রাজবাড়ীতে গিয়ে ভূত দেখার গল্প//পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


ছোটবেলা আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে। সেই গল্পগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে । আসলে বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি।সেই দিনগুলো চাইলেও আর ফেরত পাওয়া সম্ভব না। আসলে ছোটবেলার এই দিনগুলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথে মিলে যায়। কারণ ছোটবেলা আমরা এভাবেই যেন সেই মুহূর্তটা পার করেছি। এখুন যেন পরিবার এবং নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা সেই দিনগুলো আর কখনোই ফিরে পাবো না। তবে ছোটবেলা সেই দিনগুলোর কথা মনে হলেই যেন পুরনো সেই দিনের গল্প চোখের সামনে ভাসে,সেই কথা মনে পড়ে যায়। তো বন্ধুদের সাথে রাজবাড়ীর সেঢ ঘটনা আমার জীবনে রয়েছে। সেটি হল ভূত দেখার ঘটনা। এই ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আসলে আজকে এই গল্পটি বাকি অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি আজকের পর্বটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


castle-1483681_1280.jpg

source

আসলেও রাজবাড়ীতে যখন অন্ধকারে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম। তখন আমরা খুঁজতেছিলাম কিভাবে বের হয়ে যাব। এখান থেকে বের হবার পথ খুঁজছিলাম। তো আমরা বন্ধুরা মিলে বের হওয়ার একটি গোলি দেখতে পেলাম। সেই গলি দিয়ে যখন বের হতে নিয়েছিলাম, তখন লোহার সাথে মানিকের গেঞ্জি আটকে যায়। আর মানিক তো ভয়ে অনেক চিৎকার করে ওঠে। মানিক ভেবেছে তার গেঞ্জি হয়তো কোন ভূত বা অদৃশ্য শক্তি টেনে ধরেছে। যায় কারণে সে অনেক চিৎকার করতে লাগলো। পরে আমি তাকিয়ে দেখতে পেলাম ওর গেঞ্জিটা একটা লোহার সাথে আটকে গেছে। তখন মানিককে বললাম টেনশন করিস না ভয় নেই, তোর গেঞ্জি একটি লোহার সাথে আটকে আছে।তখন মানিক বলল বেঁচে গেলাম।


তারপরে আমরা আস্তে আস্তে রাজবাড়ি থেকে বের হলাম। বের হয়ে হাঁটা শুরু করে দিলাম। আসলে আমরা কোথায় দিয়ে কেমনে হাঁটছি সেটা বুঝতেই পারলাম না। রাজবাড়ী থেকে বের হয়ে দেখতে পেলাম একটি বিশাল বড় বাগান। এই বাগানে অনেক গাছপালা রয়েছে। সেই বাগান দিয়েই হেঁটে হেঁটে আমরা পার হচ্ছিলাম। আসলে অনেক রাত হয়েছে ভালোভাবে বুঝতে পারছিলাম না, আমরা কোথা দিয়ে কোথায় যাচ্ছি। এই রাজবাড়ী গেট পার হয়ে যখন বাগানের ভিতর আসতে ছিলাম, তার সামনে বিশাল বড় একটি পুকুর ছিল। আর এই পুকুরের পাশ দিয়ে আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম। তবে পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেই যেন একটি ঘটনা ঘটে গেল। সেই ঘটনাটি হল পুকুরের উপর দিয়ে সাদা পোশাক পরেকে যেন পার হচ্ছিল।


fantasy-2847724_1280.jpg

source

সাদা পোশাক পড়া এই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে আমি তো ভয়ে বলতে লাগলাম যে দেখ ওটা কি যাচ্ছে। ওরা বলল যে কিছুই না,তবে মানিক বলছি এটা কি, এই বলেছি চিৎকার করতে লাগলো। তখন মানিকের গলা চেপে ধরল সুজন। বলল চুপ কর এখন ভয় পাইরে মরে যাবি, এখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে। ওখান থেকে আমরা তাড়াতাড়ি একটি রাস্তায় দিকে যাচ্ছিলাম,এমন সময় সুজন রাস্তা পরে যার তার পা একটু কেটে যায়।তারপর একটি রাস্তা পেলাম। সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু কররাম।পরে দেখি আমাদের স্কুলের রাস্তায় এটা। আমরা চিনতে পারলাম।তখন মনে সাহস আসলে আমরা বাড়ির দিকে যেতে পারবো। তখন সেই রাস্তায় দিয়ে রাত ৩ টার সময় আমাদের বাড়ির দিকে আসলাম নিলাম।তখন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আর বলতে লাগলাম আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছে তা না হলে আজকে মরে যেতাম। ওদিকে মানিকের দিকে তাকিয়ে দেখি ও ভয়ে কাঁপতাছে আর চোখ দিয়ে পানি পড়তেছে।


আমি বললাম আর কোথাও যাবো না, চল যা করেছি ভুল করেছি। এখন আমাদের বাড়ি কাছে আছে আমাদের বাড়িতে যাই। সুজন বলল যে এখন তোর বাড়িতে গেলে তোর মা বাবারে কি বলবি।রাত তিনটা বাজে তাদের প্রশ্নের অ্যানসার দিতে পারবি। তখন বলল যে আমাদের বাড়িতে যেতে ৩০ মিনিট লাগবে, এখন তো তিনটা বাজে যেতে যেতে সাড়ে তিনটা বাজবে চল আমাদের বাড়িতে যায়। আমাদের বাড়িতে কেউ নেই। তাই আমরা সুজনের বাড়ির দিকে আসলাম এবং রাস্তায় তখন অনেক শান্ত ছিল, আসলে এভাবে একা একা রাস্তায় হাঁটার রাত তিনটার মধ্যে জীবনে যেন অনেক কঠিন একটা রাত পার করেছি।তো বন্ধুরা গল্পের বাকি অংশ আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করব।আশা করছি সেই পর্বের জন্য আপনারা সবাই অপেক্ষা করবেন।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 9 months ago 

খুব ভালো একটি ভুতের গল্প শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ভুতের গল্প মানেই শিহরণ,ভীতি আর টানটান উত্তেজনা।আপনার গল্পে তা বিদ্যমান। গল্পটি পড়ে বেশ মজা পেয়েছি। ছোট বেলায় বড়দের কাছে অনেক ভুতের গল্প শুনেছি।রাজবাড়ীতে গিয়ে ভূত দেখার গল্প-পর্ব ৩, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

এমনিতেই অনেক গভীর রাত ছিল, তার উপর আবার এরকম একটা ভয়ানক রাজবাড়ী! তারপর সেখান থেকে কোন প্রকারে বিপদ কাটিয়ে আবার একটা বড় বাগান, এরপর একটা পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখলেন যে পুকুরের উপর দিয়ে সাদা পোশাক পরে কে যেন হেঁটে যাচ্ছে! এগুলো তো সবই ভয়ংকর ঘটনা। সামনাসামনি না দেখলে আসলে এগুলো যে কতটা ভয়ংকরী সেটা বোঝা মুশকিল। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি আসতে পেরেছেন এটাই অনেক।

 9 months ago 

এই বাড়ির কথা শুনেই বাড়িকে একদম ভূতের বাড়ি মনে হচ্ছে। আপনি পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখলেন যে কে যেন সাদা কাপড় পরে হাঁটছে৷ এটা শুনে আমিও অনেকটা ভয় পাচ্ছি৷ আপনি খুব সাহসিকতার সাথে এখানে গিয়েছেন এবং এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অবশেষে আপনি সুস্থভাবে পৌঁছে গিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.18
JST 0.032
BTC 87956.98
ETH 3244.56
USDT 1.00
SBD 3.22