আসলে ছুটির দিন হলে আমি নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে যায়। আর নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই গতকাল শুক্রবার ছিল আর শুক্রবারে আমি নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। তবে আমি নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে সকালবেলা গিয়েছিলাম। এই কুয়াশা মাখা দৃশ্য গুলো যেন তখন উপভোগ করতে পেরেছি। তবে শুক্রবারে বিকেলবেলা নদীর পারে অনেক বেশি ভিড় হয় এবং মেলার মত উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তো আমি সকালবেলা যখন নদীর পাড়ে গিয়েছি এই নদীর পাড়ে গিয়ে সুন্দরময় কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। সেই মুহূর্তটি কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগবে।

নদীর পাড়ে গিয়েছি আমি সকালবেলা এবং সকালবেলা হালকা কুয়াশা কুয়াশার দৃশ্যগুলো তখনও ছিল, যার কারণে আমি এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে পেরেছি। তবে আরও সকাল বেলা আসলে এই কুয়াশার দৃশ্যগুলো ভালোভাবে উপভোগ করা যাবে। তো নদীর পাড়ে যখন আসলাম, তখন নদীর পাড়ে দেখতে পেলাম অনেক নৌকা বাধা রয়েছে। আসলে এই নৌকাগুলো করে তারা মাছ ধরে। আর বেশি সকালবেলা এসেছি যার কারণে তারা এখনো মাছ ধরতে যায়নি। তবে এই নৌকাগুলোর দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।

ধীরে ধীরে সূর্য উঠতে লাগলো এবং কুয়াশা যেন দূর হয়ে সূর্যের আলো দেখতে পাচ্ছিলাম। আর শীতের মধ্যে এই মিষ্টি রোদে খুবই ভালো লাগতেছিল, তাই বাঁধের উপরে আসলাম এবং বাঁধের উপর থেকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম টারবাইনের দৃশ্য। সত্যিই টারবাইন গুলো অপরূপ সৌন্দর্যময় লাগছে এবং নীল আকাশটা যেন সম্পন নীল হয়ে রয়েছে। যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগতেছিল এই দৃশ্যগুলো।

তারপরে বাঁধ থেকে আমি নিচে নেমে আসলাম। নিচে নেমে এসে দেখতে পেলাম সবুজ ঘাসের দৃশ্য আর এই সবুজ ঘাস গুলো কুয়াশার পানিতে ভিজে ছিল। এখন রোদ ওঠার সাথে সাথেই এগুলো যেন শুকিয়ে আরো সবুজে পরিণত হলো। তাই এই সবুজ ঘাস গুলোর দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাই আমি এই সুন্দর দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি করতে ছিলাম।

বাঁধের নিচ দিয়ে পাথর ছিল, সেই পাথরের উপর দাঁড়িয়ে আমি টারবাইনের দৃশ্যগুলো ভালোভাবে দেখতেছিলাম। আর এই টারবাইনের দৃশ্যগুলো সম্পূর্ণ ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করতেছিলাম। সত্যি টারবাইন গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগতেছিল, তবে এখন টারবাইন গুলো চালু নেই। এগুলো বন্ধ আছে। তারপরেও দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।

বাঁধের নিচ নেমে আমি নদীর পাড়ের দিকে হাঁটতে লাগলাম। আর নদীর পাড়ে যেতে দেখতে পেলাম অনেক পাথর রয়েছে। আসলে এই পাথরগুলো নদীকে রক্ষা করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। যাতে নদীর ঢেউগুলো এসেই পাথরের সাথে লেগে যায়। তবে পানি কমে যাওয়ার কারণে এই পাথরগুলো যেন দেখতে পাচ্ছি আমরা। আর এই পাথরের উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমি নদীর কিনারার দিকে যাচ্ছিলাম।

নদীর কিনারায় গিয়ে দেখতে পেলাম অনেকেই মাছ ধরার জন্য নানা ধরনের জাল পেতে রেখেছে। কেউ বা বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে এবং নদীর কিনারায় গিয়ে আরো সুন্দর সময় কিছু মুহূর্ত উপভোগ করলাম। নদীতে ট্রলার জাহাজ চলাচল করছে, সেই দৃশ্যগুলো উপভোগ করা যায়। সত্যি এই নদীর পাড়ের প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মধ্যে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লাগতেছিল তখন।