বন্ধুদের সাথে প্রথম পিকনিকে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামু আলাইকুম/আদাব🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বন্ধুদের সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।সেই স্মৃতিগুলো মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। প্রথম প্রথম যখন আমি বন্ধুদের সাথে বনভোজনে গিয়েছিলাম আর এই বনভোজনের সময়টা অনেক আনন্দ সাথে উপভোগ করেছি। আসলে আমাদের স্কুল থেকে প্রথম প্রথম স্যারদের সাথে বনভোজনে গিয়েছিলাম। আমাদের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া তখন নতুন একটি পার্ক তৈরি করা হয়েছে।পার্ক অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে আমাদের স্কুল থেকে সেই পার্কে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিলো।সেই পার্কে যাওয়ার দিনগুলোর কথা আজ খুবই মনে পড়ছে। সেই মুহূর্তগুলোই গল্প আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, প্রথম পর্ব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


people-2608145_1280 (1).jpg

source

তারপরে আটটার দিকে আমাদের স্কুলের পাশের রাস্তায় বাস আসলো। আমরা সকলেই স্কুল থেকে এক পোশাক পড়েই যেন বাসে উঠতে লাগলাম। খুবই ভালো লাগতেছিল, সকল বন্ধুরা মিলে একসাথে যাচ্ছি। বড় ভাইও যাচ্ছে তাই আমরা সবাই আগে আগে বাসে উঠলাম। শুধু আমাদের রফিক স্যার নামে একজন ইংরেজি ক্লাস নিতো সেই স্যার তখনো আসেনি। যার কারণে স্যারের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম। আর এই স্যার যখন আমাদের বাসের কাছে আসলো তখন আমরা সবাই অনেক খুশি হলাম, যে স্যার অবশেষে এসেছে।এই স্যার অনেক ভালো ছিল, কারণ এই স্যার পিকনিকের সকল আয়োজন করেছে। যার কারণে স্যার একটা লটারি ব্যবস্থা করেছে,সেই জন্য লটারির গিফট ভ্যানে করে নিয়ে আসতে দেরি হয়েছিল। স্যার অনেকগুলো গিফট কিনে নিয়ে এসেছে। বলল যে আজকে এই পিকনিকে গিয়ে আমরা অনেক মজা করব। তোমাদেরকে গিফট দিব। তাই লটারির ব্যবস্থা করেছি। সেজন্য গিফট কিনতে গিয়েছিলাম। যার কারণে দেরি হলো,স্যারের কথা শনে আরো আনন্দিত হলাম।তখন খুবই ভালো লাগতেছিল।


তারপরে আমাদের বাসটি যাত্রা শুরু করল পার্কের উদ্দেশ্যে। আমরা বাসের ভিতরে অনেক আনন্দের সাথে মজা করতে ছিলাম। আসলে বাসে আমার বসে থাকতে ইচ্ছা করতেছিল না। বন্ধুদের সাথে যেন নাচ-গান মেতে ছিলাম। প্রথম পিকনিকে যাচ্ছি সকল বন্ধুরা একসাথে।তাই আনন্দটা বেশি ছিলো। আমাদের স্কুলের হেডমাস্টার অনেক ভালো ছিল। যার কারণে সে আমাদের ভ্রমণের এই সুযোগটা করে দিয়েছিল। আসলে স্যারদের সাথে অনেক মজা করলাম। অনেকক্ষণ পরে আমরা যখন সেই পার্কের কাছাকাছি আসলাম, তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। পার্কের সামনে বিশাল বড় একটি গেট দেখতে পেলাম। আর এই গেটের দুপাশে যেন দুটি সিংহের ভাস্কর্য ছিল। সেই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে আমার আরো বেশি ভালো লাগলো। তারপরে আমরা তাড়াহুড়া করে বাস থেকে নামলাম। বাস থেকে নেমেই স্যার সবার জন্য টিকিট কাটলো।আমরা সবাই লাইনে দাঁড়ালাম একের পর এক টিকিট নিয়ে পার্কের ভিতরে ঢুকতে শুরু করলাম।


people-5365324_1280 (1).jpg

source

স্যার গুনে গুনে সবাইকে পার্কের ভিতর ঢুকালো এবং পার্কের ভিতরে বলল যে দলবদ্ধ হয়ে একসাথে থাকবে। তোমরা একা একা কোথাও ঘুরতে যাবে না। একা একা ঘুরতে গেলে হয়তো কেউ বিপদে পড়তে পারো। যার কারণে আমরা সকলেই বন্ধুরা মিলে একা একা না ঘুরে দল বেঁধে ঘুরতে লাগলাম। আমার সাথে বড় ভাই ছিল। বড় ভাই এই পার্কে এর আগে এসেছিল যার কারণে পার্কের অনেক কিছু ভাইয়ের চেনা। আমার বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমি ভাইয়ের সাথে সেই পার্কে সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো দেখতে লাগলাম। আসলে গ্রামের প্রকৃতির অপরূপ সুন্দরভাবে ভাস্কর্য যেন এই পার্কের ভিতরে ফুটিয়ে তুলেছে। গ্রামীণ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো এই পার্কের ভিতরে বেঁচে রাখার জন্য ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা। আসলে গ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তুলেছে এই পার্কের ভিতরে ভাস্কর্যের মাধ্যমে তৈরি করা ছিলো।তারপরে তাজমহলের একটি ভাস্কর্য ছিল। সত্যি তাজমহলের ভাস্কর্য আমার বেশি ভালো লেগেছে। স্যার বললো অল্প টাকার ভিতরেই তোমাদের তাজমহল দেখার সুযোগ করে দিলাম। আসলে তাজমহলটি এত সুন্দরভাবে তৈরি করেছিল দেখে মনে হয় সত্যিকারে তাজমহল। প্রতিটা দৃশ্য যেন ফুটিয়ে তুলেছে আর এই ভাস্কর্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছিলো আমার।


আমরা অনেকক্ষণ ঘোরাফেরা করলাম এবং পার্কের সুন্দরময় দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম। তারপরে স্যার বলল যে দুপুরে খাবার শেষে আমরা এই পার্কের ভিতরে একটি খেলার মাঠ রয়েছে, ওখানে আমরা খেলার প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছি। তোমরা এখানে খেলাধুলা করবে। আর খেলাধুলার পরেই সংগীত অনুষ্ঠান হবে এবং তারপরে লটারি আয়োজন করা হবে। খুবই ভালো লাগলো স্যারের কথা শুনে। তারপরে আমরা সকল বন্ধুরা এক জায়গায় হলাম, দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য। আসলে এই পার্কের ভিতরে রান্না করার জন্য শারি বেঁধে অনেকগুলো চুলও বানিয়ে রেখেছে। আসলে এখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে পিকনিকে আসে। যার কারণে রান্নার ব্যবস্থাটা অনেক ভালো করেছে এবং খাওয়া-দাওয়ার জন্য বিশাল বড় একটি রুম রয়েছে। এই রুমের ভিতরে আমরা স্যারদের সাথে সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। খাওয়া-দাওয়া সেই মুহূর্তটা অনেক ভালো লাগতেছিল কারণ সকল বন্ধুরা মিলে একসাথে এবং স্যারদের সাথে মজার সাথে সেই মূহুর্ত উপভোগ করেছি। আর খাবার পরে আমাদের সংস্কৃতি অনুষ্ঠান এবং তারপরেই খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছিলো।আসলে এখানে খেলাধুলার পুরস্কার দেওয়া হবে এবং লটারি পুরস্কার দেওয়া হবে। তাই খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা সকলেই বসে পড়লাম, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান যে গান বলবে কবিতা বলল তাদেরও গিফট দেওয়া হবে।তাই অনেক আনন্দমার সাথে সেই মুহূর্তটা উপভোগ করেছিলাম। তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্ত, আগামীতে বাকি অংশটুকু শেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ। আশা করছি সে পর্বের জন্য আপনারা সবাই অপেক্ষা করবেন।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 10 months ago 

আসলে স্টুডেন্ট লাইফে বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে যাওয়া বা শিক্ষা সফরে যাওয়ার সৌভাগ্য মেলে। আর সে সৌভাগ্য গুলো সারা জীবনের জন্য স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে আমাদের জীবনে। ঠিক এমন স্মৃতি মধুর স্মৃতি আমাদের জীবনে অনেক রয়েছে। আজকে আপনার জীবনের সেই সুন্দর স্মৃতি এই পোস্টের মধ্য থেকে জানতে পেরে ভালো লাগলো।

 10 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59467.52
ETH 2609.98
USDT 1.00
SBD 2.38