গল্পঃ মনিক ভাইয়ের সততা দেখে সবাই মুগ্ধ //পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


সততা সাথে জীবন পরিচালনা করলে মানুষকে সম্মান বাড়ে যায়।আসলে সততার সাথে জীবন পরিচালনা করলে,সেই জীবনটা সম্মানের হয়ে থাকে এবং আনন্দেরও হয়ে থাকে। মানুষের সম্মান পাওয়াটাই আসল, কারণ সমাজে অনেকের টাকা পয়সার অভাব নেই। অনেক ধনী ব্যক্তি রয়েছে, কিন্তু তাকে কেউ সম্মান দেয় না হয়তো তার টাকা পয়সা থাকার কারণে ক্ষমতার দাপটে তাকে ভয় করে চলে। কিন্তু সম্মান অন্য জিনিস, আর এই সম্মান মানুষকে অর্জন করতে হয় তার ব্যবহারের মাধ্যমে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সততার একটি গল্প বলতে এসেছি, এই সততার গল্পটি পড়ে আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।জীবনটা শান্তিময় করতে সততার সাথে জীবন গড়তে হবে।তাহলর সেই জীবন শান্তির হবে। সেই জীবনটা অনেক সম্মানের হয়ে থাকে। আসলে সততার সাথে জীবন গড়লে সেই জীবনটা যেমন আনন্দময় হয়, তেমনি সকলের সম্মানও পাওয়া যায়। তো বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন সততার নিয়ে এই গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।


light-bulb-4514505_1280.jpg

source

আমাদের গ্রামেই বাস করতেন রহিম চাচা, আসলে রহিম চাচা সততার সাথে তার জীবন পরিচালনা করতেন এবং সে ছিল কৃষক। তার পরিবারে পাঁচ সন্তান ছিল, তার মধ্যে সবার বড় ছিল মানিক ভাই। আর মানিক ভাই খুবই মেধাবী স্টুডেন্ট ছিল। সে পড়াশোনায় খুবই ভালো পারতো। এইচএসসি পাশ করেছে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে পাশ করে।তাই মানিক ভাই পড়াশোনার অনেক চেষ্টা ছিল কিন্তু রহিম চাচার পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে, মানিক ভাইকে আর পড়াতে পারিনি। এর মধ্যে রহিম চাচা একদিন এক্সিডেন্ট করে। যার কারণে সে আর আগের মতো পরিবারের জন্য অর্ধ উপার্জন করতে পারে না এবং রহিম চাচার পরিবর্তে মানিক ভাইকে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। যার কারণে মানিক ভাই আর নিজের পড়াশোনা এগিয়ে নিতে পাড়ে না।


যার কারণে মানিক ভাই আর পড়াশোনা করতে পারেনা এবং বাড়ির পাশে ছোট ছোট বাচ্চাদের সে পাইভেট পড়িয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করত, আর গ্রামে আরো একজনের সিএনজি রয়েছে সে সিএনজি ভাড়া চালাতো। আসলে মানিক ভাইয়ের সিএনজিতে সকলেই যাতায়াত করতো। কারণ মানিক ভাইয়ের ব্যবহার এবং তার সততার সবাই জানতো। সে কখনোই অন্যায়ের পথে হাঁটেনি। যার কারণে এলাকার মধ্যে তার সুনাম রয়েছে। ভাইবোনদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল। অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করাতো, এভাবেই তার জীবন চলতেছিল। আসলে মানিক ভাই তার সততা ও সর্বোচ্চ দিয়ে তার পরিবারের জন্য যেন যুদ্ধ চালাতে লাগলো। তার পরিবারের দায়িত্ব একাই কাঁধে নিয়ে চেষ্টা করতে লাগলো।


achievement-5597527_1280.png

source

পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এভাবেই মানিক ভাইয়ের স্বপ্ন যেন শেষ হয়ে যায়। তারপরেও মালিক ভাই যেন সবসময় হাসিখুশি ছিল, সে সিএনজি চালিয়ে এবং পরিয়ে ভালোই টাকা ইনকাম করতে লাগলো। একদিন মানিক ভাইয়ের সিএনজিতে একটি ব্যাক পাওয়া যায়। আর এই ব্যাগটি কোন এক যাত্রী তার সিএনজির পিছনে রেখে দেয়। রাত সারাদিন সিএনজি নিয়ে ভাড়া মেরে রাত দশটার দিকে বাসায় এসে সিএনজিটা যখন মালিককে জমা দিবে তখন পেছনে তাকিয়ে দেখে একটি ব্যাগ। আর এই ব্যাগটি মানিক ভাই তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ভাবে যে এই ব্যক্তির ভিতরে হয়তো কোন পরিচয় রয়েছে। যার মাধ্যমে এই ব্যাগটি ফিরিয়ে দিবে।


তারপরে মানিক ভাই সেই ব্যাগটি নিয়ে তার রুমে রেখে দিল। এবং হাত মুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে রুমে আসলো। রুমে এসে যখন ভাবলো যে ব্যাগের ভিতর কোন পরিচয় আছে কিনা। তাহলে এই ব্যাগটি ফেরত দিতে পারবে। তাই ব্যাগটি খুলে সে অবাক হয়ে গেল। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ব্যাগের ভিতর এই সম্পদ দেখতে পেয়ে। আসলে ব্যাগ ভর্তি শুধু টাকা আর টাকা ছিল। এত টাকা সে কখনো একসাথে দেখিনি। তাই মানিক ভাই যেন ভয় পেয়ে গেল। এত টাকা কি করবে এখন সে যেন এক বিপদে পড়ে গেল। তাই সে তখনই তার বাবাকে ডাক দিল। তার বাবাও অনেক সৎ মানুষ ছিল। যার কারণে মানিক ভাই তার বাবাকে এই কথাটা বলল।

মানিক ভাইয়ের বাবা তার রুমে আসলো এবং রুমে এসে দেখল সত্যি ব্যাগ ভর্তি শুধু টাকা টাকা।তাই মানিক ভাইয়ের বাবা বলল আর কাউকে এই কথা বলিও না। বললে সমস্যা হবে, মানিক ভাইয়ের বাবা অনেক সৎ মানুষ ছিল এবং মানিক ভাইও সৎ। তাই মানিক ভাই বলল যে ব্যাগের ভিতরে দেি কোন পরিচয় আছে কিনা এবং মানিক ভাই, সেই ব্যাগের ভিতর থেকে সকল টাকা বের করে এবং অন্য অন্য কাগজ পাতি গুলো দেখতে ছিল। তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই, আগামী পর্বে বাকি অংশটুকু শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। আশা করছি সে পর্বের জন্য আপনারা সবাই অপেক্ষা করবেন।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

বর্তমানে সৎ মানুষ পাওয়া টা বেশ কষ্টের। তবে আপনার গল্পের মানিক ভাই আর তার বাবার সততা দেখে আমি কিন্তু মুগ্ধ। আশা করি মানিক ভাই ওতার বাবা পাওয়া ব্যাগটি যথাযথ মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিবে। বেশ দারুন লিখেছেন গল্পটি। আগামী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে একজন পরিবারের প্রধান কর্তা যদি এক্সিডেন্ট করে পরবর্তীতে পরিবারের বড় ছেলেকে হাল ধরতে হয়। মানিক ভাই মেধাবী স্টুডেন্ট হওয়ার সত্বেও পরিবারের হাল ধরার জন্য তার লেখাপড়া বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। অবশেষে ব্যবসা করে অসুস্থ বাবার পাশে দাঁড়াই এবং ভাই-বোনদের দায়িত্ব নেয়। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🌻🌹

 last year 

বর্তমান সময়ে এমন মানুষ রয়েছে যাদের সততাই জীবনের প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া পরিবারের ভালোবাসায় তাদেরকে ভালো কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। মানিক ভাই ও সিএনজি এর পেছনে টাকা ভর্তি ব্যাগ দেখেও ব্যাগের মালিক কে খোঁজার জন্য কাগজপত্র দেখছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করি তার সততার পরিচয় দিয়ে ব্যাগটি ফেরত দিবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 68748.32
ETH 2464.48
USDT 1.00
SBD 2.36