স্মৃতির পাতা থেকে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখার গল্প//পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/p🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


ঐতিহ্যবাহী নৌকা ভাইচ আর এখন আগের মতো দেখা যায় না। আর এই নৌকা বাইচ আগে অনেকে দেখতে পাওয়া যেত। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এই নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতাটি অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করতো। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের গ্রামের নদীতে এই নৌকা বাইচের আয়োজন করা হতো। প্রতি বছর এই নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ নদীর পাড় দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো, নৌকা বাইচ দেখার জন্য। সেই দিনগুলো সত্যি অনেক আনন্দ ছিল। আমরা আনন্দের সাথে উপভোগ করতাম।সেই কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। সেই দিনগুলো আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে গেছে, এখন নৌকা খুব কম নৌকা বাইচ এর আয়োজন করা হয়। তবে আগের মত এত ঘন ঘন দেখতে পাওয়া যায় না। এখন অনেক দিন পর পর নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। পুরনো স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য। তো বন্ধুরা ছোটবেলার নৌকা বাইচ দেখার অনুভূতি এবং সেই স্মৃতিময় গল্পটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


boat-5889919_1280.png

source

ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ দেখার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমাদের গ্রামের পাশে একটি বড় নদী রয়েছে। আর বড় নদীর পারাপারের জন্য একটি ব্রিজ রয়েছে। এই ব্রিজের পাশ থেকেই যেন নৌকাবাইচ শুরু হয়। আর এই নৌকা বাইচ দেখার জন্য নদীর দুই পাড়ে অনেক মানুষ থাকে এবং নদীর মধ্যে দিয়ে অনেক নৌকায় করে মানুষ আসে। আসলে অনেক দূর দূরান্ত থেকে নৌকা আসে এই নৌকা বাইচ দেখার এবং অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ গ্রাম অঞ্চলে যেন এক পরিচিত ছিল। সকলে যেন এই ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখার জন্য আসতো।আর এই নৌকা বাইচ দেখার জন্য আমি এবং আমার স্কুলের বন্ধুরা একসাথে গিয়েছি। সকল বন্ধুরা একসাথে এই নৌকা বাইচ দেখার অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। আসলে নৌকাবাইচ দেখার জন্য আমরা আগেভাগেই ব্রিজের পাশে গিয়ে বসে রয়েছিলাম।


ব্রিজের পাশে থেকে যখন আমরা নৌকা বাইচ দেখার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। তখন দেখতে পেলাম আমাদের গ্রামের মানিক চাচা একটি নৌকা নিয়ে এসেছে। সে একটি ছোট নৌকা নিয়ে এসেছে। এই নৌকা করে সে নৌকা বাইচ দেখার জন্য এসেছে। তখন আমাদের ইচ্ছা হলো সেই নৌকাতে করে গিয়ে আমরা ওখানে দেখব, চাচাকে বললাম যে আমাদের এই নৌকায় করে নিয়ে একটু নৌকাবাজ দেখাবেন। আমরা প্রথম প্রথম এসেছি, মানিক চাচা খুবই ভালো মানুষ আমাদের অনেক ভালোবাসতো। তার একটি ছোট দোকান রয়েছে। সেই দোকান থেকে আমরা অনেক কিছু কিনে থাকি। তাই মানিক চাচা আমাদের নৌকাতে উঠালো এবং দেখার জন্য নৌকা বাইচের জায়গায় পৌঁছালো।


boats-3051610_1280.jpg

source

নৌকা বাইচ যেখান থেকে শুরু হবে সেখানে মানিক চাচা আমাদের নিয়ে গেল। ওখানে একটি বড় নৌকা ছিল। মানিক চাচার পরিচিত। চাচা বলল যে ছোট নৌকায় থাকা অনেকটাই বিপদের। তোমরা এই বড় নৌকায় উঠো। তাই আমরা উঠলাম। বড় নৌকাতে অনেকেই উঠেছে, সকলে যেন আনন্দের সাথে মুহূর্তটা উপভোগ করছে। এই নৌকাতে যেন মেলার মতো অনেক ধরনের দোকান ছিলো।নৌকার উপরে দেখলাম বাদাম বিক্রি করছে। আবার সেখানে বাদাম বিক্রি করছে। আমড়াও বিক্রি করছে। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে বাদাম কিনলাম। বাদাম খেতে লাগলাম, আর নৌকা বাইচ কখন শুরু হবে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।


নৌকা বাইচ শুরুর আগের ছোট ছোট নৌকা বাইচ দেওয়া শুরু করে দিল। আসলে অনেক বড় বড় নৌকাবাইজ দেখার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। তবে ছোট ছোট নৌকা রয়েছে তারাও প্রতিযোগিতা আরম্ভ করল। আর তাদের এই প্রতিযোগিতা দেখার জন্য আমরা তাকিয়ে রইলাম। সত্যি সেই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। ছোট প্রতিযোগিতার হলেও অনেক স্পিডে নৌকা চলতে ছিলো।নদীর দুই পাশ থেকে সবাই হাততালি দিচ্ছিল। এত আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তের উপভোগ করেছি, সত্যি আমার অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। তখন আমি অনেক চিৎকার করে হাততালি দিয়েছিলাম। আর বলতেছিলাম এগিয়ে যাও এগিয়ে যাও আমাদের গ্রামের নৌকা ছিলো তাই বেশি আনন্দ হচ্ছিলো।

তারপরে সেই ছোট নৌকার এক দলের মধ্যে আমাদের গ্রামের নৌকাটি দ্বিতীয় হয়েছিল। তাই তখন খুবই ভালো লাগতেছিল এবং আর আধাঘন্টা পরেই আসল নৌকাবাইচ শুরু হবে। সেটা দেখার জন্য যে আমরা আরও অপেক্ষা করতে লাগলাম। তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই, আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসল প্রতিযোগিতার সেই মুহূর্তটা এবং কোন গ্রাম বিজয়ী হয়েছিল সেই মুহূর্তের গল্পটুকু। আশা করছি সে পর্বের জন্য আপনারা সবাই অপেক্ষা করবেন।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68857.19
ETH 2715.71
USDT 1.00
SBD 2.72