করা। আমাদের রিপোর্ট গুলো সুন্দর ভাবে বর্ননা করেন। এরপর কুইজ। এই কুইজ সম্পর্কে তো আমার স্মৃতি বেশি। এই কুইজ এর মাধ্যমেই আমি গুগল ম্যান নাম পাই। শুরুর দিকে অবশ্য তাকিয়ে থাকতাম। যে কিভাবে এতো দ্রুতো উত্তর দেয়। কিভাবে এতো কিছু জানে। এরপর এই নিয়ে গবেষণা করতে করতে আমি নিজেই হয়ে গেলাম গুগল ম্যান। হাহাহা 🤣🤣। আমার যে এত্তো ভালো লাগে। বিশেষ করে হাফিয ভাই যখন বলে এই তো গুগল ম্যান উত্তর দিয়ে ফেলেছে। এই তো ১০০ তম হ্যাং আউট এ ও নরমাল কুইজ জিতেছি। যদিও দুইটা জিতেছি কিন্তু নিয়ম তো নিয়ম। তাই একটাই আমি খুশি। তবে আমারে ফলো করলে আপনারাও কিন্তু পরেরটা জিততে পারতেন। হাহাহা। বেশি ভালো লেগেছে দাদার কুইজ। সেখানে দুইটি উত্তর পেরেছিলাম। দুইটি প্রাইজ পাবো।
৫০ তম হ্যাং আউট এ একবার জেনারেল চ্যাট এ লিখেছিলাম কবে যে ১০০ তম হ্যাং আউট হবে। সে দিনটা এসেই গেলো। শুরুর দিকের কথা গুলো মনে পরে খুব। তখন হ্যাং আউট গুলো অনেক লম্বা সময়ের হতো। অফিসিয়াল হ্যাং আউট শেষ হওয়ার পর ও দেখা যেতো রাত ৩-৪ টা পর্যন্ত আড্ডা চলতো। মাঝে মাঝে তো আমি সকালে উঠেও দেখতাম যে কেউ কেউ যুক্ত আছে কমিউনিটি হ্যাং আউট চ্যানেল এ। আগের অনেক প্রিয় মুখ গুলা এখন আর দেখিনা। আমি সব থেক বেশি মিস করি শান্তা আপুর গান। উনি এখন আর এক্টিভ নাই। তবে এই হ্যাং আউট এ দেখেছিলাম একবার। আপু দারুণ গান করতো। যাই হোক আজ খুব ভালো লাগছে আমার । আশা করি এভাবেই আমরা দাদার ছায়ায় একে অপরের হাত ধরে ১০০০ তম হ্যাং আউট এর দিকে এগিয়ে যাবো। সবাইকে ধন্যবাদ আবারো।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR





%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার মত আমিও ৫০ তম হ্যাংআউটের বলেছিলাম যে সেঞ্চুরি করব আমরা। দেখতে দেখতে সেই দিনও চলে আসলো। আসলে এই অনুভূতি প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না। এজন্যই তো সেদিন আমার অনুভূতি প্রকাশ করার সময় টাইমই পার হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক ভাইয়া আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
হ্যা আপু মনে আছে। আমিও দেখেছিলাম আপনার মেসেজটি
আহ্ দুঃখ হচ্ছে আপনার মত আমিও যদি ৫০ তম হ্যাং আউটে থাকতে পারতাম। যাই হোক বেশ সুন্দর ছিল শত তম হ্যাং আউট পর্বটি। উৎকন্ঠা আর আনন্দ দিয়ে রাঙিয়ে তুলেছিল সেদিনের সে হ্যাং আউট পর্ব। তবে আগের হ্যাং আউট পর্ব গুলোই মনে হয় বেশী ভালো ছিল। যাই হোক আশা করি আমরাও সবাই মিলে ১০০০ তম হ্যাং আউট পর্ব উদযাপন করবো।
ব্যাপার না আপু। ৫০ তম তে না থাকলেও ১০০তম তে তো থেকেছেন৷
আসলে ৫০ তম হ্যাংআউট এ আমরা হাফ সেঞ্চুরি করেছিলাম হ্যাংআউটের। দেখতে দেখতে সেঞ্চুরি করে ফেলেছি আমরা। আসলে খুবই ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সেই রাতে। অনেক অপেক্ষার পর একশতম হ্যাংআউট এসেছিল এবং দেখতে দেখতে আমাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছে। যাইহোক বেশ সুন্দরভাবেই সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি আপনার অনুভূতিটা লিখেছেন পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
জ্বি ভাই এভাবেই আমরা ১০০০তম হ্যাং আউট করবো ইন শা আল্লাহ।
১০০ তম হ্যাংআউট কে নিয়ে সবার মনের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এরকম অনুভূতি একেবারে ভিন্ন রকম হয়। অনেক ধামাকা নিয়ে এসেছিল ১০০ তম হ্যাংআউট আমাদের সবার মধ্যে। ঐদিন হ্যাংআউটে অনেক মজা হয়েছিল সত্যি অনেক ইনজয় করেছিলাম পুরো হ্যাংআউটটা শুনতে। সেই রাতের কথা মনে পড়লে এখনো ভীষণ ভালো লাগতেছে। নিজের অনুভূতিটা খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
একদম। সবার মাঝেই আলাদা আলাদা অনুভুতি ছিলো।
হ্যাংআউটে যেহেতু উপস্থিত ছিলাম আপনাদের অনুভূতিগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। এই পরিবারের সাথে আমরা অনেকদিন ধরেই আছি সবার মধ্যে আলাদা আলাদা অনুভূতি কাজ করে। এই পরিবারকে নিয়ে যেটা একশতম ও আলোচনার বিন্দুতে পৌঁছেছে সত্যিই এটা বিশেষ মুহূর্ত ছিল।
এভাবেই সব সময় থাকতে চাই এই পরিবারের সাথে।